৬০০ বস্তা চাল নিয়ে বগুড়া থেকে নারায়ণগঞ্জ যাওয়ার পথে চালক ও হেলপারের হাত-পা বেঁধে ট্রাকসহ চালগুলো লুট করে নেয় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় গাজীপুরের পূবাইল থানায় অভিযোগ হলে অভিযান পরিচালনা করে ট্রাক ও চালগুলো উদ্ধার করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- টাঙ্গাইল ঘাটাইল থানার শিমলা এলাকার রাজু মিয়ার ছেলে আব্দুল খালেক (২৬) ও টাঙ্গাইল ভুয়াপুর হালদার গ্রামের কোরবান আলীর ছেলে সোনা মিয়া (৩৭)।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২১ জুন ধনঞ্জয় চন্দ্র মহন্তের ট্রাকে চালক নুরুল ইসলাম ও হেলপার ইদ্রিস আলী ৬০০ বস্তা চাল নিয়ে বগুড়া হতে নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জ ভুলতা গাউছিয়ার উদ্দেশে রওনা দেয়। ট্রাকটি গাজীপুরের পূবাইল থানাধীন নাগদা ব্রিজ এলাকায় পৌঁছলে অজ্ঞাতনামা ৪ জন দুর্বৃত্ত একটি সাদা রংয়ের প্রাইভেটকারে ট্রাকটির সামনে ব্যারিকেড দেয়। এ সময় পুলিশ পরিচয় দিয়ে ট্রাকের কাগজপত্র দেখতে চায়। পরে ড্রাইভার ও হেলপার ট্রাক থেকে নামিয়ে তাদের পরিহিত লুঙ্গি দিয়ে হাত-পা, চোখ বেঁধে ৬০০ বস্তা চালসহ ট্রাকটি নিয়ে চলে যায়। পরে চালক ও ড্রাইভারকে নারায়ণগঞ্জ জেলার পূর্বাচল এলাকায় রাস্তা পাশে ফেলে রেখে যায়। এ ঘটনায় পরের দিন পূবাইল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ট্রাকের মালিক ধনঞ্জয়।
পরবর্তীতে পুলিশ বিশ্বস্ত সোর্স এবং তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় আসামি রাজু মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্য পলাতক এক আসামির গোডাউন হতে ১৩৮ বস্তা, যোগীহাট এলাকার গেডাউন হতে আরও ১৩৮ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়। এরপর ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা চক নারায়ণপুর হলুদ নীল রংয়ের টাটা কোম্পানির ট্রাক জব্দ করা হয়। এরপর আসামি সোনা মিয়াকে গ্রেফতার করে টাঙ্গাইল জেলার ভূয়াপুর জনৈক প্রফেসর আসিফ হায়াতের ২য় তলা বাড়ির নিচতলার গোডাউন থকে ৪৬২ বস্তা চাল জব্দ করা হয়।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পূবাইল থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।