ঢাকা ০৮:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বাংলাদেশে অভ্যুত্থানের পর আমেরিকা প্রকাশ্যে এসে বড় ঘোষণা চট্টগ্রাম মহাসড়কের ছোট দারোগার হাট বাজার এলাকায় উল্টো পথে আসা ট্রাকের সঙ্গে বাসের সংঘর্ষ বোরহানউদ্দিনে পৌর বিএনপির সদস্য সচিব আবু জাফর মৃধা’র বসতবাড়িতে হামলা। বনানীর আবাসিক হোটেলে মিলল ৯৮৪ বোতল বিদেশি মদ গাজীপুর কাস্টমসের পিওন কাওসারের কোটি টাকার সম্পত্তি পিলখানা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ আখ্যায়িত করার দাবি বাকেরগঞ্জের বিরঙ্গল দারুসুন্নাত নেছারিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির বিভিন্ন অনিয়ম রয়েছে গোপালগঞ্জের সোহাগ একসঙ্গে দুই সরকারি চাকরি করেন বেরোবিতে স্বৈরাচারী দোসর ও শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ষড়যন্ত্রকারী এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের প্রতিবাদে মানববন্ধন

ভারতের সাথে সীমান্ত স্থিতিশীল রয়েছে, সংঘর্ষের পর জানাল চীন

ভারতের অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং সেক্টরের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলএসি) কাছে চীনের সৈন্যদের সাথে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর সদস্যদের সংঘর্ষের পর সীমান্ত পরিস্থিতি বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানিয়েছে চীন। বুধবার চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেছেন, ভারত-চীন সীমান্তের পরিস্থিতি মোটাদাগে স্থিতিশীল রয়েছে।

গত শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) উভয় দেশের সৈন্যদের মাঝে সংঘর্ষের এই ঘটনা ঘটলেওতা প্রকাশ্যে এসেছে সোমবার। ওই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কয়েকজন সৈন্য আহত হয়েছেন বলে ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং সেক্টরে শুক্রবার চীনা ও ভারতীয় সৈন্যদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে স্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, এই সংঘর্ষে উভয়পক্ষের সৈন্যরা আহত হয়েছেন। সীমান্তে সংঘর্ষের এই ঘটনা কূটনৈতিকভাবে চীনের কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ভারতের এই প্রতিরক্ষামন্ত্রী।

এশিয়ার দুই জায়ান্ট ভারত-চীনের মাঝে প্রায় আড়াই বছর সীমান্ত সংঘর্ষের এই ঘটনা নতুন করে উত্তেজনা তৈরি করেছে। এর আগে, ২০২০ সালের জুন মাসে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চীনা-নিয়ন্ত্রিত তিব্বত মালভূমিতে ভারতীয় ও চীনা সৈন্যদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। সেই সময় উভয় দেশের সৈন্যরা হাতাহাতি, কিল-ঘুষিতে জড়িয়ে পড়েন।

ভারতীয় কর্তৃপক্ষ সীমান্তে চীনা সৈন্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতের সামরিক বাহিনীর অন্তত ২০ সৈন্য নিহত হন বলে সেই সময় স্বীকার করে। যদিও চীন ওই সংঘাতের ঘটনায় তাদের কোনও সৈন্য হতাহত হয়েছে কিনা তা প্রকাশ করেনি।

তবে ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে চীনের ৪০ জনের বেশি সৈন্য নিহত হয়েছিলেন বলে জানানো হয়। এই সংঘর্ষের পর উভয়পক্ষ মরুভূমি অঞ্চলে তাদের সৈন্য, অস্ত্র এবং সামরিক অন্যান্য রসদ বৃদ্ধি করেছিল।

পরে সামরিক কমান্ডার পর্যায়ে দফায় দফায় বৈঠকের পর ভারতীয় ও চীনা সৈন্যদের হিমালয়-সংলগ্ন লাদাখের বিতর্কিত প্যাংগং লেক এলাকা থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।

গত শুক্রবার ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় হিমালয় অঞ্চলের অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং সেক্টরে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই প্রদেশের সাথে চীনের দক্ষিণাঞ্চলের সীমান্ত রয়েছে। আর এই প্রদেশের কিছু অংশকে নিজেদের বলে দাবি করে চীন।

মঙ্গলবার চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) পশ্চিমাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ডের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ভারতীয় সৈন্যরা চীনের সীমান্ত সৈন্যদের নিয়মিত টহল ঠেকাতে ‘অবৈধভাবে লাইন অতিক্রম করেছিল।’

চীনা এই মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমরা ভারতীয় পক্ষকে সম্মুখ সারির সৈন্যদের কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ, সংযত এবং সীমান্তে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে চীনের সাথে কাজ করার আহ্বান জানাই।’

