অন্য কয়েকটি নামি কোম্পানির মতো ছাঁটাইয়ের পথে হেঁটেছে অ্যামাজন। তাদের এই ছাঁটাই প্রক্রিয়া চলবে আগামী বছরও। বিশ্বের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের অনিশ্চয়তা তুলে ধরে এ কথাই জানিয়েছেন সংস্থাটির সিইও অ্যান্ডি জেসি।
তিনি বলেছেন, অ্যামাজনের শীর্ষ পদে আসার পরে এটাই তার নেওয়া সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত। অন্যদিকে টুইটারের অর্ধেক কর্মী ছাঁটাই করেও সংস্থার কাজ নিয়ে চিন্তিত নন নতুন মালিক ইলন মাস্ক। তার দাবি, দক্ষ কর্মীরাই থাকছেন টুইটারে। তাই তিনি চিন্তিত নন।
চলতি মাসের শুরু থেকেই কর্মী কমাচ্ছে একের পর এক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা। টুইটারের পর গত সপ্তাহে মেটায় ছাঁটাই শুরু হয়েছে। তারা জানিয়েছে, প্রায় ১১,০০০ কর্মী কমানো হবে। এ সপ্তাহে প্রতি বছরের মতো ই-কমার্স সংস্থা অ্যামাজনে শুরু হয়েছে বার্ষিক পারফরম্যান্স খতিয়ে দেখার কাজ। সেখানেই ছাঁটাই শুরু করেছে তারা।
বিষয়টি নিয়ে জেসি বলেন, আর্থিক অনিশ্চয়তা এবং গত কয়েক বছরে বিপুল কর্মী নিয়োগের ফলে এ বছরের পারফরম্যান্স বিচার করা খুব কঠিন। ইতোমধ্যে সংস্থার ডিভাইস এবং বই বিভাগের কর্মী কমানো হচ্ছে। সবমিলিয়ে কত ছাঁটাই হবে তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে এই প্রক্রিয়া আগামী বছরও চলবে তা বলা যায়।
এদিকে, টুইটারে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কর্মী কমানোর পর সংস্থার সব কাজ ঠিক মতো চালানো যাবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তবে এতে চিন্তার কিছু নেই জানিয়ে মাস্কের দাবি, সব ভালো ও দক্ষ কর্মীরাই টুইটারে থাকছেন।