ঢাকা ০৩:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্ত দাবি শহিদ পরিবারের ৩১ ডিসেম্বর শহীদ মিনারে কর্মসূচি ঘিরে বিশেষ ট্রাফিক নির্দেশনা মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রাথমিক প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে ৭ দিন ধৈর্য ধরতে বললেন বিসিবি সভাপতি বড়াইগ্রামের ইউএনওর কাঁধে ১৬৮ পদের ভার জয়পুরহাটে মুজিবকোট পুড়িয়ে আওয়ামী লীগ নেতার পদত্যাগ মুরাদনগর বাংগরা বাজার থানায় বিপুল পরিমাণ ভারতীয় চিনি জব্দ রামগঞ্জের জমি নিয়ে বিরোধ, বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের উপর প্রতিপক্ষের হামলা আহত-৬ মঠবাড়িয়ায় চলাচলের পথ আটকিয়ে জমি দখল ও পুকুরের মাছ ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাঁচবিবিতে রাস্তা পাকাকরণ কাজের উদ্বোধন

পানিতে চুবিয়ে ইঁদুর মারার দায়ে মামলা, হলো ময়নাতদন্তও

খুনের অভিযোগ বা কোনও অস্বাভাবিক মৃত্যুর ক্ষেত্রে মরদেহের ময়নাতদন্ত একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কী কারণে মৃত্যু ঘটেছে তা বেরিয়ে আসে এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। হাসপাতালের মর্গগুলোতে মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়ে থাকে এবং অবশ্যই তা মানুষের মরদেহের।

কিন্তু কখনও কি শুনেছেন মৃত ইঁদুরের ময়নাতদন্ত? সত্যিই এবার এমনই এক ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের বাদাউন জেলায়। গত শনিবার (২৬ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ট্রিবিউন ইন্ডিয়া।

এদিকে সোমবার এক প্রতিবেদনে ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, বাদাউনে ইঁদুর মারার অভিযোগে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। প্রাণীদের প্রতি নিষ্ঠুরতা প্রতিরোধ আইনের ৪২৯, ১১(১) (১) এর অধীনে সদর কোতয়ালি থানায় মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে।

সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, মনোজ কুমার নামে এক ব্যক্তি একটি ইঁদুর ধরে সেটির লেজ একটি বড় পাথরের সঙ্গে বেঁধে রাস্তার ধারের নর্দমায় ফেলে দেন। পরে এক ব্যক্তি ইঁদুরকে উদ্ধার করে ওপরে তুললেও তাতে বেশ দেরি হয়ে যায়। এ ঘটনায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।

সংবাদমাধ্যম বলছে, মনোজ কুমার যখন ইঁদুরকে নর্দমায় ফেলতে উদ্যত হন তখন পাশেই ছিলেন বিকেন্দ্র শর্মা নামে এক ব্যক্তি। তিনি মনোজ কুমারকে বাধা দেন। কিন্তু কোনও তোয়াক্কা না করে পাথরে লেজ বাঁধা অবস্থায় ইঁদুরটিকে নর্দমার মধ্যে ফেলে দেন অভিযুক্ত ব্যক্তি। সঙ্গে সঙ্গে বিকেন্দ্র শর্মা নর্দমা থেকে ইঁদুরটিকে উদ্ধার করেন। কিছুক্ষণের মধ্যে বেরও করে আনেন ইঁদুরটিকে। কিন্তু ততক্ষণে সেই ইঁদুরটি মারা যায়।

বিক্ষুব্ধ বিকেন্দ্র শর্মা এমন কাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন করলে মনোজ জানান, সে এইভাবেই ইঁদুর মারে এবং ভবিষ্যতেও তাই করবে। বিকেন্দ্র বিষয়টি হালকা ভাবে নেননি এবং সোজা পুলিশের কাছে গিয়ে অভিযোগ করেন মনোজের নামে। ওই মৃত ইঁদুরের দেহের ময়নাতদন্তের পাশাপাশি পশুদের ওপর অত্যাচার দমন আইনের আওতায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও জানান তিনি।

পুলিশের ডিএসপি (সিটি) অলোক মিশ্র জানিয়েছেন, অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল। অভিযোগের ভিত্তিতে ওই মৃত ইঁদুরটিকে বাদাউনের একটি পশু হাসপাতালে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তারা সেটির ফরেনসিক করতে রাজি না হওয়ায় ইঁদুরের মরদেহকে বেরেইলির আইভিআরআই-তে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

