ঢাকা ০৩:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণের নামে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ মমিন মুজিবুল হকের বিরুদ্ধে লেক ভিউ আবাসিক হোটেলের নামে চলছে নারী জুয়া ও মাদক ব্যবসা যাত্রাবাড়িতে দেহব্যবসার মহারানী রেখার রঙিন জগৎ ২১ নভেম্বর বাংলাদেশ কেবল শিল্প কর্মচারী ইউনিয়নের দ্বি-বার্ষিক সাধারণ নির্বাচন উত্তরায় চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা করছেন ইমরান খান নন্দনপুর সরকারি রাস্তা কেটে ইট পোড়াচ্ছেন আজাদ ব্রিকসের মালিক ইসহাক সরদার জামাই-শশুর মিইল্লা পদ্মা অয়েল খাইল গিল্লা! বখতিয়ারের কোটি টাকার রহস্য কী? অনিয়ম-দুর্নীতিতে বেহাল অবস্থা সামসুল হক স্কুল অ্যান্ড কলেজ একাত্তরের কোনো ভুল প্রমাণিত হলে জাতির কাছে ক্ষমা চাইবে জামায়াত দাবি আদায় না হলে আমরণ অনশনের ঘোষণা নকল নবীশদের

দেহ ব্যবসার আঁতুড়ঘর মিরপুর মাজার গেটের কর্ণফুলী হোটেলে

  • স্টাফ রিপোর্টার:
  • আপডেট সময় ০৩:০৬:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪
  • ৫৩১ বার পড়া হয়েছে

রাজধানীর মিরপুর দারুস সালাম থানা এলাকায় প্রতিনিয়ত গড়ে উঠছে অবৈধ গেস্ট হাউজ কিংবা আবাসিক হোটেল। আর এসব হোটেল ঘিরে ক্রমেই বাড়ছে অপরাধের সংখ্যা। যেখানে গড়ে উঠেছে দেহ ব্যবসার নিরাপদ আশ্রয়স্থল। আর এই সারিতে প্রথমেই নাম উঠে এসেছে মাজার গেটের হোটেল কর্ণফুলির নাম। যেখানে হোটেল সেবার নামে চালাচ্ছে রমরমা দেহ ব্যবসা।

অসাধু ব্যবসায়ীদের দালাল চক্ররা রাজধানীর প্রায় সড়কে বা রাস্তা ঘাটে খদ্দের যোগানের আশায় থাকে। এতে বিব্রত হয়ে পড়ে স্কুল কলেজ কিংবা ভার্সিটি পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রীরা। এমনকি ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকরা লজ্জায় চলাফেরা করতে দ্বিধাদ্বন্দ্বে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর মিরপুর বিভাগের দারুস সালাম থানাধীন মাজার সংলগ্ন আবাসিক হোটেলের সাইনবোর্ড টানিয়ে হোটেল ম্যানেজার চাঁদের সহযোগিতায় সমাজের অপৃত্তিকর নারী ও মাদক বাণিজ্যে বেপারোয়া হয়ে উঠছে কর্ণফুলী মালিক কর্তৃপক্ষ। যার একটি ফুটেজ সংগ্রহ রয়েছে আমাদের মাতৃভূমির হাতে। হোটেলটির সাইনবোর্ডে লেখা রয়েছে ফ্রেশ কিন্তু ভিতরে চলে মাদক ও দেহ ব্যবসার রমরমা আয়োজন।

এই বিষয়ে কথা বলতে চাইলে কর্ণফুলী হোটেল ম্যানেজার চাঁদ বলেন, আমরা মালিকের নির্দেশনায় এসব কাজ করে থাকি। আমাদের এটা একটি চাকুরি বলতে পারেন। আর পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে সব সেক্টরে ম্যানেজ করে থাকেন মালিক কর্তৃপক্ষ। এসব হোটেলের বৈধতা সম্পর্ক জানতে চাইলে হোটেল ম্যানেজার চাঁদ তার কোন সৎ উত্তর দিতে পারেনি।

