ঢাকা ০২:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মিলে গেল ডিএনএ, মাহমুদুর রহমানই হারিছ চৌধুরী জনমনে ভয় দেখিয়ে পাবনা পৌরসভার সাবমার্সিবল ফি আদায় মাইকিং অভিযোগ কুমিল্লায় বসুন্ধরা ফেডারেশন কাপের প্রথম ম্যাচে বসুন্ধরা কিংসের জয় কুমিল্লায় বিজিবির পৃথক অভিযানে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য এবং চোরাচালানী পণ্য জব্দ ওয়ালটন প্লাজার উদ্যোগে শিবরাম স্কুলে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত আমাকে সাংবাদিকতা শিখাতে হবেনা, আমি ও সাংবাদিক ছিলাম চুনারুঘাটে ভোক্তা অধিকার কর্মকর্তা দেবানন্দ জামালপুরে ফুলকপি ও লাউয়ের মিশ্র চাষে লাভবান আনিস কমলনগরে সৈয়দ নগর স্টার ক্লাবের ব্যাড মিন্টন টুর্নামেন্ট পুরস্কার বিতরণ ভোলার- বোরহানউদ্দিনে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে ৩ লাখ টাকা ছিনতাই পাঁচবিবিতে নিয়মিত অফিস করছেন আয়মা রসুলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিলটন

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমানসহ সব আসামি খালাস

বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আপিলের রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। রায়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সব আসামি খালাস পেয়েছেন। সেই সঙ্গে মামলার অভিযোগপত্র অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

এর আগে আজ রোববার (১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার কিছু আগে শুরু হয় রায় পড়া। রায়ে সব আসামিকে খালাস দেন আদালত।

বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

গত ২১ নভেম্বর এ মামলায় খালাস চেয়ে করা আসামির আপিল ও ডেথ রেফারেন্স শুনানি শেষ হয়। এর আগে ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর এ মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে।

আসামিপক্ষের আইনজীবীরাদের প্রত্যাশা ছিল, রাজনৈতিক উদ্দেশে যাদের নাম মামলায় জড়ানো হয়েছে তারা সবাই খালাস পাবেন। ২০০৪ সালে রাজধানী বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় নিহত হন ২৪ জন। এ ঘটনায় আহত হন অন্তত ৪ শতাধিক।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় মতিঝিল থানায় হত্যা ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে দুটি মামলা হয়। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এ সংক্রান্ত মামলা দুটির (হত্যা ও বিস্ফোরক) নতুনভাবে তদন্ত শুরু করে। ২০০৮ সালে ২২ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

এতে বলা হয়, শেখ হাসিনাকে হত্যা করে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে ওই হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। পরে আওয়ামী লীগ সরকার আমলে মামলার অধিকতর তদন্ত হয়। এরপর তারেক রহমানসহ ৩০ জনকে আসামি করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।

শুনানির বিষয়ে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এসএম শাহজাহান বলেছিলেন, এই মামলার দ্বিতীয় অভিযোগপত্রে যাদের আসামি (তারেক রহমানসহ অন্যরা) করা হয়েছে, সেটি আইনগতভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রথমে দেওয়া হয়নি, সরাসরি জজ আদালতে দায়ের করে। সেজন্য এই অভিযোগপত্র ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী গৃহীত হতে পারে না। উপমহাদেশের বিভিন্ন দেশের সুপ্রিমকোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের নজির আছে যে, যদি দেখা যায় পুরো মামলায় অভিযোগ কোনো আসামির বিরুদ্ধে প্রমাণিত হয়নি ও যথাযথভাবে তদন্ত হয়নি, সেক্ষেত্রে সব আসামি খালাস পেলে যারা আপিল করেননি, ওই রায়ের সুবিধা তারাও পেতে পারেন। তারেক রহমান ও কায়কোবাদসহ কয়েকজন আপিল করতে পারেননি। সেক্ষেত্রে তারেক রহমান ও কায়কোবাদসহ তাদের নির্দোষ সাব্যস্ত করা যেতে পারে।

