মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে আজ থেকেই শুরু হচ্ছে ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ। বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই ক্রীড়া ইভেন্ট উপভোগে সারা বিশ্বই অপেক্ষা করছে। পুরো বিশ্ব যেন ফুটবল জ্বরে আক্রান্ত। আর কাতারে বিশ্বকাপ হওয়ায় এশীয় বহু দেশ এবং প্রবাসীদের মধ্যে আনন্দের মাত্রা যেন একটু বেশি।
তবে চার বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই ফুটবল উন্মাদনাকে এড়িয়ে চলতে সারা বিশ্বের মুসলমানদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদা। আন্তর্জাতিক এই জঙ্গি সংগঠনটির আঞ্চলিক একটি শাখা এই হুঁশিয়ারি দিয়েছে। রোববার (২০ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের কাতারে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ফুটবল বিশ্বকাপ এড়িয়ে চলার আহ্বান জানিয়েছে আল-কায়েদার আঞ্চলিক একটি শাখা। যদিও জঙ্গিগোষ্ঠীটি ফুটবল বিশ্বকাপের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হামলার হুমকি বা সহিংসতার প্রচার করা বন্ধ করে দিয়েছে বলে একটি পর্যবেক্ষক গ্রুপের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
রয়টার্স বলছে, আল-কায়েদা জঙ্গি গোষ্ঠীর ইয়েমেন-ভিত্তিক শাখা আল-কায়েদা ইন অ্যারাবিয়ান পেনিনসুলা অনৈতিক লোক, সমকামী, দুর্নীতি ও নাস্তিকতার বীজ বপনকারীদের আরব উপদ্বীপে নিয়ে আসার জন্য কাতারের সমালোচনা করেছে। গোষ্ঠীটি বলেছে, বিশ্বকাপের এই ইভেন্টটি ‘মুসলিম দেশগুলোতে দখলদারিত্ব ও অত্যাচার’ থেকে মনোযোগ সরাতে কাজ করছে।
শনিবার ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ সাইটের প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রথমবারের মতো মুসলিম প্রধান একটি দেশে টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার একদিন আগে আল-কায়েদা ইন অ্যারাবিয়ান পেনিনসুলা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে- ‘আমরা আমাদের মুসলিম ভাইদের এই বিশ্বকাপ ইভেন্ট অনুসরণ করা বা এতে যোগদান থেকে সতর্ক করছি।’
এলজিবিটি অধিকারের পাশাপাশি সামাজিক বিধিনিষেধসহ কাতারের মানবাধিকার রেকর্ড নিয়ে সমালোচনার প্রতিক্রিয়ায় বিশ্বকাপের এই আয়োজক দেশ বলেছে, ধর্ম, বর্ণ-সহ যৌন অভিমুখিতা বা পটভূমি নির্বিশেষে বিশ্বকাপ চলাকালীন সবাইকে কাতারে স্বাগত জানানো হবে।
প্রায় ৩০ লাখ জনসংখ্যার ছোট একটি দেশ কাতার। এই দেশটির বেশিরভাগ কর্মীই বিদেশি। মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটি বলছে, তারা বিশ্বকাপ চলাকালীন নিরাপত্তা প্রদানের জন্য ৫০ হাজারেরও বেশি লোককে প্রশিক্ষণ দিয়েছে।
এছাড়া কাতারের কমান্ডের অধীনে বিদেশি বাহিনীও দেশটিতে নিরাপত্তা রক্ষায় সাহায্য করছে।