কট্টর হিন্দুত্ববাদি সংগঠন ইসকন নিষিদ্ধ চেয়ে এবং যে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে চট্টগ্রাম ও রংপুরে জরুরি অবস্থা জারির নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন এক আইনজীবী।
বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা অ্যার্টনি জেনারেলকে ডেকে পাঠান আদালত।
অ্যার্টনি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, যে কেউ কোনো অ্যাঙ্গেল থেকে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। সরকার জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে। সাম্প্রতিক ইস্যুতে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
এসময় উচ্চ আদালত বলেন, তারা উদ্বিগ্ন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কেউ যাতে অবনতি করতে না পারে। ইসকন ও সাম্প্রতিক ইস্যুত সরকারের পদক্ষেপ কালকের মধ্যে জানাতে বলেছেন হাইকোর্ট।
এর আগে, মঙ্গলবার বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। পরে তাকে কারাগারে নেওয়ার পথে ইসকন সদস্য ও চিন্ময়ের অনুসারীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলা করে, তাকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। এ সময় তারা আদালত চত্বরে অবস্থিত মসজিদে ভাংচুর চালায়। একপর্যায়ে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ তাদের বাধা দেন। পরে, সাইফুলকে ধরে নিয়ে আদালতের প্রধান ফটকের বিপরীতে রঙ্গম টাওয়ারের সামনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়।