শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং ফ্যাসিবাদ ও তার দোসরদের মোকাবেলায় আমাদের করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনে নির্বাচিত নেতৃবৃন্দকে তাদের সঙ্গে কাঁধ মিলিয়ে বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদ এর বিরুদ্ধে কাজ করব বলে ইনশাল্লাহ। কত ১৬ বছরে গণতন্ত্র ফিরে পাওয়ার জন্য সুশাসন ফিরে পাওয়ার জন্য, দেশকে স্বৈরশাসন মুক্ত করার জন্য, যারা জীবন দিয়েছেন যারা গুম হয়েছেন, মিথ্যা নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। বিশেষ করে কত জুলাই আগস্ট মাসে সাতরা জনতা আন্দোলনে যারা জীবন দিয়েছেন তাদের রক্তের সাথে বেইমানি করা যাবে না। তাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা দেশটাকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করেছি। আমরা দেশের শাসকদের পতন দেখে, শাসকদের নিহত হতে দেখেছি শাসকদের জেলেও যেতে দেখেছি। কিন্তু পলায়ন করতে দেখিনি। আল্লাহ কি না করতে পারে সবই করতে পারে। আলহামদুলিল্লাহ আমার সৌভাগ্য আজকে আলেম-ওলামাদের সঙ্গে আমি বসেছি। আপনার আলম হিসাবে বিবি নাম্বার সিদে ইমাম, মোয়াজ্জেম, বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষক বিভিন্ন পর্যায়ে আছেন। কারো সাথে শ্রদ্ধা এবং মান্য করে। আপনাদের কথার উপর আস্থা রাখে। করতে চাই যে দেশের মানুষ বহুবার রক্ত দিয়েছে যে কারণে রক্ত দিয়েছে সেটা কখনোই পুরোপুরি সফল হয়নি। ৫২ ভাষা আন্দোলনে রক্ত দেয়েছে। এ সময় পুরোপুরি আমরা সফল হতে পারিনি। আমরা স্বাধীনতার জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষ জীবন দিয়েছি। শেখ স্বাধীন বছরের মধ্যে আমরা হারিয়েছি। একদলীয় স্বৈরশাসন বাকশাল কায়েম। আমরা সামরিক সৌর শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করে ছিলাম 90 আন্দোলনের লড়াই করে ছিলাম। সব সময় গণতন্ত্রের পুরনো প্রতিষ্ঠা করেছি। কিন্তু তার মধ্যে দিয়ে যার মধ্য দিয়ে এমন এক জালিম শাসকের আবির্ভূত হয়েছে। যারা গণতন্ত্রকে জবাই করেছেন আরেকবার। গণতন্ত্রের বাহন রাউন্ড নির্বাচন সেই নির্বাচনকে অর্থহীন করে ফেলেছে। আরেক নির্বাচন আগে রাত্রেই শেষ। আরেক নির্বাচনে দামী প্রার্থী দিয়ে ভোটার আনাচ্ছে। এটা কি নির্বাচন? যারা এইখানে অংশগ্রহণ করেছে যে তারা গণতন্ত্রের শত্রু। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে গত জুলাইয়ের আন্দোলন পর্যন্ত যারা নিয়ত হয়ে, সেই দায় আমরা যদি পরিশোধ করতে যাই তাহলে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে। ফ্যাসিস্ট বিরোধী যত রাজনৈতিক সংগঠন আছে তাদের মধ্যে একটি ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। আমাদের যদি ঐক্যবদ্ধ ভাবে তাদের প্রতিহত করতে না পারি তাহলে তারা কিন্তু ওই অরাজকতার প্রতিশোধ ওই পরাজয়ের প্রতিশোধ নিবে।
তিনি বলেন, এফ এস এস যারা আছে তাদেরকে প্রতিরোধ করতে হবে এবং সবাইকে সাথে নিয়ে খুব বদ্ধ হয়ে তাদেরকে প্রতিরোধ করতে হবে। বাংলাদেশের মানুষকে গোম খুন এবং মিথ্যা অপবাদ মামলা দিয়ে নির্যাতন করার সুযোগ যাতে তারা না পায়। এখন যা সরকার দায়িত্বে আছে তাদের সবাইকে সাথে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এর মোকাবেলা করতে হবে। এখন যে সরকার আছে তাদের দায়িত্ব পালনের সহযোগিতা করতে হবে।
তিনি বলেন তাদেরও মনে রাখতে হবে তারা হলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বর্তমান সরকার নির্বাচনের নামে প্রহসন করেছে জোর করে ক্ষমতা দখল করেছে ইনাদের দায়িত্ব হল একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করা জাতের জনগণের মতামত যথাযথভাবে প্রতিফলিত হয়।
তিনি বলেন সবাই কেমন রাখতে হবে রাষ্ট্র পরিচালনা করা এদিক একটি টেকনিক্যাল না এটি একটি রাজনৈতিক কাজ। আমরা যারা রাজনীতি করি আমরা যদি শাসক হয়ে যায় তখনই আমরা জনপ্রিয়তা হারাবো। যতক্ষণ আমরা জনগণের সেবা করতে চাই রাষ্ট্র পরিচালনা করতে চাই ততক্ষণ আমরা জনগণের সমর্থন পাব।
তিনি বলেন আমাদের ব্যাটারি চালিত রিক্সান আন্দোলন হল তাদের দাবি ন্যায্যতা আছে। আন্দোলনের ধরনটা দেখলাম যখন দিচ্ছে তারা সব ছাত্রলীগের। যে সময় যেভাবে আন্দোলন ব্যাটারি চালিত রিকশারা করেছে তাদের মধ্যে সন্দেহ আছে। বিগত ১৬-১৭ বছরে এতদিন আপনার শেখ হাসিনা পাথরের পাড়ে এসেছে এখন আন্দোলন করেছেন।
তিনি বলেন, সম্প্রতি চিন্মাকে গ্রেপ্তার করার পরে ভারত কে দিয়েছে নিন্দা জানিয়ে। এত হাজার হাজার মানুষ মারা গেলে সে সময় আপনার সাথে বিবৃতি দেননি। বাংলাদেশ কারো অধীনে নয় কাজেই আমাদের চোখ রাঙ্গান ও আমাদের এই উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলা উচিত নয় বলে ভারতকে বলেন তিনি।
তিনি বলেন সরকারের কাছে আমার অনুরোধ করবো, আর স্বাস্থ্যকর্মের সবার সাথে কথা বলে সমন্বয় করে, পাশে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করুন। যাতে করে ষড়যন্ত্রতা কারীরা পরাজিত হয়।
এ সময় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের সিনিয়র নায়েবে আমির আলহাজ্ব মোহাম্মাদ আজম খান। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মুফতি এনায়েত উল্লাহ হাফেজজী। মহাসচিব মুফতি ফখরুল ইসলাম প্রমুখ।