ঢাকা ০১:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাংলাদেশে অভ্যুত্থানের পর আমেরিকা প্রকাশ্যে এসে বড় ঘোষণা চট্টগ্রাম মহাসড়কের ছোট দারোগার হাট বাজার এলাকায় উল্টো পথে আসা ট্রাকের সঙ্গে বাসের সংঘর্ষ বোরহানউদ্দিনে পৌর বিএনপির সদস্য সচিব আবু জাফর মৃধা’র বসতবাড়িতে হামলা। বনানীর আবাসিক হোটেলে মিলল ৯৮৪ বোতল বিদেশি মদ গাজীপুর কাস্টমসের পিওন কাওসারের কোটি টাকার সম্পত্তি পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন

রাশিয়ার হামলা: বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিক করার আপ্রাণ চেষ্টায় ইউক্রেন

জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে চালানো রাশিয়ার মুহুর্মুহু ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল ইউক্রেনের বেশিরভাগ অঞ্চল। এর ফলে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল পানি সরবরাহও। এখন ক্ষতিগ্রস্থ অবকাঠামোগুলো ঠিক করা শুরু করেছেন ইউক্রেনের জরুরি পরিষেবা প্রদানকারী কর্মকর্তারা। গত ২৪ ঘণ্টায় ৬০ লাখ মানুষের কাছে তারা আবারও বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরিয়ে দিতে পেরেছেন।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় রাতে জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ পুনঃসংযোজন ও পানি সরবরাহ স্বাভাবিক করতে কঠোর পরিশ্রম করছেন তারা।

গত শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) রাজধানী কিয়েভসহ অন্যান্য বড় অঞ্চলে ৭০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল রুশ সেনারা। তাদের এ হামলায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল ইউক্রেনের বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থা। এসব ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে যুদ্ধ শুরুর পর ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

এ ব্যাপারে জেলেনস্কি বলেছেন, ‘গতকালের সন্ত্রাসী হামলার পর অব্যাহতভাবে মেরামত কাজ চলছে। পুরো ব্যবস্থা ঠিক করতে অনেক সময় লাগবে।’

জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাজধানী কিয়েভ, পূর্ব দিকের লভিভ এবং ভিনেস্তসিয়ার মানুষ সবচেয়ে সমস্যায় আছেন।

ইউক্রেনে এখন তীব্র শীতের কারণে তুষারপাত হচ্ছে। ফলে রাশিয়া হামলা চালানোর পরের দিন থেকেই বিদ্যুৎ সংযোগ মেরামতে আপ্রাণ চেষ্টা করছে ইউক্রেন।

এদিকে শুক্রবারের হামলার পর শনিবার একটি বিবৃতি দেয় রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তারা দাবি করে, হামলায় বিদেশিদের পাঠানো অস্ত্র ও গোলাবারুদ পরিবহণ চেষ্টা ব্যর্থ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ইউক্রেনের অস্ত্র, সামরিক সরঞ্জাম এবং গোলাবারুদ তৈরির কারখানা ধ্বংস করার দাবি করেছে তারা।

এদিকে ইউক্রেনে মুহুর্মুহু ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মধ্যে সেনা কমান্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। জানা গেছে, ইউক্রেনে পরবর্তীতে কথিত বিশেষ সামরিক অভিযান কিভাবে পরিচালনা করা হবে সে বিষয়ে আলোচনা করেছেন তিনি।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশে অভ্যুত্থানের পর আমেরিকা প্রকাশ্যে এসে বড় ঘোষণা

রাশিয়ার হামলা: বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিক করার আপ্রাণ চেষ্টায় ইউক্রেন

আপডেট সময় ০১:৩২:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২২

জ্বালানি অবকাঠামো লক্ষ্য করে চালানো রাশিয়ার মুহুর্মুহু ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল ইউক্রেনের বেশিরভাগ অঞ্চল। এর ফলে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল পানি সরবরাহও। এখন ক্ষতিগ্রস্থ অবকাঠামোগুলো ঠিক করা শুরু করেছেন ইউক্রেনের জরুরি পরিষেবা প্রদানকারী কর্মকর্তারা। গত ২৪ ঘণ্টায় ৬০ লাখ মানুষের কাছে তারা আবারও বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরিয়ে দিতে পেরেছেন।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় রাতে জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ পুনঃসংযোজন ও পানি সরবরাহ স্বাভাবিক করতে কঠোর পরিশ্রম করছেন তারা।

গত শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) রাজধানী কিয়েভসহ অন্যান্য বড় অঞ্চলে ৭০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল রুশ সেনারা। তাদের এ হামলায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল ইউক্রেনের বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থা। এসব ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে যুদ্ধ শুরুর পর ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

এ ব্যাপারে জেলেনস্কি বলেছেন, ‘গতকালের সন্ত্রাসী হামলার পর অব্যাহতভাবে মেরামত কাজ চলছে। পুরো ব্যবস্থা ঠিক করতে অনেক সময় লাগবে।’

জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাজধানী কিয়েভ, পূর্ব দিকের লভিভ এবং ভিনেস্তসিয়ার মানুষ সবচেয়ে সমস্যায় আছেন।

ইউক্রেনে এখন তীব্র শীতের কারণে তুষারপাত হচ্ছে। ফলে রাশিয়া হামলা চালানোর পরের দিন থেকেই বিদ্যুৎ সংযোগ মেরামতে আপ্রাণ চেষ্টা করছে ইউক্রেন।

এদিকে শুক্রবারের হামলার পর শনিবার একটি বিবৃতি দেয় রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তারা দাবি করে, হামলায় বিদেশিদের পাঠানো অস্ত্র ও গোলাবারুদ পরিবহণ চেষ্টা ব্যর্থ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ইউক্রেনের অস্ত্র, সামরিক সরঞ্জাম এবং গোলাবারুদ তৈরির কারখানা ধ্বংস করার দাবি করেছে তারা।

এদিকে ইউক্রেনে মুহুর্মুহু ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মধ্যে সেনা কমান্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। জানা গেছে, ইউক্রেনে পরবর্তীতে কথিত বিশেষ সামরিক অভিযান কিভাবে পরিচালনা করা হবে সে বিষয়ে আলোচনা করেছেন তিনি।