ঢাকা ১২:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শিগগিরই আরও ১৪ জনকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানো হচ্ছে ওষুধ-পোশাকসহ নিত্যপণ্যের ভ্যাট রিভিউ হচ্ছে: অর্থ উপদেষ্টাX তামিমের ফিফটিতে ঢাকাকে সহজেই হারাল বরিশাল অবশেষে প্রধান উপদেষ্টার ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে অংশ নিচ্ছে বিএনপি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়মুখী পাহাড়ি ছাত্র-জনতার মিছিলে জলকামান-সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ পুলিশের দুর্নীতিবিরোধী মন্ত্রী নিজেই দুর্নীতিবাজ : টিউলিপকে ইলন মাস্ক এনসিটিবির সামনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা কদমতলীতে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় বাসের হেলপার নিহত প্রধান উপদেষ্টার ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে যাচ্ছে না বিএনপি ফুলবাড়ীয়া বাসস্ট্যান্ডে চাঁদা আদায়ের সময় একজনকে গ্রেপ্তার

দুমকিতে দূর্নীতি নয় জেলেদের উপকার করতে গিয়ে পরিকল্পিত ফাঁদে চেয়ারম্যান মর্তুজা।

পটুয়াখালীর দুমকির আঙ্গারিয়ায় জেলেদের উপকার করতে গিয়ে পরিকল্পিত ফাঁদে পড়ে হেনস্তার শিকার হলেন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম মর্তুজা (শুক্কুর)।

সরেজমিনে পাওয়া সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, দুমকির আঙ্গারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের জেলেদের মাঝে সরকারি চাল বিতরণের লক্ষ্যে পাতাবুনিয়া সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে শনিবার সকালে স্থানীয় গ্রাম পুলিশ দিয়ে চাল ছাড়িয়ে জেলেদের অনুরোধে চেয়ারম্যান বাড়ির একটি ঘরে সাড়ে ১৭ টন চাল মজুদ করেন এবং সাথে সাথে চৌকিদার দিয়ে সকল সুবিধাভোগী জেলেদের পরের দিন চাল দেয়া হবে বলে এই মর্মে স্লিপ দিয়ে দাওয়াত দেয়া হয়। চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে ঐদিন রাত আনুমানিক সাড়ে ১০ টার দিকে চেয়ারম্যান বাড়িতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানার অফিসার ইনচার্জসহ স্থানীয় কিছু সংবাদকর্মী উপস্থিত হন।বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষয়টি তদন্ত করেন এবং কেন চাল পরিষদে না নিয়ে তার বাড়িতে তুলেছেন এবিষয়ে চেয়ারম্যানকে প্রশ্ন করলে তার প্রশ্নের জবাবে সাথে সাথে নিজের ভুল শিকার করে চেয়ারম্যান গোলাম মর্তুজা শুক্কুর বলেন, এর আগেও আমি আমার ওয়ার্ডের সুবিধাভোগীদের সুবিধার্থে ভিজিডি ও ভিজিএফের চাল আমার বাড়িতে বসে দিয়েছি। তবে এগুলো পরিষদ ছাড়া অন্য কোথাও দেয়ার আইনত নিয়ম নেই। সম্পূর্ণ বিষয়টি হলো ইউনিয়নের তিনটি ওয়ার্ড ৭,৮,৯ নং এর সুবিধাভোগী জেলেদের পরিষদে আসা যাওয়ার কষ্ট ও গাড়ি ভাড়া বাঁচাতে জেলেদের অনুরোধে মৎস্য ভিজিএফের চাল খাদ্য গুদাম থেকে ছাড়িয়ে স্থানীয় চৌকিদার দিয়ে তার বাড়ির একটি ঘরে রাখেন। এবং ঐদিনই সকল সুবিধাভোগী জেলেদের স্লিপ দিয়ে বরিবার সকালে চাল নেয়ার জন্য দাওয়াত দেয়া হয়। কোন দূর্নীতি কিংবা অসৎ উদ্দেশ্য নয় জেলেদের সুবিধার্থে নির্ধারিত স্থান পরিবর্তন করে চাল বিতরন করার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি আরও বলেন, একটি কুচক্রী মহল বিষয়টি অন্য খাতে নেয়ার চেষ্টা করছেন।

এ বিষয়ে সুবিধাভোগী জেলে, রাসেল,রবিউল, সাগর দাস, সুকান্ত, আনন্দ হাওলাদার, মানিক দাস, পলাশ দাস, সঞ্জয় দাস, শামীম, লক্ষ্মণ দাস ও অসীম দাস সহ আরো অনেক সুবিধাভোগী জেলেরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের উপস্থিতিতে বলেন, চেয়ারম্যানকে আমরা অনুরোধ করেছি যে চালগুলো তার বাড়িতে বসে দিলে আমাদের সুবিধা হয় কারন আঙ্গারিয়া পরিষদ থেকে চাল বাড়ি পর্যন্ত নিতে আমাগো ১/২ শত টাকা খরচ হয়। এর আগেও তিনি তার বাড়িতে বসে চাল দিয়েছেন। আমাদের মনে হচ্ছে চেয়ারম্যানকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ফাঁসাতে একটি কুচক্রী মহল সবসময় তার পিছনে লেগে আছেন তার কোন দোষ নাই। এখানে আমাদের স্লিপ দেয়া হয়েছে চাল না পেলে আমরাই অভিযোগ করতাম। আমাদের চেয়ারম্যান মানবিক বলে আইনের বাঁধায় পরেছে আমাদের সুবিধা দিতে গিয়ে এ দোষ আমাদের বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সামনে তাকে নির্দোষ বলে দাবি করেন সুবিধাভোগীরা।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহীন মাহমুদ বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিয়ম বহির্ভূত কাজ হওয়ায় চাল জব্দ করেছি। সেখানে জেলেদের মাঝে বিতরণের লক্ষ্যে সাড়ে ১৭ টন চাল পাওয়া গেছে এবং আসলে তার এই চাল নিয়ে অসৎ কোন উদ্দেশ্য নেই তবে আইন নিয়ম হলো চালগুলো পরিষদে নিয়ে জেলেদের মাঝে বিতরন করা। এবিষয়ে চেয়ারম্যান তার ভুল শিকার করেছেন। পরবর্তী সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট দপ্তর জেলা মৎস্য অফিসার তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন সেটা হতে পারে আইনগত কিংবা তাদের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা। আমি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে চাল জব্দ করে সিলগালা করে স্থানীয় ইউপি সদস্যের জিম্মায় রেখে যাচ্ছি বলে তিনি জানান।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শিগগিরই আরও ১৪ জনকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানো হচ্ছে

দুমকিতে দূর্নীতি নয় জেলেদের উপকার করতে গিয়ে পরিকল্পিত ফাঁদে চেয়ারম্যান মর্তুজা।

আপডেট সময় ০৪:৫২:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪

পটুয়াখালীর দুমকির আঙ্গারিয়ায় জেলেদের উপকার করতে গিয়ে পরিকল্পিত ফাঁদে পড়ে হেনস্তার শিকার হলেন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম মর্তুজা (শুক্কুর)।

