ঢাকা ১১:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণের নামে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ মমিন মুজিবুল হকের বিরুদ্ধে লেক ভিউ আবাসিক হোটেলের নামে চলছে নারী জুয়া ও মাদক ব্যবসা যাত্রাবাড়িতে দেহব্যবসার মহারানী রেখার রঙিন জগৎ ২১ নভেম্বর বাংলাদেশ কেবল শিল্প কর্মচারী ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক সাধারণ নির্বাচন উত্তরায় চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা করছেন ইমরান খান নন্দনপুর সরকারি রাস্তা কেটে ইট পোড়াচ্ছেন আজাদ ব্রিকসের মালিক ইসহাক সরদার জামাই-শশুর মিইল্লা পদ্মা অয়েল খাইল গিল্লা! বখতিয়ারের কোটি টাকার রহস্য কী? অনিয়ম-দুর্নীতিতে বেহাল অবস্থা সামসুল হক স্কুল অ্যান্ড কলেজ একাত্তরের কোনো ভুল প্রমাণিত হলে জাতির কাছে ক্ষমা চাইবে জামায়াত দাবি আদায় না হলে আমরণ অনশনের ঘোষণা নকল নবীশদের

দাবি আদায় না হলে আমরণ অনশনের ঘোষণা নকল নবীশদের

আগামী বৃহস্পতিবারের (২১ নভেম্বর) মধ্যে দাবি আদায় না হলে রোববার (২৪ নভেম্বর) থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচি করবে বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী নকল নবীশ দাবি আদায় পরিষদের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম।

বুধবার প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে বৈষম্যবিরোধী নকল নবীশ দাবি আদায় পরিষদ আয়োজিত ‘৫৬১টি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে কর্মরত নকল নবীশদের চাকরি জাতীয়করণের’ সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা আমাদের চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ৩২ দিন ধরে অবস্থান ধর্মঘট পালন করছি। আমাদের দাবি মেনে না নিলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে, আইজিআর অফিস, তেজগাঁও রেজিস্ট্রেশন কমপ্লেক্সের সামনে আমরণ অনশন করা হবে। আর যদি সরকার দাবি মেনে নেয় তাহলে শনিবার আবার সংবাদ সম্মেলন করে কর্মসূচি স্থগিত করা হবে।

তিনি বলেন, সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে কর্মরত ১৬ হাজার ২৪৬ জন এক্সট্রা-মোহরার/নকল নবীশদের জাতীয়করণের দাবিতে ১৯৮২ সাল থেকে আন্দোলন চলছে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে মহান সংসদসহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তি ও কর্মকর্তারা নকল নবীশদের চাকরি জাতীয়করণের আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এরপর বহু সরকারের পালাবদল ঘটে। কিন্তু নকল নবীশদের খোঁজ কেউ রাখেনি।

তিনি বলেন, নকল নবীশরা সরকারি কোনো বেতন ভাতা পান না। সমাজের মানুষ জানে তারা সরকারি চাকরি করেন। কিন্তু বাস্তবে নকল নবীশরা জমির দলিলের এক পৃষ্ঠা বালামে লিখলে মাত্র ২৪ টাকা মঞ্জুরি পায়। প্রকৃতপক্ষে এক পৃষ্ঠা বালাম লেখার জন্য জনগণের কাছ থেকে সরকার রাজস্ব নেয় ৪০ টাকা। সেখান থেকে নকল নবীশদের দেওয়া হচ্ছে ২৪ টাকা। বাকি ১৬ টাকা রাজস্ব খাতে জমা হচ্ছে। নকল নবীশদের টাকা দিয়েই তাদের চাকরি জাতীয়করণ করা সম্ভব। নকল নবীশদের দীর্ঘদিনের দাবি চাকরি জাতীয়করণ করা হোক। কিন্তু সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলে বিষয়টি নিয়ে কথা বলার অভাবে আমরা আজও অন্ধকারেই রয়ে গেছি।

তাই আমি আমাদের চাকরি স্থায়ীকরণ করার জন্য, বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।

সংগঠনের সভাপতি মো. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. আল-আমিন হোসেন, সহ-সভাপতি, রবিউল ইসলাম রিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকুর রহমান, প্রচার সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, কোষাধক্ষ্য শামীম আহমেদ প্রমুখ।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণের নামে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ মমিন মুজিবুল হকের বিরুদ্ধে

দাবি আদায় না হলে আমরণ অনশনের ঘোষণা নকল নবীশদের

আপডেট সময় ০৯:০৫:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪

আগামী বৃহস্পতিবারের (২১ নভেম্বর) মধ্যে দাবি আদায় না হলে রোববার (২৪ নভেম্বর) থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচি করবে বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী নকল নবীশ দাবি আদায় পরিষদের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম।

বুধবার প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে বৈষম্যবিরোধী নকল নবীশ দাবি আদায় পরিষদ আয়োজিত ‘৫৬১টি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে কর্মরত নকল নবীশদের চাকরি জাতীয়করণের’ সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা আমাদের চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ৩২ দিন ধরে অবস্থান ধর্মঘট পালন করছি। আমাদের দাবি মেনে না নিলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে, আইজিআর অফিস, তেজগাঁও রেজিস্ট্রেশন কমপ্লেক্সের সামনে আমরণ অনশন করা হবে। আর যদি সরকার দাবি মেনে নেয় তাহলে শনিবার আবার সংবাদ সম্মেলন করে কর্মসূচি স্থগিত করা হবে।

তিনি বলেন, সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে কর্মরত ১৬ হাজার ২৪৬ জন এক্সট্রা-মোহরার/নকল নবীশদের জাতীয়করণের দাবিতে ১৯৮২ সাল থেকে আন্দোলন চলছে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে মহান সংসদসহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তি ও কর্মকর্তারা নকল নবীশদের চাকরি জাতীয়করণের আওতায় আনার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এরপর বহু সরকারের পালাবদল ঘটে। কিন্তু নকল নবীশদের খোঁজ কেউ রাখেনি।

তিনি বলেন, নকল নবীশরা সরকারি কোনো বেতন ভাতা পান না। সমাজের মানুষ জানে তারা সরকারি চাকরি করেন। কিন্তু বাস্তবে নকল নবীশরা জমির দলিলের এক পৃষ্ঠা বালামে লিখলে মাত্র ২৪ টাকা মঞ্জুরি পায়। প্রকৃতপক্ষে এক পৃষ্ঠা বালাম লেখার জন্য জনগণের কাছ থেকে সরকার রাজস্ব নেয় ৪০ টাকা। সেখান থেকে নকল নবীশদের দেওয়া হচ্ছে ২৪ টাকা। বাকি ১৬ টাকা রাজস্ব খাতে জমা হচ্ছে। নকল নবীশদের টাকা দিয়েই তাদের চাকরি জাতীয়করণ করা সম্ভব। নকল নবীশদের দীর্ঘদিনের দাবি চাকরি জাতীয়করণ করা হোক। কিন্তু সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলে বিষয়টি নিয়ে কথা বলার অভাবে আমরা আজও অন্ধকারেই রয়ে গেছি।

তাই আমি আমাদের চাকরি স্থায়ীকরণ করার জন্য, বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, আইন উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।

সংগঠনের সভাপতি মো. রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. আল-আমিন হোসেন, সহ-সভাপতি, রবিউল ইসলাম রিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকুর রহমান, প্রচার সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, কোষাধক্ষ্য শামীম আহমেদ প্রমুখ।