ঢাকা ০৩:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
গোয়াইনঘাটে মুক্ত স্কাউট গ্রুপের অফিসের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় তারুণ্যের উৎসব উদযাপন উপলক্ষে তায়কোয়ানদো প্রতিযোগিতার উদ্বোধন মুগদা থানা তিন সংগঠনের সমন্বয়ক বিক্ষোভ মিছিল আকবর হোসেন স্মৃতি পাঠাগারের শীতবস্ত্র বিতরণ মির্জাপুরে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া হলো ছাড়পত্রবিহীন ৭টি ইটভাটা। বিশিষ্ট শিল্পপতি বিলাসবহুল লঞ্চ অ্যাডভেঞ্চারের মালিক জনাব মোঃ নিজাম উদ্দিন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে যোগদান করেন সিরিয়াকে মাদকের খামারে পরিণত করেছে আসাদ সরকার: এরদোগান অনুমতি ছাড়াই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে অ্যাড আটকাবেন যেভাবে অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থতার দিকে ধাবিত হচ্ছে: রিজভী নাটোরের খুনি আসামী চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার

চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ১১ টাকা, অভিযোগের তীর যাদের দিকে

ঈশ্বরদীর জয়নগর চালের মোকামে গত এক মাসের ব্যবধানে কেজি প্রতি চালের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১১ টাকা। এরমধ্যে বাসমতি চালের ৪০ কেজির বস্তার দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২১০০ টাকায়। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৮ থেকে ৮০ টাকা। মিনিকেট চালের ৪০ কেজির বস্তা বিক্রয় হচ্ছে ১৯০০ টাকায়। প্রতি কেজির দাম পড়ছে ৭২ থেকে ৭৪ টাকা।

এ দুই জাতের চাল কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ১১ টাকা । আমনের ভরা মৌসুমেও চালের এমন চড়া দামে নাভিশ্বাস উঠেছে ভোক্তাদের। ঈশ্বরদী উপজেলা ধান-চাল মালিক গ্রুপের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুলমত হায়দার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ঈশ্বরদী উপজেলায় ১৪টি অটো রাইচমিল আছে। এরমধ্যে মাত্র তিনটি মিল মালিকরা নিজে পরিচালনা করেন। বাকিগুলো ছোট চাল ব্যবসায়ীরা ৮-১০ জন যৌথভাবে ভাড়া নিয়ে চাল তৈরি করেন। তারা বাজারের চাহিদা অনুযায়ী চাল তৈরি করে রাজধানীসহ কয়েকটি জেলায় পাঠিয়ে থাকেন।

আনোয়ার হোসেন, দুলাল সরদার, শুটকা বিশ্বাস নিজেরা তাদের অটোমিলে ধান ভাঙ্গানোর কাজ করেন।

শনিবার সকালে পাবনা জেলা অটো রাইচমিল মালিক সমিতির সভাপতি দুলাল সরদার জানান, পাবনা জেলায় ১৭টি অটো রাইচ মিল আছে। এরমধ্যে ঈশ্বরদীতে ১৪টি। ধানের দাম এবার বেশি হওয়ায় মিলগুলো চালানো কঠিন হয়ে গেছে। ধানের দাম মন প্রতি গড়ে ২০০ টাকা বেড়েছে। ফলে চালের দামও বেড়ে গেছে।

এরপর সরকার চালের ক্রয়মূল্য ৪৭ টাকা কেজি করেছে। কিন্তু বাজারে দাম বেশি। সরকারি খাদ্য মজুদ ঠিক রাখতে আমাদেরকে বাধ্য করা হচ্ছে ৪৭ টাকা কেজি দরে চাল দিতে। ফলে ব্যবসায়ীরা লোকসানের মুখে পড়ছে।

অন্যদিকে সরকার পরিবর্তনে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হওয়ায় চাল আমদানি হচ্ছে না। এতেও বাজারে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হচ্ছে।

একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বড় বড় কোম্পানি যেমন স্কয়ার, প্রাণ গ্রুপ ও নাসির গ্রুপ চালের ব্যবসায় নামার পর বৈশাখ মাসে প্রচুর পরিমাণ ধান কিনে মজুদ করে। ফলে সুবিধামত সময়ে চাল তৈরি করে তারা প্যাকেট করে বাজারে ছাড়ে। দামও তারা ঠিক করে।

যারা চাল আমদানি করে বাজারে দেয় তারাও ঠিকমত এলসি পায় না। এলসি নিয়ন্ত্রণেও বড় কোম্পানিগুলোর দখলদারিত্ব আছে বলে সূত্রটি জানায়।

চালের সামগ্রিক ব্যবসা এখন কোম্পানিগুলোর নিয়ন্ত্রণে যাওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে এই ব্যবসায় জড়িত ব্যবসায়ীরা অনেকটাই কোণ ঠাসা। তবে প্রধান খাদ্য চাল কিনতে এখন সাধারণ মানুষদের অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। এতে প্রভাব পড়ছে সাংসারিক ব্যয়ে। হিমসিম খাচ্ছে মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্ত জনগোষ্ঠী।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

গোয়াইনঘাটে মুক্ত স্কাউট গ্রুপের অফিসের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত

চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ১১ টাকা, অভিযোগের তীর যাদের দিকে

আপডেট সময় ১২:৩৭:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫

ঈশ্বরদীর জয়নগর চালের মোকামে গত এক মাসের ব্যবধানে কেজি প্রতি চালের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১১ টাকা। এরমধ্যে বাসমতি চালের ৪০ কেজির বস্তার দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২১০০ টাকায়। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৮ থেকে ৮০ টাকা। মিনিকেট চালের ৪০ কেজির বস্তা বিক্রয় হচ্ছে ১৯০০ টাকায়। প্রতি কেজির দাম পড়ছে ৭২ থেকে ৭৪ টাকা।

এ দুই জাতের চাল কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ১১ টাকা । আমনের ভরা মৌসুমেও চালের এমন চড়া দামে নাভিশ্বাস উঠেছে ভোক্তাদের। ঈশ্বরদী উপজেলা ধান-চাল মালিক গ্রুপের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুলমত হায়দার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ঈশ্বরদী উপজেলায় ১৪টি অটো রাইচমিল আছে। এরমধ্যে মাত্র তিনটি মিল মালিকরা নিজে পরিচালনা করেন। বাকিগুলো ছোট চাল ব্যবসায়ীরা ৮-১০ জন যৌথভাবে ভাড়া নিয়ে চাল তৈরি করেন। তারা বাজারের চাহিদা অনুযায়ী চাল তৈরি করে রাজধানীসহ কয়েকটি জেলায় পাঠিয়ে থাকেন।

আনোয়ার হোসেন, দুলাল সরদার, শুটকা বিশ্বাস নিজেরা তাদের অটোমিলে ধান ভাঙ্গানোর কাজ করেন।

শনিবার সকালে পাবনা জেলা অটো রাইচমিল মালিক সমিতির সভাপতি দুলাল সরদার জানান, পাবনা জেলায় ১৭টি অটো রাইচ মিল আছে। এরমধ্যে ঈশ্বরদীতে ১৪টি। ধানের দাম এবার বেশি হওয়ায় মিলগুলো চালানো কঠিন হয়ে গেছে। ধানের দাম মন প্রতি গড়ে ২০০ টাকা বেড়েছে। ফলে চালের দামও বেড়ে গেছে।

এরপর সরকার চালের ক্রয়মূল্য ৪৭ টাকা কেজি করেছে। কিন্তু বাজারে দাম বেশি। সরকারি খাদ্য মজুদ ঠিক রাখতে আমাদেরকে বাধ্য করা হচ্ছে ৪৭ টাকা কেজি দরে চাল দিতে। ফলে ব্যবসায়ীরা লোকসানের মুখে পড়ছে।

অন্যদিকে সরকার পরিবর্তনে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হওয়ায় চাল আমদানি হচ্ছে না। এতেও বাজারে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হচ্ছে।

একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বড় বড় কোম্পানি যেমন স্কয়ার, প্রাণ গ্রুপ ও নাসির গ্রুপ চালের ব্যবসায় নামার পর বৈশাখ মাসে প্রচুর পরিমাণ ধান কিনে মজুদ করে। ফলে সুবিধামত সময়ে চাল তৈরি করে তারা প্যাকেট করে বাজারে ছাড়ে। দামও তারা ঠিক করে।

যারা চাল আমদানি করে বাজারে দেয় তারাও ঠিকমত এলসি পায় না। এলসি নিয়ন্ত্রণেও বড় কোম্পানিগুলোর দখলদারিত্ব আছে বলে সূত্রটি জানায়।

চালের সামগ্রিক ব্যবসা এখন কোম্পানিগুলোর নিয়ন্ত্রণে যাওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে এই ব্যবসায় জড়িত ব্যবসায়ীরা অনেকটাই কোণ ঠাসা। তবে প্রধান খাদ্য চাল কিনতে এখন সাধারণ মানুষদের অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। এতে প্রভাব পড়ছে সাংসারিক ব্যয়ে। হিমসিম খাচ্ছে মধ্যবিত্ত-নিম্নবিত্ত জনগোষ্ঠী।