গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই নানা ইস্যুতে ভাগ হয়েছে অভিনয়শিল্পী সংঘ। গেল কয়দিন ধরেই সংগঠনটি ইন্ডাস্ট্রির টক অব দ্য টাউনে পরিণত হয়েছে। এই সংগঠন নিয়ে বর্তমানে অভিনয়শিল্পীদের দ্বন্দ্ব চরম পর্যায় রয়েছে। তৈরি হয়েছে দুটি পক্ষও।
ইতোমধ্যেই বর্তমান ‘অভিনয়শিল্পী সংঘ’ কমিটি বিলুপ্ত করে দেওয়ার দাবি তুলেছে অনেক শিল্পী। গত ৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে রাজধানীর নিকেতনের ‘গ্রাউন্ড জিরো’-তে একটি জরুরি বৈঠক করেন অভিনয়শিল্পীদের বড় একটি অংশ। সেখানে ‘দৃশ্যমাধ্যমের শিল্পীসমাজ’-এর ব্যানারে ‘অভিনয়শিল্পী সংঘ’র সংস্করের দাবি তোলেন এক দল অভিনয়শিল্পী। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এহসানুর রহমান, কাজী নওশাবা আহমেদ, ইন্তেখাব দিনার, খায়রুল বাসার, শ্যামল মাওলা, মনোজ প্রামাণিক, আজমেরী হক বাঁধন, এফ এস নাঈম, সুষমা সরকার, আহমেদ সাব্বির, নাদিয়া আহমেদ, নীলা ইস্রাফিল, মৌসুমি হামিদ, সোহেল মণ্ডল, নাজিয়া হক অর্ষা, মোস্তাফিজুর নূর ইমরানসহ ৪৭ জন অভিনয়শিল্পী। এরপরই বিষয়টি আলোচনায় চলে আসে।
সেদিনের বৈঠকে পারস্পরিক আলোচনা ও প্রস্তাবের ভিত্তিতে ৫টি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। সেখানে অভিনয়শিল্পী সংঘের বর্তমান কমিটিকে দুঃখ প্রকাশ ও জুলাই বিপ্লবের বিপক্ষে অবস্থানকারীদের জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে। অন্যথায় ১০ সেপ্টেম্বর অভিনয়শিল্পী সংঘের কমিটি বিলুপ্ত করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
এই উত্তেজনার মধ্যেই সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক রওনক হাসান গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, শিগগিরই ‘অভিনয়শিল্পী সংঘ’-এর সদস্যদের নিয়ে একটি সাধারণ সভা করবেন তারা। সেখানে সংস্কার বিষয়েও কথা বলবেন তারা। তবে বৈঠকের তারিখ জানানো হয়নি।