ঢাকা ০৪:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মিয়ানমারের সঙ্গে হওয়া চুক্তিতে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি না থাকা বড় ভুল পটুয়াখালীতে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিশাল জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত শহীদ জিয়া স্মৃতি পদক পেলেন জাতীয়তাবাদী বিএনপির রাজশাহী জেলার সদস্য সচিব গণতন্ত্রের স্বার্থেই নির্বাচন জরুরি : যুবদল সভাপতি মোনায়েম মুন্না তাঁতীলীগের সভাপতি ইকবালের যত কান্ড, জনমনে প্রশ্ন কে এই ইকবাল? সিএমপির পাহাড়তলী থানার মাদক বিরোধী অভিযানে ভুয়া সাংবাদিক ফারুক মাদকসহ গ্রেফতার অন্তর্বতী সরকারের ১শ দিন পার হলেও সচিবালয় সহ বিভিন্ন দপ্তরের এখনও আওয়ামী লীগের দোসরা বহাল পূর্বাচলে দুর্নীতির রাজত্ব গড়েছেন নায়েব আলী শরীফ ডঃ মোশাররফ ফাউন্ডেশন কলেজ নবীনবরণ উৎসব ২০২৪ পালিত। মুগদায় ১০ বছরের কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেফতার

ব্যাংকগুলোতে অর্থ সুরক্ষিত আছে, দুশ্চিন্তার কারণ নেই : এবিবি

বর্তমানে ব্যাংকগুলোতে পর্যাপ্ত অর্থ রয়েছে। গ্রাহকদের অর্থ সম্পূর্ণ সুরক্ষিত। এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই এবং গুজবে বিশ্বাস না করার জন্য অনুরোধ করেছে ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ লিমিটেড (এবিবি)।

রোববার (২০ নভেম্বর) এবিবির পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ অনুরোধ জানানো হয়েছে। এবিবির চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি অ্যান্ড সিইও সেলিম আর এফ হোসেন  ব্যাংকিং খাতে গুজব নিয়ে বলেন, আমরা সাম্প্রতিক সময়ে দেশের ব্যাংকগুলোতে তারল্য নিয়ে অনেক গুজব লক্ষ্য করছি, বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বলা হচ্ছে, আমাদের কাছে পর্যাপ্ত তারল্য নেই।

গ্রাহকদের নগদ টাকা তুলতে সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে বলে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বরাত দিয়ে এসব নেতিবাচক খরব দেশ-বিদেশে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে বিদেশে আমাদের প্রবাসীদের মধ্যেও এই গুজবটি ছড়ানো হচ্ছে, যাতে তারা বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে অনুৎসাহিত হন। এগুলো খুবই দুঃখজনক। এই গুজব প্রচারকারীরা আমাদের গ্রাহকদের, সমাজের এবং দেশের ক্ষতি করছে।

dhakapost

তিনি বলেন, আমরা এবিবির পক্ষ থেকে বলতে চাই, এসব তথাকথিত তথ্যের কোনো ভিত্তি নেই এবং এগুলো অসত্য। বর্তমানে ব্যাংকগুলোতে পর্যাপ্ত অর্থ আছে। আমরা গ্রাহকদের এই বলে আশ্বস্ত করতে চাই যে ব্যাংকগুলোতে তাদের অর্থ সম্পূর্ণ সুরক্ষিত আছে। এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। আমরা গ্রাহকদের অনুরোধ করবো, এই গুজবে বিশ্বাস না করার জন্য।

এবিবির বার্তায় বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকও সবাইকে আশ্বস্ত করেছে। বর্তমানে ব্যাংকগুলোতে তারল্যের কোনো ঘাটতি নেই। উপরন্তু ১ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকাও বেশি অতিরিক্ত তারল্য আছে। গত পঞ্চাশ বছরে আমাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংক কোনো ব্যাংককে ব্যর্থ হতে দিয়েছে এমন নজির নেই। বাংলাদেশ ব্যাংক তো বলেই দিয়েছে, কোন ব্যাংকের কোন অসুবিধে হলে তারা এগিয়ে আসবে। অতীতেও আমরা দেখেছি ব্যাংকিং খাতে কোনো সংকট হলে বাংলাদেশ ব্যাংক এগিয়ে এসেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরদারি ও দিকনির্দেশনায় ব্যাংকিং খাত যখন দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে প্রভাবকের ভূমিকা পালন করছে এবং সরকারের প্রণোদনার ওপর ভর করে অর্থনীতি যখন মহামারি থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে, তখন এ ধরনের অপপ্রচার চালানো দুঃখজনক।

সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের দিকনির্দেশনায় ও গ্রাহকদের আস্থায় ব্যাংকগুলো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রেখেছে এবং রাখবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মিয়ানমারের সঙ্গে হওয়া চুক্তিতে ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি না থাকা বড় ভুল

ব্যাংকগুলোতে অর্থ সুরক্ষিত আছে, দুশ্চিন্তার কারণ নেই : এবিবি

আপডেট সময় ০৩:৪২:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ নভেম্বর ২০২২

বর্তমানে ব্যাংকগুলোতে পর্যাপ্ত অর্থ রয়েছে। গ্রাহকদের অর্থ সম্পূর্ণ সুরক্ষিত। এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই এবং গুজবে বিশ্বাস না করার জন্য অনুরোধ করেছে ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ লিমিটেড (এবিবি)।

রোববার (২০ নভেম্বর) এবিবির পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ অনুরোধ জানানো হয়েছে। এবিবির চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি অ্যান্ড সিইও সেলিম আর এফ হোসেন  ব্যাংকিং খাতে গুজব নিয়ে বলেন, আমরা সাম্প্রতিক সময়ে দেশের ব্যাংকগুলোতে তারল্য নিয়ে অনেক গুজব লক্ষ্য করছি, বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বলা হচ্ছে, আমাদের কাছে পর্যাপ্ত তারল্য নেই।

গ্রাহকদের নগদ টাকা তুলতে সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে বলে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বরাত দিয়ে এসব নেতিবাচক খরব দেশ-বিদেশে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে বিদেশে আমাদের প্রবাসীদের মধ্যেও এই গুজবটি ছড়ানো হচ্ছে, যাতে তারা বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে অনুৎসাহিত হন। এগুলো খুবই দুঃখজনক। এই গুজব প্রচারকারীরা আমাদের গ্রাহকদের, সমাজের এবং দেশের ক্ষতি করছে।

dhakapost

তিনি বলেন, আমরা এবিবির পক্ষ থেকে বলতে চাই, এসব তথাকথিত তথ্যের কোনো ভিত্তি নেই এবং এগুলো অসত্য। বর্তমানে ব্যাংকগুলোতে পর্যাপ্ত অর্থ আছে। আমরা গ্রাহকদের এই বলে আশ্বস্ত করতে চাই যে ব্যাংকগুলোতে তাদের অর্থ সম্পূর্ণ সুরক্ষিত আছে। এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। আমরা গ্রাহকদের অনুরোধ করবো, এই গুজবে বিশ্বাস না করার জন্য।

এবিবির বার্তায় বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকও সবাইকে আশ্বস্ত করেছে। বর্তমানে ব্যাংকগুলোতে তারল্যের কোনো ঘাটতি নেই। উপরন্তু ১ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকাও বেশি অতিরিক্ত তারল্য আছে। গত পঞ্চাশ বছরে আমাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংক কোনো ব্যাংককে ব্যর্থ হতে দিয়েছে এমন নজির নেই। বাংলাদেশ ব্যাংক তো বলেই দিয়েছে, কোন ব্যাংকের কোন অসুবিধে হলে তারা এগিয়ে আসবে। অতীতেও আমরা দেখেছি ব্যাংকিং খাতে কোনো সংকট হলে বাংলাদেশ ব্যাংক এগিয়ে এসেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরদারি ও দিকনির্দেশনায় ব্যাংকিং খাত যখন দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে প্রভাবকের ভূমিকা পালন করছে এবং সরকারের প্রণোদনার ওপর ভর করে অর্থনীতি যখন মহামারি থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে, তখন এ ধরনের অপপ্রচার চালানো দুঃখজনক।

সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের দিকনির্দেশনায় ও গ্রাহকদের আস্থায় ব্যাংকগুলো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রেখেছে এবং রাখবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।