কাতার বিশ্বকাপে ইসলাম ধর্ম বিষয়ক বিতর্কিত বক্তা জাকির নায়েককে নিয়ে কয়েকদিন ধরেই সরব ভারত। দোহায় জাকিরের উপস্থিতির কথা জানতে পেরে উষ্মা প্রকাশ করে ভারত।
এর জবাবে কাতার প্রশাসন ভারতকে জানিয়েছে, সরকারিভাবে জাকির নায়েককে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। তিনি নিজ উদ্যোগেই কাতারে এসেছেন।
এরআগে ভারত কাতারকে জানিয়েছিল, জাকির যদি সরকারিভাবে আমন্ত্রণ পেয়ে থাকেন, তবে ভারতও তার প্রতিনিধিকে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পাঠাবে না।
ভারতের প্রতিনিধি হিসাবে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। তবে কাতার সফর কাটছাঁট করে তার পরদিনই দেশে ফিরে আসেন তিনি।
আবার কাতার বিশ্বকাপে জাকির নায়েকের উপস্থিতির কারণে ভারতে এ বিশ্বকাপ বয়কটের ডাক দিয়েছেন এক বিজেপি নেতা।
স্যাভিও রডরিগেজ নামে ওই বিজেপি নেতার মতে, জাকিরের মতো ব্যক্তিকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে বক্তব্য রাখার সুযোগ করে দেওয়ার অর্থ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইকে রুখে দেওয়া।
স্যাভিও বলছেন, বিশ্বকাপ একটি আন্তর্জাতিক মঞ্চ। সারা দুনিয়ার মানুষ এই টুর্নামেন্টের দিকে তাকিয়ে থাকেন। এত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্ল্যাটফর্মে জাকির নায়েককে বক্তৃতার সুযোগ দেওয়ার অর্থ তার ঘৃণা ছড়ানোর আদর্শকে সমর্থন করা।
জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে ঘৃণা উদ্রেককারী বক্তব্য ছড়িয়ে দেয়া এবং সন্ত্রসবাদে উসকানি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। জাকির নায়েক নায়েক তার টেলিভিশন চ্যানেল ‘পিস টিভি’র মাধ্যমে কট্টরপন্থী ইসলামী মতবাদ প্রচার করে থাকেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশ ও ভারতে পিস টিভির সম্প্রচার নিষিদ্ধ হলেও বিশ্বব্যাপী এই চ্যানেলের কোটি কোটি দর্শক রয়েছে। দুবাইভিত্তিক এই চ্যানেলের মালিকানা ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন নামের একটি সংস্থার। জাকির নায়েক নিজেই এ সংস্থার প্রধান।
২০১৬ সালে গুলশানে হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলা চালানো বন্দুকধারীদের একজন ‘পিস টিভি’র মাধ্যমে হামলায় উৎসাহিত হয়েছিল- এমন অভিযোগ ওঠার পর বাংলাদেশেও পিস টিভির সম্প্রচার বন্ধ করা হয়।
মুম্বাইয়ের মুসলমান অধ্যুষিত এলাকা ডংগ্রিতে ১৯৬৫ সালে এক চিকিৎসক পরিবারে জন্ম জাকির নায়েকের।