ভারত এবং চীনের মাঝে প্রায় ৩ হাজার ৮০০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। যেখানে উভয় দেশের সৈন্যরা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) নামে পরিচিত ডি ফ্যাক্টো সীমান্তে যেকোনও ধরনের আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার এড়াতে দীর্ঘদিনের প্রোটোকল মেনে চলেন। কিন্তু বিতর্কিত এই সীমান্ত এলাকায় চীন-ভারতের সৈন্যরা প্রায়ই সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশে অভ্যুত্থানের পর আমেরিকা প্রকাশ্যে এসে বড় ঘোষণা

ভারতের সাথে সীমান্ত স্থিতিশীল রয়েছে, সংঘর্ষের পর জানাল চীন

আপডেট সময় ০৬:৫৫:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২২

ভারতের অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং সেক্টরের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলএসি) কাছে চীনের সৈন্যদের সাথে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর সদস্যদের সংঘর্ষের পর সীমান্ত পরিস্থিতি বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানিয়েছে চীন। বুধবার চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেছেন, ভারত-চীন সীমান্তের পরিস্থিতি মোটাদাগে স্থিতিশীল রয়েছে।

গত শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) উভয় দেশের সৈন্যদের মাঝে সংঘর্ষের এই ঘটনা ঘটলেওতা প্রকাশ্যে এসেছে সোমবার। ওই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কয়েকজন সৈন্য আহত হয়েছেন বলে ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং সেক্টরে শুক্রবার চীনা ও ভারতীয় সৈন্যদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে স্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, এই সংঘর্ষে উভয়পক্ষের সৈন্যরা আহত হয়েছেন। সীমান্তে সংঘর্ষের এই ঘটনা কূটনৈতিকভাবে চীনের কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ভারতের এই প্রতিরক্ষামন্ত্রী।

এশিয়ার দুই জায়ান্ট ভারত-চীনের মাঝে প্রায় আড়াই বছর সীমান্ত সংঘর্ষের এই ঘটনা নতুন করে উত্তেজনা তৈরি করেছে। এর আগে, ২০২০ সালের জুন মাসে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চীনা-নিয়ন্ত্রিত তিব্বত মালভূমিতে ভারতীয় ও চীনা সৈন্যদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। সেই সময় উভয় দেশের সৈন্যরা হাতাহাতি, কিল-ঘুষিতে জড়িয়ে পড়েন।

ভারতীয় কর্তৃপক্ষ সীমান্তে চীনা সৈন্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে ভারতের সামরিক বাহিনীর অন্তত ২০ সৈন্য নিহত হন বলে সেই সময় স্বীকার করে। যদিও চীন ওই সংঘাতের ঘটনায় তাদের কোনও সৈন্য হতাহত হয়েছে কিনা তা প্রকাশ করেনি।

তবে ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে চীনের ৪০ জনের বেশি সৈন্য নিহত হয়েছিলেন বলে জানানো হয়। এই সংঘর্ষের পর উভয়পক্ষ মরুভূমি অঞ্চলে তাদের সৈন্য, অস্ত্র এবং সামরিক অন্যান্য রসদ বৃদ্ধি করেছিল।

পরে সামরিক কমান্ডার পর্যায়ে দফায় দফায় বৈঠকের পর ভারতীয় ও চীনা সৈন্যদের হিমালয়-সংলগ্ন লাদাখের বিতর্কিত প্যাংগং লেক এলাকা থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।

গত শুক্রবার ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় হিমালয় অঞ্চলের অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং সেক্টরে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই প্রদেশের সাথে চীনের দক্ষিণাঞ্চলের সীমান্ত রয়েছে। আর এই প্রদেশের কিছু অংশকে নিজেদের বলে দাবি করে চীন।

মঙ্গলবার চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) পশ্চিমাঞ্চলীয় থিয়েটার কমান্ডের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ভারতীয় সৈন্যরা চীনের সীমান্ত সৈন্যদের নিয়মিত টহল ঠেকাতে ‘অবৈধভাবে লাইন অতিক্রম করেছিল।’

চীনা এই মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমরা ভারতীয় পক্ষকে সম্মুখ সারির সৈন্যদের কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ, সংযত এবং সীমান্তে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে চীনের সাথে কাজ করার আহ্বান জানাই।’

ভারত এবং চীনের মাঝে প্রায় ৩ হাজার ৮০০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। যেখানে উভয় দেশের সৈন্যরা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) নামে পরিচিত ডি ফ্যাক্টো সীমান্তে যেকোনও ধরনের আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার এড়াতে দীর্ঘদিনের প্রোটোকল মেনে চলেন। কিন্তু বিতর্কিত এই সীমান্ত এলাকায় চীন-ভারতের সৈন্যরা প্রায়ই সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন।