ঢাকা ০৬:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মিঠাপুকুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ২ পুশইনের বিষয়ে সীমান্তে টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে -কুমিল্লা সেক্টর কমান্ডার বৈশাখের তপ্ত দুপুরে তৃঞ্চার্ত মানুষের সেবায় সার্বজনীন মানবতার বন্ধু সংগঠন সাম্য হত্যার বিচারের দাবিতে ইবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ সাতক্ষীরা কাথন্ডা কয়ার সরকারী জায়গায় প্রাচীন গাছ কেটে ঘর বানানোর চেষ্টা এলাকা বাসীর ক্ষোভ আত্রাইয়ে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ১ লাখ টাকা ঋণের চেক হস্তান্তর ড. ইউনূস পেলেন ডি.লিট সম্মাননা নারী কমিশন বাতিলের দাবিতে মোহনগঞ্জে মানববন্ধন  লালমনিরহাটে জন্মগত অন্ধ হাফেজাকে সাবেক উপমন্ত্রীর বাড়ী উপহার ময়মনসিংহ নাসিরাবাদ কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত

যেসব দেশে মুসলিমদের বসবাস বা ধর্মপ্রচার নিষিদ্ধ!

এই পৃথিবীতে বর্তমানে জাতিসংঘের তালিকাভুক্ত দেশ রয়েছে ১৯৩টি। এর বাইরে আরও ২টি দেশকে তারা পর্যবেক্ষক দেশের তালিকায় রেখেছে। দেশ ২টি হচ্ছে ভ্যাটিকান সিটি এবং ফিলিস্তিন। এরমধ্যে মুসলিম দেশ রয়েছে ৫৭টি। এসব দেশের আনাচে কানাচে ধর্ম-বর্ণভেদে কোটি কোটি মানুষের বসবাস। এরমধ্যে মুসলিম জনসংখ্যা রয়েছে ২০০ কোটিরও বেশি।

ধারণা করা হয়, বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই কমবেশি মুসলিমদের বসবাস রয়েছে। তবে এই ধারণাটি হোচট খেয়েছে কয়েকটি দেশে গিয়ে। কেননা, বিশ্বে এমন কিছু দেশ আছে যেখানে মুসলিমদের প্রবেশ নিষিদ্ধ এবং এসব দেশে নেই কোনো মসজিদও। শুধু তাই নয়, এই দেশগুলোতে ইসলাম ধর্ম প্রচারের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে এবং কিছু ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডও দেওয়া হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোন কোন দেশ আছে এই তালিকায়।

ইসলামবিরোধী এই দেশগুলোর মধ্যে প্রথম তালিকায় আছে ভ্যাটিকান সিটি-

ভ্যাটিকান সিটি

এটি বিশ্বের একমাত্র দেশ যেখানে কোনো মুসলমান বাস করে না। ইতালির রাজধানী রোমের কাছে ভ্যাটিকান সিটিতে শুধুমাত্র খ্রিস্টানরাই থাকতে পারে।

পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম এই দেশে মুসলমানদের বসবাস সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এর মোট জনসংখ্যা প্রায় ৮০০ এবং এটি একটি সম্পূর্ণরূপে ধর্মীয় স্থান।

সলোমন দ্বীপপুঞ্জ

এই তালিকায় রয়েছে সলোমন দ্বীপপুঞ্জের নামও। এখানকার মোট জনসংখ্যা প্রায় ৭ লাখ, তবে মুসলমানের সংখ্যা ৭০-এরও কম।

১৯৯৫ সালে তাবলিগ জামাতের মাধ্যমে কিছু লোক ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেও বর্তমানে দেশে ইসলামের প্রকাশ্য প্রচারের ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এখানে একটি ছোট মসজিদও রয়েছে, যেটি অপসারণের জন্য প্রায়ই বিক্ষোভ হয়।

উত্তর কোরিয়া

উত্তর কোরিয়ার ক্ষেত্রে ইসলামসহ অন্য সব ধর্ম অনুসরণ করাও কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এখানে মন্দির, মসজিদ বা গির্জা নির্মাণ করা আইনত অপরাধ। বিবিসি জানায়, এক সময় এখানে মুসলমানের সংখ্যা ছিল তিন হাজার, কিন্তু এখন তা শূন্যের কাছাকাছি।

এখানে যেসব মুসলমান ছিল তারা হয় দেশ ছেড়ে চলে গেছে; নয়তো নিহত হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন নাস্তিকতায় বিশ্বাসী এবং ইসলাম প্রচার করলে মৃত্যুদণ্ড হতে পারে।

স্লোভাকিয়া

স্লোভাকিয়া বিশ্বের একমাত্র দেশ যেখানে আজ পর্যন্ত কোনও মসজিদ নির্মিত হয়নি। মুসলমানরা এখানে মসজিদ বানাতে পারে না, মাদ্রাসা চালাতে পারে না। স্লোভাকিয়া এক সময় অটোমান সাম্রাজ্যের একটি অংশ ছিল; যেখানে মুসলমানরা ৩০০ বছর ধরে শাসন করেছিল।

কিন্তু আজ মুসলিম জনসংখ্যা নগণ্য। এখানে প্রথম হাসপাতালও মুসলিম শাসকদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, কিন্তু আজ মুসলমানদের ওপর অনেক বিধিনিষেধ রয়েছে সেখানে।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

মিঠাপুকুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ২

যেসব দেশে মুসলিমদের বসবাস বা ধর্মপ্রচার নিষিদ্ধ!

