বন্যার পানি কমতে শুরু করায় ও অনুকূল আবহাওয়া বিরাজমান থাকায় জাফলং পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের আগমন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বন্যার পানি উন্নতি হওয়ায় জাফলং মায়াবী ঝর্ণায় পর্যটকদের ভীড় বাড়ছে। করোনা কালীন সময়ের মত এবার ঈদুল আযহায়ও পর্যটক শূন্য ছিল সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার সব কয়টি পর্যটন স্পট।অতি বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যায় গত ১৮ জুন বৈরী আবহাওয়া ও পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে গোয়াইনঘাট উপজেলার সব কয়টি পর্যটন স্পট বন্ধ ঘোষণা করে গোয়াইনঘাট পর্যটন উন্নয়ন কমিটি।এতে প্রায় ফাঁকা থাকে পুরো পর্যটন এলাকা।পর্যটন সংশ্লিষ্ট এরিয়ায় গড়ে উঠা স্থায়ী ও অস্থায়ী প্রায় ৮০০ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক শ্রমিক কর্মচারী বেকার হয়ে পড়েন। গত রোববার অনুকুল আবহাওয়া ও বন্যার পানি কমায় গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসন বিভিন্ন শর্তসাপেক্ষে পর্যটন স্পটগুলো খুলে দেওয়া হয়।
স্হানীয় সূত্রে জানা যায়,গত দুইদিন থেকেই জাফলং মায়াবী ঝর্ণায় ভিড় জমান পর্যটকেরা। পর্যটকদের মধ্যে অধিকাংশই সিলেটের বাইরের বাসিন্দা। পাশাপাশি সিলেটের অনেক স্থানীয় পর্যটক রয়েছেন।
জাফলং টুরিস্ট পুলিশ সূত্রে জানা যায়,শুক্রবার দুপুর থেকেই পর্যটকরা জাফলং পর্যটন স্পটে ভীড় করেন।
শুক্রবার ছুটির দিন থাকায় প্রায় ২০ হাজারের উপরে পর্যটকের আগমন হয়েছে।পর্যটক ও দর্শনার্থীদের নিরাপত্তায় ও স্বাচ্ছন্দ্যে ঘুরাফেরা করে পর্যটকরা যাতে সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারে তার জন্য কাজ করছে দায়িত্বরত টুরিস্ট পুলিশ। হ্যান্ড মাইকিং করে, দিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা।আগত পর্যটকের কোন শিশু ও কিশোর হারিয়ে গেলে যথাযথ দায়িত্ববোধের মাধ্যমে থাকে তার অভিভাবকের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে।
জাফলং ট্যুরিস্ট পুলিশের ইনচার্জ ইউনিটের ওসি (পিপিএম) রতন শেখ জানান, বর্তমানে পানি কম থাকলেও ভিড় বাড়ছে মায়াবী ঝর্ণা’য়।
জাফলং পর্যটনকেন্দ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি মোঃ হোসেন মিয়া, টুরিস্ট গাইড ও নৌকা চালক ক্যামেরাম্যান সহ ও ব্যবসায়ী বিন্দু সবাই বলে এখনোই উপযুক্ত সময় জাফলং ভ্রমণ করা
জাফলং বল্লাঘাট পিক নিক সেন্টার থেকে নৌকায় ভ্রমন করা যায় খুব সহজে।
মায়াবী ঝর্ণায় ভ্রমণের এখনই সময়। আজ ২০ হাজারের উপরে পর্যটক ও দর্শনার্থীদের আগমন হয়েছে।
পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে ভ্রমণের খরচ সহ বিস্তারিত তথ্য ও দিকনির্দেশনা দিচ্ছে জাফলং ট্যুরিস্ট পুলিশ। তিনি বলেন, বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় পর জাফলং জিরো পয়েন্টের স্বচ্ছ জল ও নেমে আসা ছোট বড় সাদা পাথরের বিছানার অপরূপ সৌন্দর্য অনুভূত হচ্ছে। মেঘালয়ের খন্ড খন্ড মেঘ সবুজ প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যে দৃশ্যমান হচ্ছে বর্তমানে জাফলং জিরো পয়েন্ট।