সরেজমিনে পাওয়া সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, দুমকির আঙ্গারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের জেলেদের মাঝে সরকারি চাল বিতরণের লক্ষ্যে পাতাবুনিয়া সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে শনিবার সকালে স্থানীয় গ্রাম পুলিশ দিয়ে চাল ছাড়িয়ে জেলেদের অনুরোধে চেয়ারম্যান বাড়ির একটি ঘরে সাড়ে ১৭ টন চাল মজুদ করেন এবং সাথে সাথে চৌকিদার দিয়ে সকল সুবিধাভোগী জেলেদের পরের দিন চাল দেয়া হবে বলে এই মর্মে স্লিপ দিয়ে দাওয়াত দেয়া হয়। চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে ঐদিন রাত আনুমানিক সাড়ে ১০ টার দিকে চেয়ারম্যান বাড়িতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও থানার অফিসার ইনচার্জসহ স্থানীয় কিছু সংবাদকর্মী উপস্থিত হন।বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষয়টি তদন্ত করেন এবং কেন চাল পরিষদে না নিয়ে তার বাড়িতে তুলেছেন এবিষয়ে চেয়ারম্যানকে প্রশ্ন করলে তার প্রশ্নের জবাবে সাথে সাথে নিজের ভুল শিকার করে চেয়ারম্যান গোলাম মর্তুজা শুক্কুর বলেন, এর আগেও আমি আমার ওয়ার্ডের সুবিধাভোগীদের সুবিধার্থে ভিজিডি ও ভিজিএফের চাল আমার বাড়িতে বসে দিয়েছি। তবে এগুলো পরিষদ ছাড়া অন্য কোথাও দেয়ার আইনত নিয়ম নেই। সম্পূর্ণ বিষয়টি হলো ইউনিয়নের তিনটি ওয়ার্ড ৭,৮,৯ নং এর সুবিধাভোগী জেলেদের পরিষদে আসা যাওয়ার কষ্ট ও গাড়ি ভাড়া বাঁচাতে জেলেদের অনুরোধে মৎস্য ভিজিএফের চাল খাদ্য গুদাম থেকে ছাড়িয়ে স্থানীয় চৌকিদার দিয়ে তার বাড়ির একটি ঘরে রাখেন। এবং ঐদিনই সকল সুবিধাভোগী জেলেদের স্লিপ দিয়ে বরিবার সকালে চাল নেয়ার জন্য দাওয়াত দেয়া হয়। কোন দূর্নীতি কিংবা অসৎ উদ্দেশ্য নয় জেলেদের সুবিধার্থে নির্ধারিত স্থান পরিবর্তন করে চাল বিতরন করার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি আরও বলেন, একটি কুচক্রী মহল বিষয়টি অন্য খাতে নেয়ার চেষ্টা করছেন।

এ বিষয়ে সুবিধাভোগী জেলে, রাসেল,রবিউল, সাগর দাস, সুকান্ত, আনন্দ হাওলাদার, মানিক দাস, পলাশ দাস, সঞ্জয় দাস, শামীম, লক্ষ্মণ দাস ও অসীম দাস সহ আরো অনেক সুবিধাভোগী জেলেরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের উপস্থিতিতে বলেন, চেয়ারম্যানকে আমরা অনুরোধ করেছি যে চালগুলো তার বাড়িতে বসে দিলে আমাদের সুবিধা হয় কারন আঙ্গারিয়া পরিষদ থেকে চাল বাড়ি পর্যন্ত নিতে আমাগো ১/২ শত টাকা খরচ হয়। এর আগেও তিনি তার বাড়িতে বসে চাল দিয়েছেন। আমাদের মনে হচ্ছে চেয়ারম্যানকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ফাঁসাতে একটি কুচক্রী মহল সবসময় তার পিছনে লেগে আছেন তার কোন দোষ নাই। এখানে আমাদের স্লিপ দেয়া হয়েছে চাল না পেলে আমরাই অভিযোগ করতাম। আমাদের চেয়ারম্যান মানবিক বলে আইনের বাঁধায় পরেছে আমাদের সুবিধা দিতে গিয়ে এ দোষ আমাদের বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সামনে তাকে নির্দোষ বলে দাবি করেন সুবিধাভোগীরা।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহীন মাহমুদ বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিয়ম বহির্ভূত কাজ হওয়ায় চাল জব্দ করেছি। সেখানে জেলেদের মাঝে বিতরণের লক্ষ্যে সাড়ে ১৭ টন চাল পাওয়া গেছে এবং আসলে তার এই চাল নিয়ে অসৎ কোন উদ্দেশ্য নেই তবে আইন নিয়ম হলো চালগুলো পরিষদে নিয়ে জেলেদের মাঝে বিতরন করা। এবিষয়ে চেয়ারম্যান তার ভুল শিকার করেছেন। পরবর্তী সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট দপ্তর জেলা মৎস্য অফিসার তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করবেন সেটা হতে পারে আইনগত কিংবা তাদের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা। আমি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে চাল জব্দ করে সিলগালা করে স্থানীয় ইউপি সদস্যের জিম্মায় রেখে যাচ্ছি বলে তিনি জানান।