ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেছেন, ২০১৮ সালে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত হয়েছি। এ সফলতা ধরে রেখে আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এ রূপান্তরিত হতে চাই।
তিনি বলেন, টেলি কমিউনিকেশনের মূল উদ্দেশ্য হলো, একটি দেশের পুরো জনসংখ্যাকে যোগাযোগের আওতায় নিয়ে আসা। করোনা এবং এর পরবর্তী সময়ে টেলিকম নেটওয়ার্কের ব্যবহার অনেক বেড়ে যায়। দৈনন্দিন কাজকর্মে মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করতে থাকে।
বুধবার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানের হুয়াওয়ে বাংলাদেশ একাডেমিতে ‘কানেকটিভিটি-ইনোভেট ফর ইমপ্যাক্ট’ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল মাধ্যমে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় মন্ত্রী নিরবচ্ছিন্ন সার্ভিস দেওয়ার জন্য টেলিকম অপারেটর ও হুয়াওয়েকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমার বিশ্বাস, এই সহযোগিতা গুলোর মাধ্যমে ফাইভজি প্রযুক্তি দ্বারা আমাদের পঞ্চম শিল্প বিপ্লবের দিকে নিয়ে যাবে। আমরা ইতোমধ্যেই ফাইভজি ইন্টারনেটের পরীক্ষামূলক সম্প্রচার চালিয়েছি। এই প্রযুক্তির ফলে সারা বাংলাদেশের মানুষ একটি যোগাযোগ ব্যবস্থার ভেতর চলে আসবে।
মন্ত্রী বলেন, ১৯৯৭ সালে আমাদের ২জি ইন্টারনেটের যাত্রা শুরু হয়। ২০১৩ সালে থ্রিজি এবং ২০১৮ সালে ফোরজি ইন্টারনেটে প্রবেশ করি। দ্রুতই আমরা ৫জি ইন্টারনেটে প্রবেশ করবো।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষকে কানেক্টিভিটির আওতায় নিয়ে আসা একটা চ্যালেঞ্জিং কাজ ছিল। কারণ এখানে ভূমির নানা রকম তারতম্য ছিল। সমতল, পাহাড়, নদী-সাগর ইত্যাদি। একইসঙ্গে এটি ঘনবসতিপূর্ণ একটি দেশ। তবে আমরা এখন বিশালসংখ্যক মানুষকে ফোরজি ইন্টারনেটের আওতায় নিয়ে আসতে পেরেছি।
ঢাকায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হুয়াওয়ে টেকনোলজি বাংলাদেশের হেড অব মিডিয়া তানভীর আহমেদ, এশিয়াটিক ৩৬০ এর মিডিয়া রিলেশনস অফিসার উম্মে সালমা প্রমুখ।
চীনের শেনঝেনে অনুষ্ঠিত মূল আয়োজনে হুয়াওয়ে আন্তর্জাতিক টেলি কমিউনিকেশন ইউনিয়নের পার্টনার টু কানেক্ট ডিজিটাল অ্যালায়েন্সে (জোট) যোগদানের জন্য একটি বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি স্বাক্ষর করেছে। এ উদ্যোগটি ২০২৫ সালের মধ্যে ৮০টিরও বেশি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রায় ১২ কোটি মানুষকে কানেক্টিভিটি সুবিধার আওতায় নিয়ে আসবে।
হুয়াওয়ের চেয়ারম্যান লিয়াং হুয়া প্রতিষ্ঠানটির ২০২২ সাসটেইনেবিলিটি ফোরাম, কানেক্টিভিটি+, ইনোভেট ফর ইম্প্যাক্ট এ এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে ঘোষণা করেন। কীভাবে আইসিটি উদ্ভাবন ডিজিটাল অর্থনীতির যুগে কানেক্টিভিটির ব্যবসায়িক ও সামাজিক অগ্রগতি এবং স্থায়িত্বকে ত্বরান্বিত করতে পারে, ফোরামে সে বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়।
মোস্তাফা জব্বারের পাশাপাশি আইটিইউ এবং জাতিসংঘের সিনিয়র নেতারা, কম্বোডিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তানের টেলিকমমন্ত্রী, নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ী নেতারা অনলাইনে এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্যে ড. লিয়াং বলেন, ডিজিটাল যুগে স্থিতিশীল নেটওয়ার্ক ব্যবহারের বিষয়টি মানুষের মৌলিক চাহিদা। যারা সংযোগ বিহীন রয়েছেন, তাদের জীবন পরিবর্তনের জন্য প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত করে নির্ভরযোগ্য কানেক্টিভিটি। তিনি আরও বলেন, সুবিধাজনক যোগাযোগের জন্য কানেক্টিভিটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ।