ঢাকা ০৭:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাংলাদেশে অভ্যুত্থানের পর আমেরিকা প্রকাশ্যে এসে বড় ঘোষণা চট্টগ্রাম মহাসড়কের ছোট দারোগার হাট বাজার এলাকায় উল্টো পথে আসা ট্রাকের সঙ্গে বাসের সংঘর্ষ বোরহানউদ্দিনে পৌর বিএনপির সদস্য সচিব আবু জাফর মৃধা’র বসতবাড়িতে হামলা। বনানীর আবাসিক হোটেলে মিলল ৯৮৪ বোতল বিদেশি মদ গাজীপুর কাস্টমসের পিওন কাওসারের কোটি টাকার সম্পত্তি পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন

বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের ‘উদ্ভট’ সব কাণ্ড

‘বিখ্যাত হওয়ার জ্বালা অনেক’ -আজও এমন ধারণা রয়েছে আমাদের। এই তত্ত্বকে সর্বাংশে ভুল বলে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। কারণ বিখ্যাত মানুষের হাঁটা-চলা, বসা, খাওয়া-দাওয়া সবকিছুর ওপরই নজর থাকে সবার। তার কোনও অভ্যাস বাঁধাধরা নিয়মের মধ্যে না থাকলেই, তা নিয়ে শুরু হয় কাটাছেঁড়া।

বিজ্ঞানের দুনিয়ায় প্রতিভা বিচ্ছুরণ ঘটালেও, সেই কাটাছেঁড়া থেকে রক্ষা পাননি স্বয়ং অ্যালবার্ট আইনস্টাইনও। তার গবেষণা, আবিষ্কার, তত্ত্ব যেমন আজকের দিনেও সমান প্রাসঙ্গিক। তেমনই তার কিছু অভ্যাসের কথাও ঘুরে ফিরে উঠে আসে। মজগাস্ত্রে শান দিতেই তিনি কিছু অভ্যাস রপ্ত করেছিলেন বলে মনে করেন কেউ কেউ। অনেকে আবার সেগুলোকে ‘উদ্ভট’ কাণ্ড কারখানা বলেও মনে করেন।

যত ব্যস্ততাই থাকুক না কেন, দিন ১০ ঘণ্টার ঘুমে কখনও হেরফের হতে দেননি আইনস্টাইন। আজকের দিনে মানুষের জীবনযাত্রার সঙ্গে তুলনা টানলে, বিস্তর ফারাক ধরা পড়ে। আজকের দিনে মানুষ গড়ে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতে পারেন।

বেশি ঘুমোলে আজকাল অলস তকমা জুড়ে যায় গায়ে। কিন্তু একাধিক বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় দেখা গেছে, মস্তিষ্ক সচল রাখতে পর্যাপ্ত ঘুম অবশ্যপ্রয়োজন। আইনস্টাইনও তাই ঘুমের সঙ্গে আপস করেননি কখনও। জানা যায়, ঘুমের মধ্যে স্বপ্নে থিওরি অব রিলেটিভিটির তত্ত্ব মাথায় আসে আইনস্টাইনের।

dhakapost

হাঁটার সময় অন্যদিকে মাথা ঘামানোর কাজ থেকে রক্ষা পায় মস্তিষ্ক। ফলে মনের মধ্যে চলা ভাবনা-চিন্তার সঙ্গে সংযুক্ত বোধ করে। ফলে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে বাজিমাত করা সম্ভব হয়। আইনস্টাইন বলেছিলেন, আদিমযুগের চিন্তাভাবনা দিয়ে সমস্যার সমাধান হয় না। তাই মগজাস্ত্রের ঘষামাজার পক্ষে ছিলেন তিনি।

ভায়োলিন বাজানোর শখ ছিল আইনস্টাইনের। হেঁটে হেঁটে পাখি দেখতে যাওয়া সময়ও কাঁধে থাকত ভায়োলিন। বাজিয়ে যেতেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এমনকি গানে গানেই চিন্তাভাবনা করেন এবং সঙ্গীতের মধ্যেই তার দিবাস্বপ্ন ডানা মেলে উড়তে পারে বলে জানান। বিজ্ঞানীরা বলেন, ক্লাসিক্যাল গানে মানসিক চাপ কমে।