তথ্যে জানা যায়, পুলিশ কয়দিন পর পর হোটেলে অভিযান চালায় কিন্তু কিছুদিন না যেতেই সব ম্যানেজ হয়ে যায়। এসব ব্যবসার মূল হচ্ছে অর্থ ও সুন্দরী নারী কিংবা মাদক। তাই আপনাদের মত সাংবাদিকরা কোনো বিষয় না। এখানে পুলিশ সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণির লোকজন আসে এবং আমাদের নিকট হতে মাসোহারা নিয়ে থাকেন। অতি লোভের আশায় অভিনব কৌশলে চলে এসব আবাসিক হোটেলে ভয়াবহ কারবার। কিন্তু এসব বিষয়ে পুলিশ কিছুই জানেন না। পুলিশ এসবের বিরুদ্ধে কঠোর থাকলেও হয়ত সমাজের সামাজিক ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে পারে।

পুলিশ চাইলে এসব অপরাধীদের দমন কারা কোন বিষয় না। এতে করে প্রশাসনের মান ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এসব সিন্ডিকেট আইনের আওতায় এনে সমাজের শৃঙ্খলা বজায় রাখবে পুলিশ বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। এসব হোটেল বেশির ভাগ স্বামী-স্ত্রী সাজিয়ে বা সুন্দরী যুবতীদের রেখেই চলছে নারী সিন্ডিকেটের ভয়াবহ কর্মকাণ্ড। রয়েছে স্কর্ট সর্ভিসেরও ব্যবস্থা।

এবিষয়ে দারুস সালাম থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, এসবের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছে। ইতিপূর্বে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কয়েকটি হোটেলে একাধিক অভিযান চালিয়ে এসব অপরাধীদের গ্রেফতার করে মামলাও দিয়েছেন। এরপরও এসব অবৈধ হোটেলের বিরুদ্ধে তারা অভিযান অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু বিষয় হলো এসব হোটেলগুলো পুলিশ যখন অভিযান চালায় তখন হোটেলের নিয়ন্ত্রণে থানা সিসি ক্যামেরায় দেখতে পেরে অপরাধীরা নিরাপদ স্থানে সরে পরে।
কিন্তু আর যেহেতু এসব আবাসিক হোটেলের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকের অনুমোদনের প্রয়োজন আছে। সেটি কিন্তু এসব হোটেলের নেই এবং আবাসিক হোটেল পরিচালনার ক্ষেত্রে ডিএমপির কিছু নির্দেশনা রয়েছে। সেই নির্দেশনার হদিস মিলছেনা এসব অবৈধ হোটেলে। সেটিও খতিয়ে দেখা হবে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণের নামে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ মমিন মুজিবুল হকের বিরুদ্ধে

দেহ ব্যবসার আঁতুড়ঘর মিরপুর মাজার গেটের কর্ণফুলী হোটেলে

আপডেট সময় ০৩:০৬:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

রাজধানীর মিরপুর দারুস সালাম থানা এলাকায় প্রতিনিয়ত গড়ে উঠছে অবৈধ গেস্ট হাউজ কিংবা আবাসিক হোটেল। আর এসব হোটেল ঘিরে ক্রমেই বাড়ছে অপরাধের সংখ্যা। যেখানে গড়ে উঠেছে দেহ ব্যবসার নিরাপদ আশ্রয়স্থল। আর এই সারিতে প্রথমেই নাম উঠে এসেছে মাজার গেটের হোটেল কর্ণফুলির নাম। যেখানে হোটেল সেবার নামে চালাচ্ছে রমরমা দেহ ব্যবসা।

