ঢাকা ০৫:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
নারায়ে তাকবির ও জিন্দাবাদ স্লোগান নিয়ে যা জানালেন মির্জা আব্বাস বাংলাদেশ প্রেসক্লাব পাবনা জেলা শাখার সম্মেলন ২০২৪ অনুষ্ঠিত হাসিনাকে ফেরত পাঠানো নিয়ে নতুন তথ্য জানাল ভারতীয় সংবাদমাধ্যম মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দিনের মত যেন জালে না পড়েন, ড. ইউনূসকে ফারুক সংস্কারের বিষয়ে সরকার একা সিদ্ধান্ত নেবে না: উপদেষ্টা মাহফুজ বিজয় দিবস উপলক্ষে পটুয়াখালীতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান। আ.লীগকে নিষিদ্ধের বিষয়ে কেউ স্পষ্ট বক্তব্য দিচ্ছে না: রাশেদ খান ভোটার হওয়ার বয়স ১৭ বছর হওয়া উচিত: ড. ইউনূস পটুয়াখালীতে খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত দিল্লিতে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন মনমোহন সিংয়ের

খাবারের পসরা হাতে ফুটবলপ্রেমীদের মন জয় করছে কাতারের শিশুরা

কাতারের খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের বাইরে একদল শিশু নানা স্বাদের ঘরোয়া খাবারের পসরা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে কাতারে আসা ফুটবলপ্রেমীদের জন্য আতিথেয়তার এই পসরা সাজিয়েছে তারা। আরবের বিভিন্ন স্বাদের খাবার তারা ফুটবলপ্রেমীদের আতিথেয়তায় বিলিয়ে দিচ্ছে। এ জন্য কোনও অর্থ নিচ্ছে না। কেবল কাতারিদের আতিথেয়তায় দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করার জন্য এই আয়োজন তাদের।

খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের বাইরে এমনই কয়েকজন শিশুকে পাওয়া গেল। আলী, রাওদা, মুনিরা ও আলী নামের এই চার শিশু প্রত্যেক ফুটবলপ্রেমীকে খাবারের স্বাদ গ্রহণের প্রস্তাব দিচ্ছে। অনেকেই তাদের এমন আতিথেয়তায় মুগ্ধ হয়ে খাবার গ্রহণ করছে।

তারা খাবারের যে পসরা নিয়ে দাঁড়িয়েছে তাতে রয়েছে আরবের সুস্বাদু খাবার লুগাইমাৎ, ওগাইলি কাপকেক এবং আরবি কফি।

ওই চার শিশুর একজনের মা লুলুয়া আলজাজিরাকে বলেন, ‘আমরা চেয়েছিলাম আমাদের সন্তানরা এমন কিছু করুক যাতে তারা নিজেদেরকে বিশ্বকাপের অংশ মনে করে। তাই আমরা তাদের এখানে নিয়ে আসার এবং বিশ্বকে দেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, আমরা তাদের খোলা হৃদয়ে স্বাগত জানাই।’

dhakapost

শিশুদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় জাপানি একটি পরিবার থমকে দাঁড়ায়। তারা শিশুদের পসরা থেকে সুস্বাদু খাবার তুলে নিজেদের মুখে দেয়। আনন্দে আত্মহারা শিশুদের সঙ্গে ছবিও তোলে তারা।

তবে তাদের মাঝে সবচেয়ে ভালো সময়টা কাটিয়েছে আলী নামের ছোট্ট শিশুটি। কারণ যখন অন্যরা কথাবার্তায় ব্যস্ত তখন মিনি কাপ কেক খাওয়ার সুযোগ একবারের জন্যও হাতছাড়া করছে না সে।

ফুটবলপ্রেমীরা তাদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় থামছে, তাদের সঙ্গে গল্প করছে, হালকা খেয়েও নিচ্ছে, সঙ্গে ছবিও তুলছে। তাদের এমন উদ্যোগ বিশ্বকে জানিয়ে দিচ্ছে কাতারিদের আতিথেয়তায় মুগ্ধতা ছড়ানোর গল্প।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নারায়ে তাকবির ও জিন্দাবাদ স্লোগান নিয়ে যা জানালেন মির্জা আব্বাস

খাবারের পসরা হাতে ফুটবলপ্রেমীদের মন জয় করছে কাতারের শিশুরা

আপডেট সময় ১০:১৬:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২২

কাতারের খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের বাইরে একদল শিশু নানা স্বাদের ঘরোয়া খাবারের পসরা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে কাতারে আসা ফুটবলপ্রেমীদের জন্য আতিথেয়তার এই পসরা সাজিয়েছে তারা। আরবের বিভিন্ন স্বাদের খাবার তারা ফুটবলপ্রেমীদের আতিথেয়তায় বিলিয়ে দিচ্ছে। এ জন্য কোনও অর্থ নিচ্ছে না। কেবল কাতারিদের আতিথেয়তায় দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করার জন্য এই আয়োজন তাদের।

খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের বাইরে এমনই কয়েকজন শিশুকে পাওয়া গেল। আলী, রাওদা, মুনিরা ও আলী নামের এই চার শিশু প্রত্যেক ফুটবলপ্রেমীকে খাবারের স্বাদ গ্রহণের প্রস্তাব দিচ্ছে। অনেকেই তাদের এমন আতিথেয়তায় মুগ্ধ হয়ে খাবার গ্রহণ করছে।

তারা খাবারের যে পসরা নিয়ে দাঁড়িয়েছে তাতে রয়েছে আরবের সুস্বাদু খাবার লুগাইমাৎ, ওগাইলি কাপকেক এবং আরবি কফি।

ওই চার শিশুর একজনের মা লুলুয়া আলজাজিরাকে বলেন, ‘আমরা চেয়েছিলাম আমাদের সন্তানরা এমন কিছু করুক যাতে তারা নিজেদেরকে বিশ্বকাপের অংশ মনে করে। তাই আমরা তাদের এখানে নিয়ে আসার এবং বিশ্বকে দেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, আমরা তাদের খোলা হৃদয়ে স্বাগত জানাই।’

dhakapost

শিশুদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় জাপানি একটি পরিবার থমকে দাঁড়ায়। তারা শিশুদের পসরা থেকে সুস্বাদু খাবার তুলে নিজেদের মুখে দেয়। আনন্দে আত্মহারা শিশুদের সঙ্গে ছবিও তোলে তারা।

তবে তাদের মাঝে সবচেয়ে ভালো সময়টা কাটিয়েছে আলী নামের ছোট্ট শিশুটি। কারণ যখন অন্যরা কথাবার্তায় ব্যস্ত তখন মিনি কাপ কেক খাওয়ার সুযোগ একবারের জন্যও হাতছাড়া করছে না সে।

ফুটবলপ্রেমীরা তাদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় থামছে, তাদের সঙ্গে গল্প করছে, হালকা খেয়েও নিচ্ছে, সঙ্গে ছবিও তুলছে। তাদের এমন উদ্যোগ বিশ্বকে জানিয়ে দিচ্ছে কাতারিদের আতিথেয়তায় মুগ্ধতা ছড়ানোর গল্প।