ঢাকা ০৪:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টাকা আত্মসাৎ করলেন ম্যানেজার, মামলা মাঠকর্মীর নামে!

নাটোরে গ্রাহকদের ২৩ লাখ ৭৬ হাজার ৬শ টাকা আত্মসাৎ করেছেন রিসোর্স ইন্টিগ্রেশন সেন্টার (রিক) নামের একটি বেসরকারি সংস্থার ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার)। কিন্তু ওই টাকা আদায়ে নিরপরাধ মাঠ কর্মীদের কাছ থেকে নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ও ফাঁকা চেকে স্বাক্ষর নেওয়া ও থানায় মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, বেসরকারি সংস্থা রিকের নাটোর সদর শাখা ব্যবস্থাপক কামরুজ্জামান গত ১৩ জুন ২৩ লাখ ৭৬ হাজার ৬শ টাকা তুলে নিয়ে পালিয়ে যান। এ ব্যাপারে গত ২৫ জুন নাটোর সদর থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। তদন্তে কামরুজ্জামানের টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনার প্রমাণ মিলেছে।

কিন্তু গত ২৭ জুন ঢাকা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক আল মুনছুর রহমান এবং এরিয়া ম্যানেজার রিয়াজ শেখসহ কর্মকর্তারা মাঠকর্মী সাজেদা খাতুন, নুর মোহাম্মদ ও ইবনে বতুতা আমীনকে অফিসে ডেকে সব গ্রাহকদের পাশ বইয়ে জোরপূর্বক টাকা আদায়কারীর স্বাক্ষর নেন।

এ সময় সব টাকার দায়ভার তাদের ওপর চাপিয়ে সাজেদা খাতুনের পরিচালিত সমিতি হতে ১৪ লাখ ৯৫ হাজার একশ টাকার বিপরীতে তার কাছ থেকে যমুনা ব্যাংক নাটোর শাখার ফাঁকা চেক (যার নং-১৭২৭৯২৭) এবং ৪শ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে হুমকির মুখে স্বাক্ষর নেন।

বর্তমানে সাজেদা খাতুন বড়াইগ্রামের বনপাড়া শাখায় কর্মরত থাকলেও তাকে অফিসে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। চাকরি হারিয়ে সন্তানদের নিয়ে এমনিতেই সাজেদা খাতুন মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

তারপরও কামরুজ্জামানের কাছ থেকে টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে তার নামে চেক ডিজঅনার মামলাসহ প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।

এ অবস্থায় যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষী ব্যবস্থাপককে গ্রেফতারসহ গ্রাহকদের টাকা আদায় করা এবং তাকে চাকরিতে পুনর্বহাল করে হয়রানি থেকে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানান সাজেদা খাতুন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রিসোর্স ইন্টিগ্রেশন সেন্টারের (রিক) জোনাল ম্যানেজার রেজাউল করিম বলেন, ব্যবস্থাপক পালিয়ে গেছে এবং তার নামে থানায় ২৩ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের ব্যাপারে অভিযোগ করা হয়েছে সত্য। কিন্তু টাকা উঠানোর দায়িত্ব যেহেতু মাঠকর্মীর, তাই তাদেরই টাকা দিতে হবে। তবে চেক ও স্ট্যাম্পে জোর করে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করেন তিনি।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

টাকা আত্মসাৎ করলেন ম্যানেজার, মামলা মাঠকর্মীর নামে!

আপডেট সময় ০৮:৩৭:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪

নাটোরে গ্রাহকদের ২৩ লাখ ৭৬ হাজার ৬শ টাকা আত্মসাৎ করেছেন রিসোর্স ইন্টিগ্রেশন সেন্টার (রিক) নামের একটি বেসরকারি সংস্থার ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার)। কিন্তু ওই টাকা আদায়ে নিরপরাধ মাঠ কর্মীদের কাছ থেকে নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ও ফাঁকা চেকে স্বাক্ষর নেওয়া ও থানায় মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, বেসরকারি সংস্থা রিকের নাটোর সদর শাখা ব্যবস্থাপক কামরুজ্জামান গত ১৩ জুন ২৩ লাখ ৭৬ হাজার ৬শ টাকা তুলে নিয়ে পালিয়ে যান। এ ব্যাপারে গত ২৫ জুন নাটোর সদর থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। তদন্তে কামরুজ্জামানের টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনার প্রমাণ মিলেছে।

কিন্তু গত ২৭ জুন ঢাকা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক আল মুনছুর রহমান এবং এরিয়া ম্যানেজার রিয়াজ শেখসহ কর্মকর্তারা মাঠকর্মী সাজেদা খাতুন, নুর মোহাম্মদ ও ইবনে বতুতা আমীনকে অফিসে ডেকে সব গ্রাহকদের পাশ বইয়ে জোরপূর্বক টাকা আদায়কারীর স্বাক্ষর নেন।

এ সময় সব টাকার দায়ভার তাদের ওপর চাপিয়ে সাজেদা খাতুনের পরিচালিত সমিতি হতে ১৪ লাখ ৯৫ হাজার একশ টাকার বিপরীতে তার কাছ থেকে যমুনা ব্যাংক নাটোর শাখার ফাঁকা চেক (যার নং-১৭২৭৯২৭) এবং ৪শ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে হুমকির মুখে স্বাক্ষর নেন।

বর্তমানে সাজেদা খাতুন বড়াইগ্রামের বনপাড়া শাখায় কর্মরত থাকলেও তাকে অফিসে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। চাকরি হারিয়ে সন্তানদের নিয়ে এমনিতেই সাজেদা খাতুন মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

তারপরও কামরুজ্জামানের কাছ থেকে টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে তার নামে চেক ডিজঅনার মামলাসহ প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।

এ অবস্থায় যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষী ব্যবস্থাপককে গ্রেফতারসহ গ্রাহকদের টাকা আদায় করা এবং তাকে চাকরিতে পুনর্বহাল করে হয়রানি থেকে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানান সাজেদা খাতুন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রিসোর্স ইন্টিগ্রেশন সেন্টারের (রিক) জোনাল ম্যানেজার রেজাউল করিম বলেন, ব্যবস্থাপক পালিয়ে গেছে এবং তার নামে থানায় ২৩ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের ব্যাপারে অভিযোগ করা হয়েছে সত্য। কিন্তু টাকা উঠানোর দায়িত্ব যেহেতু মাঠকর্মীর, তাই তাদেরই টাকা দিতে হবে। তবে চেক ও স্ট্যাম্পে জোর করে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করেন তিনি।