অসাধু ব্যবসায়ীদের দালাল চক্ররা রাজধানীর প্রায় সড়কে বা রাস্তা ঘাটে খদ্দের যোগানের আশায় থাকে। এতে বিব্রত হয়ে পড়ে স্কুল কলেজ কিংবা ভার্সিটি পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রীরা। এমনকি ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকরা লজ্জায় চলাফেরা করতে দ্বিধাদ্বন্দ্বে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর মিরপুর বিভাগের দারুস সালাম থানাধীন মাজার সংলগ্ন আবাসিক হোটেলের সাইনবোর্ড টানিয়ে হোটেল ম্যানেজার চাঁদের সহযোগিতায় সমাজের অপৃত্তিকর নারী ও মাদক বাণিজ্যে বেপারোয়া হয়ে উঠছে কর্ণফুলী মালিক কর্তৃপক্ষ। যার একটি ফুটেজ সংগ্রহ রয়েছে আমাদের মাতৃভূমির হাতে। হোটেলটির সাইনবোর্ডে লেখা রয়েছে ফ্রেশ কিন্তু ভিতরে চলে মাদক ও দেহ ব্যবসার রমরমা আয়োজন।

এই বিষয়ে কথা বলতে চাইলে কর্ণফুলী হোটেল ম্যানেজার চাঁদ বলেন, আমরা মালিকের নির্দেশনায় এসব কাজ করে থাকি। আমাদের এটা একটি চাকুরি বলতে পারেন। আর পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে সব সেক্টরে ম্যানেজ করে থাকেন মালিক কর্তৃপক্ষ। এসব হোটেলের বৈধতা সম্পর্ক জানতে চাইলে হোটেল ম্যানেজার চাঁদ তার কোন সৎ উত্তর দিতে পারেনি।

তথ্যে জানা যায়, পুলিশ কয়দিন পর পর হোটেলে অভিযান চালায় কিন্তু কিছুদিন না যেতেই সব ম্যানেজ হয়ে যায়। এসব ব্যবসার মূল হচ্ছে অর্থ ও সুন্দরী নারী কিংবা মাদক। তাই আপনাদের মত সাংবাদিকরা কোনো বিষয় না। এখানে পুলিশ সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণির লোকজন আসে এবং আমাদের নিকট হতে মাসোহারা নিয়ে থাকেন। অতি লোভের আশায় অভিনব কৌশলে চলে এসব আবাসিক হোটেলে ভয়াবহ কারবার। কিন্তু এসব বিষয়ে পুলিশ কিছুই জানেন না। পুলিশ এসবের বিরুদ্ধে কঠোর থাকলেও হয়ত সমাজের সামাজিক ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে পারে।

পুলিশ চাইলে এসব অপরাধীদের দমন কারা কোন বিষয় না। এতে করে প্রশাসনের মান ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এসব সিন্ডিকেট আইনের আওতায় এনে সমাজের শৃঙ্খলা বজায় রাখবে পুলিশ বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। এসব হোটেল বেশির ভাগ স্বামী-স্ত্রী সাজিয়ে বা সুন্দরী যুবতীদের রেখেই চলছে নারী সিন্ডিকেটের ভয়াবহ কর্মকাণ্ড। রয়েছে স্কর্ট সর্ভিসেরও ব্যবস্থা।

এবিষয়ে দারুস সালাম থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, এসবের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছে। ইতিপূর্বে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কয়েকটি হোটেলে একাধিক অভিযান চালিয়ে এসব অপরাধীদের গ্রেফতার করে মামলাও দিয়েছেন। এরপরও এসব অবৈধ হোটেলের বিরুদ্ধে তারা অভিযান অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু বিষয় হলো এসব হোটেলগুলো পুলিশ যখন অভিযান চালায় তখন হোটেলের নিয়ন্ত্রণে থানা সিসি ক্যামেরায় দেখতে পেরে অপরাধীরা নিরাপদ স্থানে সরে পরে।
কিন্তু আর যেহেতু এসব আবাসিক হোটেলের ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকের অনুমোদনের প্রয়োজন আছে। সেটি কিন্তু এসব হোটেলের নেই এবং আবাসিক হোটেল পরিচালনার ক্ষেত্রে ডিএমপির কিছু নির্দেশনা রয়েছে। সেই নির্দেশনার হদিস মিলছেনা এসব অবৈধ হোটেলে। সেটিও খতিয়ে দেখা হবে।