নুড়ুলস খেতে অসম্ভব ভালোবাসতেন। ইতালির যে জিনিসই পছন্দে ছিল তার, নুড়ুলস এবং গণিতজ্ঞ, লেভি-সিবিথা। শরীরের ২০ শতাংশ এনার্জি মস্তিষ্কই গ্রহণ করে। পাস্তায় থাকা কার্বোহাইড্রেট চাঙ্গা থাকে শরীর।

সিগারেট বা মদ নয়, চুরুট খাওয়া অসম্ভব পছন্দ ছিল আইনস্টাইনের। আজকের দিনে এর পরিণতি কী হতে পারে সবারই জানা। তাও বিশেষ করে প্রকাশ্যে চুরুট টানতে পছন্দ করতেন তিনি। কলেজের ক্যাম্পাসেও তার মুখে ঝুলত চুরুট। তার বক্তব্য ছিল, “মনুষ্যঘটিত সবকিছু শান্তিপূর্ণ এবং নিরপেক্ষভাবে দেখার নেপথ্যে অনুঘকের কাজ করে চুরুট”।

কয়েক দশক পর কীট-পতঙ্গ, পোকামকড় খাদ্যতালিকায় পাকাপাকি জায়গা করে নেমে বলে বেশ কিছু দিন ধরেই জানিয়ে আসতেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু অনেক আগে আইনস্টাইনও পোকামাকড় খেতেন। রাস্তা থেকে তুলে পোকা খাওয়ার নজিরও রয়েছে তার। পোকামাকড়ে প্রচুর পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ভিটামিন, প্রয়োজনীয় খনিজ এবং হেলদি ফ্যাট রয়েছে। মস্তিষ্ক এবং কার্ডিওভাস্কুলার সিস্টেমকে সচল এবং সুস্থ রাখতেই পোকামাকড় খেতেন আইনস্টাইন।

জুতোর সঙ্গে কখনও মোজা পরতেন না আইনস্টাইন। তার যুক্তি ছিল, ছোটবেলায় মোজা পরে দেখেছেন বুড়ো আঙুলটি বরাবর মোজা ফুটো করে দেয়। তাই মোজা পরা ছেড়ে দেন তিনি। তাই বলে সবাইকে মোজা না পরার পরামর্শ মোটেই দেননি তিনি। শুধু নিজের আরাকেই প্রাধান্য দেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশে অভ্যুত্থানের পর আমেরিকা প্রকাশ্যে এসে বড় ঘোষণা

বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের ‘উদ্ভট’ সব কাণ্ড

আপডেট সময় ০২:৪১:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২২

‘বিখ্যাত হওয়ার জ্বালা অনেক’ -আজও এমন ধারণা রয়েছে আমাদের। এই তত্ত্বকে সর্বাংশে ভুল বলে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। কারণ বিখ্যাত মানুষের হাঁটা-চলা, বসা, খাওয়া-দাওয়া সবকিছুর ওপরই নজর থাকে সবার। তার কোনও অভ্যাস বাঁধাধরা নিয়মের মধ্যে না থাকলেই, তা নিয়ে শুরু হয় কাটাছেঁড়া।

বিজ্ঞানের দুনিয়ায় প্রতিভা বিচ্ছুরণ ঘটালেও, সেই কাটাছেঁড়া থেকে রক্ষা পাননি স্বয়ং অ্যালবার্ট আইনস্টাইনও। তার গবেষণা, আবিষ্কার, তত্ত্ব যেমন আজকের দিনেও সমান প্রাসঙ্গিক। তেমনই তার কিছু অভ্যাসের কথাও ঘুরে ফিরে উঠে আসে। মজগাস্ত্রে শান দিতেই তিনি কিছু অভ্যাস রপ্ত করেছিলেন বলে মনে করেন কেউ কেউ। অনেকে আবার সেগুলোকে ‘উদ্ভট’ কাণ্ড কারখানা বলেও মনে করেন।

যত ব্যস্ততাই থাকুক না কেন, দিন ১০ ঘণ্টার ঘুমে কখনও হেরফের হতে দেননি আইনস্টাইন। আজকের দিনে মানুষের জীবনযাত্রার সঙ্গে তুলনা টানলে, বিস্তর ফারাক ধরা পড়ে। আজকের দিনে মানুষ গড়ে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতে পারেন।