অলোক মিশ্র আরও জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসলে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে তার দাবি, ‘অ্যানিম্যালস’-এর তালিকায় ইঁদুর আসে না। আর সেই কারণে প্রিভেনশন অব ক্রুয়েল্টি টু অ্যানিম্যালস অ্যাক্ট এই অভিযোগের ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য হবে না।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্ত দাবি শহিদ পরিবারের

পানিতে চুবিয়ে ইঁদুর মারার দায়ে মামলা, হলো ময়নাতদন্তও

আপডেট সময় ০৪:৪২:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ নভেম্বর ২০২২

খুনের অভিযোগ বা কোনও অস্বাভাবিক মৃত্যুর ক্ষেত্রে মরদেহের ময়নাতদন্ত একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কী কারণে মৃত্যু ঘটেছে তা বেরিয়ে আসে এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। হাসপাতালের মর্গগুলোতে মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়ে থাকে এবং অবশ্যই তা মানুষের মরদেহের।

কিন্তু কখনও কি শুনেছেন মৃত ইঁদুরের ময়নাতদন্ত? সত্যিই এবার এমনই এক ঘটনা ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের বাদাউন জেলায়। গত শনিবার (২৬ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ট্রিবিউন ইন্ডিয়া।

এদিকে সোমবার এক প্রতিবেদনে ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, বাদাউনে ইঁদুর মারার অভিযোগে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। প্রাণীদের প্রতি নিষ্ঠুরতা প্রতিরোধ আইনের ৪২৯, ১১(১) (১) এর অধীনে সদর কোতয়ালি থানায় মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে।

সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, মনোজ কুমার নামে এক ব্যক্তি একটি ইঁদুর ধরে সেটির লেজ একটি বড় পাথরের সঙ্গে বেঁধে রাস্তার ধারের নর্দমায় ফেলে দেন। পরে এক ব্যক্তি ইঁদুরকে উদ্ধার করে ওপরে তুললেও তাতে বেশ দেরি হয়ে যায়। এ ঘটনায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।

সংবাদমাধ্যম বলছে, মনোজ কুমার যখন ইঁদুরকে নর্দমায় ফেলতে উদ্যত হন তখন পাশেই ছিলেন বিকেন্দ্র শর্মা নামে এক ব্যক্তি। তিনি মনোজ কুমারকে বাধা দেন। কিন্তু কোনও তোয়াক্কা না করে পাথরে লেজ বাঁধা অবস্থায় ইঁদুরটিকে নর্দমার মধ্যে ফেলে দেন অভিযুক্ত ব্যক্তি। সঙ্গে সঙ্গে বিকেন্দ্র শর্মা নর্দমা থেকে ইঁদুরটিকে উদ্ধার করেন। কিছুক্ষণের মধ্যে বেরও করে আনেন ইঁদুরটিকে। কিন্তু ততক্ষণে সেই ইঁদুরটি মারা যায়।

বিক্ষুব্ধ বিকেন্দ্র শর্মা এমন কাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন করলে মনোজ জানান, সে এইভাবেই ইঁদুর মারে এবং ভবিষ্যতেও তাই করবে। বিকেন্দ্র বিষয়টি হালকা ভাবে নেননি এবং সোজা পুলিশের কাছে গিয়ে অভিযোগ করেন মনোজের নামে। ওই মৃত ইঁদুরের দেহের ময়নাতদন্তের পাশাপাশি পশুদের ওপর অত্যাচার দমন আইনের আওতায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও জানান তিনি।

পুলিশের ডিএসপি (সিটি) অলোক মিশ্র জানিয়েছেন, অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছিল। অভিযোগের ভিত্তিতে ওই মৃত ইঁদুরটিকে বাদাউনের একটি পশু হাসপাতালে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তারা সেটির ফরেনসিক করতে রাজি না হওয়ায় ইঁদুরের মরদেহকে বেরেইলির আইভিআরআই-তে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

অলোক মিশ্র আরও জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসলে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে তার দাবি, ‘অ্যানিম্যালস’-এর তালিকায় ইঁদুর আসে না। আর সেই কারণে প্রিভেনশন অব ক্রুয়েল্টি টু অ্যানিম্যালস অ্যাক্ট এই অভিযোগের ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য হবে না।