আট বছর পর ‘আয়নাঘর’ থেকে মুক্ত হওয়া জামায়াতের প্রয়াত নেতা মীর কাশেম আলীর ছেলে ব্যারিস্টার মীর আহমদ বিন কাশেম (আরমান) গুম হওয়ার অভিযোগ দায়ের দায়ের করেছেন।
অভিযোগে ঘটনার বর্ণনায় বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের ৯ আগস্ট রাতে ব্যারিস্টার আরমানকে নিজ বাসা থেকে তুলে নেওয়া হয়। জোরপূর্বক তাকে স্ত্রী-সন্তানদের সামনে থেকে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যায় ও সাদা মাইক্রোতে উঠায়। তারা তাকে একটি জায়গায় নিয়ে গিয়ে একটি নির্জন কক্ষে/সেলে বন্দি করে রাখে। সেলটি খুবই পুরোনো ছিল। সেখানে তাকে ১৬ দিন রাখা হয়।
এতে আরও বলা হয়, গুম করার কয়েক মাস পরে একজন প্রহরী গভীর রাতে তার সঙ্গে কথা বলতে আসেন এবং জানান, অপহরণের কয়েক মাসের মাথায় তাকে হত্যার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল। হত্যা করে ইট বেঁধে লাশ নদীতে ফেলে দেওয়া, লাশ যাতে চেনা না যায় সেজন্য হত্যার পর মুখ ও হাত অ্যাসিড দিয়ে ঝলসে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু হত্যার সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের একজন বড় কর্মকর্তা হত্যার সিদ্ধান্ত গ্রহণের কয়েকদিনের মাথায় সিলেটে একটি সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হওয়ায় তাকে হত্যার সেই পরিকল্পনা পিছিয়ে যায়।
সবশেষ গত ৬ আগস্ট মধ্য রাতে দীর্ঘ আট বছর পর তাকে উত্তরার দিয়াবাড়িতে ছেড়ে দেওয়া হয়।