বেশি ঘুমোলে আজকাল অলস তকমা জুড়ে যায় গায়ে। কিন্তু একাধিক বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় দেখা গেছে, মস্তিষ্ক সচল রাখতে পর্যাপ্ত ঘুম অবশ্যপ্রয়োজন। আইনস্টাইনও তাই ঘুমের সঙ্গে আপস করেননি কখনও। জানা যায়, ঘুমের মধ্যে স্বপ্নে থিওরি অব রিলেটিভিটির তত্ত্ব মাথায় আসে আইনস্টাইনের।

dhakapost

হাঁটার সময় অন্যদিকে মাথা ঘামানোর কাজ থেকে রক্ষা পায় মস্তিষ্ক। ফলে মনের মধ্যে চলা ভাবনা-চিন্তার সঙ্গে সংযুক্ত বোধ করে। ফলে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে বাজিমাত করা সম্ভব হয়। আইনস্টাইন বলেছিলেন, আদিমযুগের চিন্তাভাবনা দিয়ে সমস্যার সমাধান হয় না। তাই মগজাস্ত্রের ঘষামাজার পক্ষে ছিলেন তিনি।

ভায়োলিন বাজানোর শখ ছিল আইনস্টাইনের। হেঁটে হেঁটে পাখি দেখতে যাওয়া সময়ও কাঁধে থাকত ভায়োলিন। বাজিয়ে যেতেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এমনকি গানে গানেই চিন্তাভাবনা করেন এবং সঙ্গীতের মধ্যেই তার দিবাস্বপ্ন ডানা মেলে উড়তে পারে বলে জানান। বিজ্ঞানীরা বলেন, ক্লাসিক্যাল গানে মানসিক চাপ কমে।

নুড়ুলস খেতে অসম্ভব ভালোবাসতেন। ইতালির যে জিনিসই পছন্দে ছিল তার, নুড়ুলস এবং গণিতজ্ঞ, লেভি-সিবিথা। শরীরের ২০ শতাংশ এনার্জি মস্তিষ্কই গ্রহণ করে। পাস্তায় থাকা কার্বোহাইড্রেট চাঙ্গা থাকে শরীর।

সিগারেট বা মদ নয়, চুরুট খাওয়া অসম্ভব পছন্দ ছিল আইনস্টাইনের। আজকের দিনে এর পরিণতি কী হতে পারে সবারই জানা। তাও বিশেষ করে প্রকাশ্যে চুরুট টানতে পছন্দ করতেন তিনি। কলেজের ক্যাম্পাসেও তার মুখে ঝুলত চুরুট। তার বক্তব্য ছিল, “মনুষ্যঘটিত সবকিছু শান্তিপূর্ণ এবং নিরপেক্ষভাবে দেখার নেপথ্যে অনুঘকের কাজ করে চুরুট”।

কয়েক দশক পর কীট-পতঙ্গ, পোকামকড় খাদ্যতালিকায় পাকাপাকি জায়গা করে নেমে বলে বেশ কিছু দিন ধরেই জানিয়ে আসতেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু অনেক আগে আইনস্টাইনও পোকামাকড় খেতেন। রাস্তা থেকে তুলে পোকা খাওয়ার নজিরও রয়েছে তার। পোকামাকড়ে প্রচুর পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ভিটামিন, প্রয়োজনীয় খনিজ এবং হেলদি ফ্যাট রয়েছে। মস্তিষ্ক এবং কার্ডিওভাস্কুলার সিস্টেমকে সচল এবং সুস্থ রাখতেই পোকামাকড় খেতেন আইনস্টাইন।

জুতোর সঙ্গে কখনও মোজা পরতেন না আইনস্টাইন। তার যুক্তি ছিল, ছোটবেলায় মোজা পরে দেখেছেন বুড়ো আঙুলটি বরাবর মোজা ফুটো করে দেয়। তাই মোজা পরা ছেড়ে দেন তিনি। তাই বলে সবাইকে মোজা না পরার পরামর্শ মোটেই দেননি তিনি। শুধু নিজের আরাকেই প্রাধান্য দেন।