বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ১৭টি অনুষ্ঠান বাতিল করেছে বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পলক। এ সময় অনলাইনে উপস্থিত ছিলেন বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম।
অনুষ্ঠানগুলো হলো- ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০২২, ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো, বিপিও সামিট, ব্লকচেইন অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ, ন্যাশনাল হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা, ১৬তম ইন্টারন্যাশনল চিলড্রেনস ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অন আইটি (ডব্লিউসিআইটি), বাংলাদেশ ইন্ডিয়া স্টার্টআপ এক্সচেঞ্জ, জাপান আইটি উইক, চ্যানেল আই ডিজিটাল বাংলাদেশ মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড, রোড শো দুবাই/লন্ডন ব্রান্ডিং, ইন্টারন্যাশনাল এক্সপো (জাপান, ইন্ডিয়া, ইউকে, আমেরিকা, ইউরোপ অন আইসিটি), কনফারেন্স অন ইন্টারেকশন অ্যান্ড কনফিডেন্স বিল্ডিং মেজারস ইন এশিয়া (সিআইসিএ) অন বাংলাদেশ, টেক কার্নিভাল, বিজয় দিবসের যান্ত্রিক বহরে ব্রান্ডিং, বুয়েট সিএসই ফেস্ট এবং আইসিটি জাম্বুরি (বাংলাদেশ স্কাউট)। আয়োজনগুলোর মধ্য থেকে উল্লেখিত কয়েকটি ইভেন্টের জন্য এরইমধ্যে ইওআই ও ওটিএম আহ্বান করা হয়েছিল। তবে জাতীয় দিবস বিবেচনায় ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস’ সীমিত পরিসরে আয়োজন করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ প্রযুক্তিগত দিক থেকে উন্নতি লাভ করছে। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন অর্জনে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করে আইসিটি বিভাগ। করোনাকালীন সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশও একটি অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়। একইসঙ্গে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের ফলে সারা বিশ্বে একটি অর্থনৈতিক সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে বাংলাদেশও তার রাষ্ট্র পরিচালনায় নতুন কৌশল অবলম্বন করে। এরই আলোকে দেশের প্রতিটি মন্ত্রণালয় তাদের নিজস্ব পরিচালনা কৌশলে পরিবর্তন আনতে শুরু করে।
তিনি আরো বলেন, উল্লেখিত অনুষ্ঠানগুলোর জন্য মোট বাজেট ছিল ৭৫ কোটি টাকা। দেশের স্বার্থে ও জনগণের স্বার্থে ১৭টি অনুষ্ঠান বাতিল করার ফলে ওই বাজেটের মধ্য থেকে প্রায় ৪০ কোটি টাকা ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালস ঢাকা আয়োজন না করা হলে ওই আয়োজনের প্রায় ৩০ কোটি টাকাই ফেরত দেওয়া সম্ভব হতো। কিন্তু ২০১৭ সালে আইসিপিসি আয়োজনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়। যার ফলে সারা বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ দায়বদ্ধ বিধায় বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের সম্মান অটুট রাখার জন্য প্রোগ্রামিংয়ের বিশ্বকাপ নামে খ্যাত আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে আইসিটি বিভাগ।