ঢাকা ০২:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়মুখী পাহাড়ি ছাত্র-জনতার মিছিলে জলকামান-সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ পুলিশের দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রী নিজেই দুর্নীতিবাজ : টিউলিপকে ইলন মাস্ক এনসিটিবির সামনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা কদমতলীতে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় বাসের হেলপার নিহত প্রধান উপদেষ্টার ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে যাচ্ছে না বিএনপি ফুলবাড়ীয়া বাসস্ট্যান্ডে চাঁদা আদায়ের সময় একজনকে গ্রেপ্তার বাবরের মুক্তির অপেক্ষায় কারাগারের সামনে নেতাকর্মীদের ভিড় এইচএমপি ভাইরাসে আক্রান্ত নারী মারা গেছেন সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে স্কুল শিক্ষার্থীদের সাথে হাইওয়ে পুলিশ রংপুর রিজিয়নের সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান কমলনগরে হার্ভেস্টার মেশিনের ধাক্কায় শিশু নিহত

বিপৎসীমার ওপর তিস্তার পানি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে রংপুরের তিস্তাসহ নদ-নদীতে পানি বাড়ছে। এরইমধ্যে কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করছে। এতে নদ-নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

সেই সঙ্গে তিস্তার পানি কমা বাড়ায় ভাঙন ঝুঁকিতে অনেক এলাকা। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষজন। তারা ভাঙন রোধসহ দ্রুত সময়ের মধ্যে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন।

জানা গেছে, তিস্তায় পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রংপুরের গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া ও পীরগাছা উপজেলার তিস্তা নদীর নিম্নাঞ্চল, চর ও দ্বীপ চরের কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সেই সঙ্গে তিস্তা নদীতে পানি বাড়া-কমায় ভাঙনের মুখে পড়েছে বিভিন্ন এলাকা।

এর মধ্যে গঙ্গাচড়া উপজেলার কোলকোন্দ ইউনিয়নের চিলাখাল সূর্যমুখী কারি মাদ্রাসা, চিলাখাল মধ্যপাড়া জামে মসজিদ, উত্তর চিলাখাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু চরাঞ্চলের বাড়িঘরের চারপাশে পানি প্রবেশ করার খবর পাওয়া গেছে। পানি বাড়ায় তলিয়ে গেছে গ্রামীণ সড়ক। ডুবে গেছে ওইসব এলাকার সবজিক্ষেতসহ ফসলি জমি।

এছাড়া কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছ, শহীদবাগ, বালাপাড়া, টেপামধুপুর ও পীরগাছা উপজেলার পাওটানা ছাওলা ও তাম্বুলপুর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় অনেকেই বাড়িঘর থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছেন।

এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড এর বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকাল ৩টা থেকে তিস্তা নদীর রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে এই কাউনিয়া পয়েন্টে দুপুর ১২টার দিকে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার, সকাল ৯টায় ৫ সেন্টিমিটার এবং সকাল ৬টায় ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়।

পানি উন্নয়ন বোর্ড রংপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানিয়েছেন, গত কয়েকদিনের তুলনায় সোমবার রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ডালিয়া ব্যারাজের সব গেট খুলে রাখা হয়েছে। তিস্তা নদীপাড়ের পরিস্থিতির বিষয়ে সবসময় খোঁজখবর রাখা হচ্ছে।

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ তামান্না বলেন, তিস্তা নদী এলাকায় বন্যা ও ভাঙনের বিষয়ে আমরা সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছি। কোথাও কোনো সমস্যা হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়মুখী পাহাড়ি ছাত্র-জনতার মিছিলে জলকামান-সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ পুলিশের

বিপৎসীমার ওপর তিস্তার পানি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

আপডেট সময় ১০:১৩:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪

ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে রংপুরের তিস্তাসহ নদ-নদীতে পানি বাড়ছে। এরইমধ্যে কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করছে। এতে নদ-নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

সেই সঙ্গে তিস্তার পানি কমা বাড়ায় ভাঙন ঝুঁকিতে অনেক এলাকা। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষজন। তারা ভাঙন রোধসহ দ্রুত সময়ের মধ্যে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন।

জানা গেছে, তিস্তায় পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রংপুরের গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া ও পীরগাছা উপজেলার তিস্তা নদীর নিম্নাঞ্চল, চর ও দ্বীপ চরের কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সেই সঙ্গে তিস্তা নদীতে পানি বাড়া-কমায় ভাঙনের মুখে পড়েছে বিভিন্ন এলাকা।

এর মধ্যে গঙ্গাচড়া উপজেলার কোলকোন্দ ইউনিয়নের চিলাখাল সূর্যমুখী কারি মাদ্রাসা, চিলাখাল মধ্যপাড়া জামে মসজিদ, উত্তর চিলাখাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু চরাঞ্চলের বাড়িঘরের চারপাশে পানি প্রবেশ করার খবর পাওয়া গেছে। পানি বাড়ায় তলিয়ে গেছে গ্রামীণ সড়ক। ডুবে গেছে ওইসব এলাকার সবজিক্ষেতসহ ফসলি জমি।

এছাড়া কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছ, শহীদবাগ, বালাপাড়া, টেপামধুপুর ও পীরগাছা উপজেলার পাওটানা ছাওলা ও তাম্বুলপুর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় অনেকেই বাড়িঘর থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছেন।

এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ড এর বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকাল ৩টা থেকে তিস্তা নদীর রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে এই কাউনিয়া পয়েন্টে দুপুর ১২টার দিকে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার, সকাল ৯টায় ৫ সেন্টিমিটার এবং সকাল ৬টায় ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়।

পানি উন্নয়ন বোর্ড রংপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানিয়েছেন, গত কয়েকদিনের তুলনায় সোমবার রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ডালিয়া ব্যারাজের সব গেট খুলে রাখা হয়েছে। তিস্তা নদীপাড়ের পরিস্থিতির বিষয়ে সবসময় খোঁজখবর রাখা হচ্ছে।

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ তামান্না বলেন, তিস্তা নদী এলাকায় বন্যা ও ভাঙনের বিষয়ে আমরা সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছি। কোথাও কোনো সমস্যা হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।