সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং বল্লাঘাট সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতীয় চোরাচালান কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না। আজির উদ্দিনের নেতৃত্বে চোরাকারবারিরা বেপরোয়া ভাবে ভারতীয় পণ্য সামগ্রী নিয়ে আসছে বাংলাদেশে।
জানা গেছে, আজির উদ্দিন চোরাকারবারিদের কাছ থেকে নিয়মের অতিরিক্ত টাকা আদায় করার চেষ্টা করছেন। এতে চোরাকারবারিরা আজির উদ্দিন বাহিনীর সাথে একের পর এক সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছেন। তার ফলে কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না পুলিশ- বিজিবির ও বিএনপির নামে তাদের চাঁদাবাজি।
সূত্র জানায়,আজির উদ্দিন বাহিনীর এমন চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ চোরাকারবারিরা। স্থানীয় প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোন ধরনের আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় স্থানীয়দের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম ক্ষোভ। ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর বর্তমানে বিএনপির নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে লাইনম্যান আজির উদ্দিনসহ তার কয়েক সহযোগীর বিরুদ্ধে ।
জাফলং সীমান্ত এলাকার জিরো পয়েন্ট সিঁড়ির ঘাট লন্ডন বাজার এলাকা ও বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে নিরাপদে ওপার ভারত থেকে ভারতীয় চিনি, কিট, কসমেটিক, শাড়ি, থ্রিপিস, লেহেঙ্গা, মদ, ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য সামগ্রী বাংলাদেশ প্রবেশ করছে, আর তার বিনিময়ে ভারতে যাচ্ছে চায়না রসুন, সুটকি,মটরশুঁটি,ইত্যাদি পণ্য সামগ্রী।
আজির উদ্দিন বাহিনীর জন্য বিএনপি দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল । এই চাঁদাবাজদের কারণে এলাকায় ভারতীয় চোরাচালান ব্যবসা বৃদ্ধি পেয়েছে। ওপার ভারত থেকে মদ ,ফেনসিডিলসহ দেশে প্রবেশ করেছে আজির উদ্দিন বাহিনীর নেতৃত্বে এর বিনিময়ে চোরাকারবারিদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকায় রফা-দফার মাধ্যমে চাঁদাবাজি করছে এই সিন্ডিকেট চক্র ।
স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ৫ আগস্টের পর থেকে আজির উদ্দিন চোরাকারবারিদের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে। তারা বিজিবি ও পুলিশের নামে চাঁদা আদায় করে। যার ফলে লাইনম্যান আজির উদ্দিনের জন্য প্রশাসনের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে বলে মনে করেন এলাকার সচেতন মহল।
আঙুল ফুলে কলাগাছ বনতে এই অবৈধ লাইনে চাঁদাবাজ হয়ে আসছেন আজির উদ্দিন। প্রতিদিন-রাতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সীমান্ত এলাকায় মহড়া দিতে থাকে আজির উদ্দিন ও তাদের একটি বিশাল বাহিনীর সদস্যরা নির্ভরযোগ্য একসূত্র তা নিশ্চিত করেছে। যার ফলে এলাকার স্থানীয়রা প্রতিনিয়ত আতঙ্কে জীবন-যাপন করছেন।
এদিকে, সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং সংগ্রাম – তামাবিল বিজিবি ক্যাম্পের আওতাধীন ১২৭২নং আন্তর্জাতিক পিলার হতে ১২৭৭ নং পিলার এলাকা, অন্যান্য এলাকার তুলনায় এই এলাকার সুযোগ সুবিধা ভালো।২ থেকে ৩ মিনিটের মধ্যে বর্ডারের জিরো পয়েন্ট এলাকায় বিনা বাঁধায় ঢুকতে পারে চোরাকারবারিদের গাড়ি সমূহ। সুযোগ সুবিধা ভাল থাকায় উপজেলার এই রোড গুলো দিয়ে অন্তত ৭০ থেকে ১০০ শত কোটি টাকার ভারতীয় মটর সাইকেল, মোবাইল হ্যান্ড সেট, শাড়ী, মহিষ,গরু, কসমেট্রিক্স, হরলিক্স, ইয়াবা, ফেন্সিডিল, বিভিন্ন ব্যান্ডের অফিসার চয়েজ মদ আমদানি নিষিদ্ধ ভারতীয় শেখ নাছির উদ্দিন বিড়ি, বিভিন্ন ব্যান্ডের সিগারেট, সুপারি বাংলাদেশ ঢুকছে।আর ভারতে পাচার হচ্ছে হাজার হাজার বাংলাদেশি শাক-সবজি, ঢাল, চায়না থেকে আমদানি করা রসুন ও দেশীয় রসুন এবং নারী।
জানতে চাইলে চোরাকারবারি আজির উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি চোরাচালানের কথা শিকার করে বলেন আমি শামসুর কাজ করি,আর আমি বিএনপি ছাত্র দল করি । আমরা দলের লোকজন ও আমাদের নেতৃত্বে চলবে সীমান্ত এলাকা , সীমান্ত জুড়ে ভারতীয় চোরাচালান ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে থানা পুলিশের লাইনম্যান হিসেবে কাজ করবে দলের পোলাপান তা না হলে সব বন্ধ থাকবে।
এবিষয়ে জানতে সার্কেল এস পি সাহিদুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলে ও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ব্যাপারে জানতে গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার তোফায়েল আহমেদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সিলেট জেলা পুলিশ সুপার মহোদয়ের সার্বিক দিকনির্দেশনায় মাদক ও চোরাচালান বিরোধী অভিযানে পুলিশ তৎপর রয়েছে।এ বিষয়ে জানতে বিট অফিসার এসআই ওবায়দুল্লাহর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আজ নিয়ে মাত্র ৪ দিন হয় আমি এই বিটের দায়িত্বে এসেছি আমি সবকিছুর খোঁজ খবর নিচ্ছি, অপরাধী যে দলেরই হোক না কেন আমি তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় নিয়ে আসতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।আমাদের পুলিশিং কার্যক্রম চালু আছে ।
সহকারী বিট মোবারক এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমরা পুলিশ অসহায় এখন এলাকার বড় বড় বি এনপি নেতা-কর্মীরা এই সব লাইন নিয়ন্ত্রণ করে। তারা নির্দেশনা দেন কে বা কারা চোরাচালান ব্যবসায়ীদের লাইন নিয়ন্ত্রণ করবে। আর ছাত্রদল নেতা আজির উদ্দিন নেতৃত্বে দিচ্ছে ।