আপডেট সময় ০৩:১৬:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪

এই পৃথিবীতে বর্তমানে জাতিসংঘের তালিকাভুক্ত দেশ রয়েছে ১৯৩টি। এর বাইরে আরও ২টি দেশকে তারা পর্যবেক্ষক দেশের তালিকায় রেখেছে। দেশ ২টি হচ্ছে ভ্যাটিকান সিটি এবং ফিলিস্তিন। এরমধ্যে মুসলিম দেশ রয়েছে ৫৭টি। এসব দেশের আনাচে কানাচে ধর্ম-বর্ণভেদে কোটি কোটি মানুষের বসবাস। এরমধ্যে মুসলিম জনসংখ্যা রয়েছে ২০০ কোটিরও বেশি।

ধারণা করা হয়, বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশেই কমবেশি মুসলিমদের বসবাস রয়েছে। তবে এই ধারণাটি হোচট খেয়েছে কয়েকটি দেশে গিয়ে। কেননা, বিশ্বে এমন কিছু দেশ আছে যেখানে মুসলিমদের প্রবেশ নিষিদ্ধ এবং এসব দেশে নেই কোনো মসজিদও। শুধু তাই নয়, এই দেশগুলোতে ইসলাম ধর্ম প্রচারের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে এবং কিছু ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডও দেওয়া হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোন কোন দেশ আছে এই তালিকায়।

ইসলামবিরোধী এই দেশগুলোর মধ্যে প্রথম তালিকায় আছে ভ্যাটিকান সিটি-

ভ্যাটিকান সিটি

এটি বিশ্বের একমাত্র দেশ যেখানে কোনো মুসলমান বাস করে না। ইতালির রাজধানী রোমের কাছে ভ্যাটিকান সিটিতে শুধুমাত্র খ্রিস্টানরাই থাকতে পারে।

পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম এই দেশে মুসলমানদের বসবাস সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এর মোট জনসংখ্যা প্রায় ৮০০ এবং এটি একটি সম্পূর্ণরূপে ধর্মীয় স্থান।

সলোমন দ্বীপপুঞ্জ

এই তালিকায় রয়েছে সলোমন দ্বীপপুঞ্জের নামও। এখানকার মোট জনসংখ্যা প্রায় ৭ লাখ, তবে মুসলমানের সংখ্যা ৭০-এরও কম।

১৯৯৫ সালে তাবলিগ জামাতের মাধ্যমে কিছু লোক ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলেও বর্তমানে দেশে ইসলামের প্রকাশ্য প্রচারের ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এখানে একটি ছোট মসজিদও রয়েছে, যেটি অপসারণের জন্য প্রায়ই বিক্ষোভ হয়।

উত্তর কোরিয়া

উত্তর কোরিয়ার ক্ষেত্রে ইসলামসহ অন্য সব ধর্ম অনুসরণ করাও কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এখানে মন্দির, মসজিদ বা গির্জা নির্মাণ করা আইনত অপরাধ। বিবিসি জানায়, এক সময় এখানে মুসলমানের সংখ্যা ছিল তিন হাজার, কিন্তু এখন তা শূন্যের কাছাকাছি।

এখানে যেসব মুসলমান ছিল তারা হয় দেশ ছেড়ে চলে গেছে; নয়তো নিহত হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন নাস্তিকতায় বিশ্বাসী এবং ইসলাম প্রচার করলে মৃত্যুদণ্ড হতে পারে।

স্লোভাকিয়া

স্লোভাকিয়া বিশ্বের একমাত্র দেশ যেখানে আজ পর্যন্ত কোনও মসজিদ নির্মিত হয়নি। মুসলমানরা এখানে মসজিদ বানাতে পারে না, মাদ্রাসা চালাতে পারে না। স্লোভাকিয়া এক সময় অটোমান সাম্রাজ্যের একটি অংশ ছিল; যেখানে মুসলমানরা ৩০০ বছর ধরে শাসন করেছিল।

কিন্তু আজ মুসলিম জনসংখ্যা নগণ্য। এখানে প্রথম হাসপাতালও মুসলিম শাসকদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, কিন্তু আজ মুসলমানদের ওপর অনেক বিধিনিষেধ রয়েছে সেখানে।