শুনানিতে তিন আসামির আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেছিলেন, মুফতি হান্নানের দ্বিতীয় জবানবন্দির ভিত্তিতে অধিকতর যে তদন্ত হয়েছে, সেটির আইনগত ভিত্তি নেই। সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সাজা প্রদান করা হয়েছে। এই মামলায় আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নির্যাতনের মাধ্যমে আদায় করা হয়েছে শুনানিতে তুলে ধরেছেন। এসব দিক বিবেচনায় আসামিদের খালাসের আরজি জানিয়েছেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

মিলে গেল ডিএনএ, মাহমুদুর রহমানই হারিছ চৌধুরী

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমানসহ সব আসামি খালাস

আপডেট সময় ০২:০৬:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৪

বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আপিলের রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। রায়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সব আসামি খালাস পেয়েছেন। সেই সঙ্গে মামলার অভিযোগপত্র অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

এর আগে আজ রোববার (১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার কিছু আগে শুরু হয় রায় পড়া। রায়ে সব আসামিকে খালাস দেন আদালত।

বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

গত ২১ নভেম্বর এ মামলায় খালাস চেয়ে করা আসামির আপিল ও ডেথ রেফারেন্স শুনানি শেষ হয়। এর আগে ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর এ মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে।

আসামিপক্ষের আইনজীবীরাদের প্রত্যাশা ছিল, রাজনৈতিক উদ্দেশে যাদের নাম মামলায় জড়ানো হয়েছে তারা সবাই খালাস পাবেন। ২০০৪ সালে রাজধানী বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় নিহত হন ২৪ জন। এ ঘটনায় আহত হন অন্তত ৪ শতাধিক।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় মতিঝিল থানায় হত্যা ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনে দুটি মামলা হয়। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এ সংক্রান্ত মামলা দুটির (হত্যা ও বিস্ফোরক) নতুনভাবে তদন্ত শুরু করে। ২০০৮ সালে ২২ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

এতে বলা হয়, শেখ হাসিনাকে হত্যা করে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে ওই হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। পরে আওয়ামী লীগ সরকার আমলে মামলার অধিকতর তদন্ত হয়। এরপর তারেক রহমানসহ ৩০ জনকে আসামি করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।

শুনানির বিষয়ে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এসএম শাহজাহান বলেছিলেন, এই মামলার দ্বিতীয় অভিযোগপত্রে যাদের আসামি (তারেক রহমানসহ অন্যরা) করা হয়েছে, সেটি আইনগতভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রথমে দেওয়া হয়নি, সরাসরি জজ আদালতে দায়ের করে। সেজন্য এই অভিযোগপত্র ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী গৃহীত হতে পারে না। উপমহাদেশের বিভিন্ন দেশের সুপ্রিমকোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের নজির আছে যে, যদি দেখা যায় পুরো মামলায় অভিযোগ কোনো আসামির বিরুদ্ধে প্রমাণিত হয়নি ও যথাযথভাবে তদন্ত হয়নি, সেক্ষেত্রে সব আসামি খালাস পেলে যারা আপিল করেননি, ওই রায়ের সুবিধা তারাও পেতে পারেন। তারেক রহমান ও কায়কোবাদসহ কয়েকজন আপিল করতে পারেননি। সেক্ষেত্রে তারেক রহমান ও কায়কোবাদসহ তাদের নির্দোষ সাব্যস্ত করা যেতে পারে।

শুনানিতে তিন আসামির আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেছিলেন, মুফতি হান্নানের দ্বিতীয় জবানবন্দির ভিত্তিতে অধিকতর যে তদন্ত হয়েছে, সেটির আইনগত ভিত্তি নেই। সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সাজা প্রদান করা হয়েছে। এই মামলায় আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নির্যাতনের মাধ্যমে আদায় করা হয়েছে শুনানিতে তুলে ধরেছেন। এসব দিক বিবেচনায় আসামিদের খালাসের আরজি জানিয়েছেন।