ঢাকা ১২:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কুমিল্লায় সচিবালয়ে আগুন ও আওয়ামী দোসরদের পুনর্বাসনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল গোয়াইনঘাটে কৃষি ও প্রযুক্তি মেলার সমাপনী অনুষ্ঠান সম্পন চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভারতীয় ইয়াবাসহ ২ জন আসামীকে আটক করেছে ৫৩ বিজিবি। পাঁচবিবিতে দাবী আদায়ে বিসিএস কর্তাদের মানববন্ধন মিঠাপুকুরে অবৈধ বালু উত্তোলন ও পরিবহনে কৃষকের জম দিয়ে রাস্তা না দেওয়ায় বাড়িঘরে ভাংচুরের অভিযোগ বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে এডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের খুনীদের শাস্তি দাবি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিকৃত করে শেখ পরিবার বাংলাদেশকে তলানিতে পৌঁছে দিয়েছে ব্যবসায়ীদের জন্য চসিক মেয়রের দরজা সবসময় খোলা থাকবে ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা মহাসড়কে ভয়াবহ দুর্ঘটনা: নিহত ৪, আহত ২ সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে ১০ শয্যা বিশিষ্ট ফুলেন্নেছা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে স্বাস্থ্যসেবা বন্ধ

স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি হচ্ছে না ইসরাইল!

যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া গাজার শান্তিচুক্তি প্রস্তাবে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির কথা বলা হয়েছে। ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস সেটির ওপরই জোর দিচ্ছে। কিন্তু ইসরাইল এখনো স্থায়ী যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে রাজি হচ্ছে না।

সম্প্রতি নিরাপত্তা পরিষদেও গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হয়েছে। এতেও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ইসরাইল এখনো তা মেনে নেওয়ার কথা বলছে না। আর হামাস বলছে, তারা স্থায়ী যুদ্ধবিরতির নিশ্চয়তা চায়।

গত ২৭ মে ইসরাইল যে প্রস্তাব দিয়েছিল, তাতে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিয়ে অস্পষ্টতা আছে। এতে বলা হয়েছে, দুই পক্ষ প্রথমে ছয় সপ্তাহে প্রথম ধাপের অস্ত্রবিরতিতে যবে। এ সময় তারা বন্দি বিনিময় করবে। দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হবে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে। কিন্তু এখানে যদি কোনো অবস্থাতেই ইসরাইল যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হয়? হামাস তাই শুরুতেই স্থায়ী যুদ্ধবিরতির নিশ্চয়তা দাবি করছে।

ইসরাইল-যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবে বলা হয়েছে, দ্বিতীয় পর্যায় বা ধাপটির স্থায়িত্ব হবে ছয় সপ্তাহের। এতে যদি সমঝোতা না হয়, তবে তা সম্প্রসারিত করা হবে। কিন্তু হামাস মনে করছে, এই প্রস্তাবে ইসরাইলকে যুদ্ধ আবার শুরুর অধিকার দেওয়া হয়েছে।

মধ্যস্ততাকারীরা বলছেন, হামাস আরও কয়েকটি সংশোধনী দাবি করছে। তবে সেগুলো খুবই ছোটখাট। সেগুলো সমাধান করতে সমস্যা হবে না। কিন্তু স্থায়ী যুদ্ধবিরতির বিষয়টিই এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনঞ্জামিন নেতানিয়াহু বার বার বলে আসছেন, হামাসকে ধ্বংস না করা পর্যন্ত তারা যুদ্ধ বন্ধ করবে না।

তিনি আরও দাবি করেছেন, তাদের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে এই যুদ্ধে তাদের লক্ষ্য পূরণের বিষয়টি অনুমোদন করা রয়েছে।

এই প্রেক্ষাপটে হামাস মনে করছে, ইসরাইল কেবল যুদ্ধবিরতির প্রথম অংশটুকু বাস্তবায়ন করবে। এর মাধ্যমে তারা জীবিত নারী, বয়স্ক এবং অসুস্থ পণবন্দিদের মুক্ত করিয়ে নেবে। এসব বন্দি মুক্ত হলেই তারা পূর্ণ গতিতে আবার হামলা চালাবে। এমনকি তখন হামলার গতি হবে আরও ভয়াবহ।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কুমিল্লায় সচিবালয়ে আগুন ও আওয়ামী দোসরদের পুনর্বাসনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল

স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি হচ্ছে না ইসরাইল!

আপডেট সময় ০৯:৫৭:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া গাজার শান্তিচুক্তি প্রস্তাবে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির কথা বলা হয়েছে। ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস সেটির ওপরই জোর দিচ্ছে। কিন্তু ইসরাইল এখনো স্থায়ী যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে রাজি হচ্ছে না।

সম্প্রতি নিরাপত্তা পরিষদেও গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হয়েছে। এতেও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ইসরাইল এখনো তা মেনে নেওয়ার কথা বলছে না। আর হামাস বলছে, তারা স্থায়ী যুদ্ধবিরতির নিশ্চয়তা চায়।

গত ২৭ মে ইসরাইল যে প্রস্তাব দিয়েছিল, তাতে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিয়ে অস্পষ্টতা আছে। এতে বলা হয়েছে, দুই পক্ষ প্রথমে ছয় সপ্তাহে প্রথম ধাপের অস্ত্রবিরতিতে যবে। এ সময় তারা বন্দি বিনিময় করবে। দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হবে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে। কিন্তু এখানে যদি কোনো অবস্থাতেই ইসরাইল যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হয়? হামাস তাই শুরুতেই স্থায়ী যুদ্ধবিরতির নিশ্চয়তা দাবি করছে।

ইসরাইল-যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবে বলা হয়েছে, দ্বিতীয় পর্যায় বা ধাপটির স্থায়িত্ব হবে ছয় সপ্তাহের। এতে যদি সমঝোতা না হয়, তবে তা সম্প্রসারিত করা হবে। কিন্তু হামাস মনে করছে, এই প্রস্তাবে ইসরাইলকে যুদ্ধ আবার শুরুর অধিকার দেওয়া হয়েছে।

মধ্যস্ততাকারীরা বলছেন, হামাস আরও কয়েকটি সংশোধনী দাবি করছে। তবে সেগুলো খুবই ছোটখাট। সেগুলো সমাধান করতে সমস্যা হবে না। কিন্তু স্থায়ী যুদ্ধবিরতির বিষয়টিই এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনঞ্জামিন নেতানিয়াহু বার বার বলে আসছেন, হামাসকে ধ্বংস না করা পর্যন্ত তারা যুদ্ধ বন্ধ করবে না।

তিনি আরও দাবি করেছেন, তাদের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে এই যুদ্ধে তাদের লক্ষ্য পূরণের বিষয়টি অনুমোদন করা রয়েছে।

এই প্রেক্ষাপটে হামাস মনে করছে, ইসরাইল কেবল যুদ্ধবিরতির প্রথম অংশটুকু বাস্তবায়ন করবে। এর মাধ্যমে তারা জীবিত নারী, বয়স্ক এবং অসুস্থ পণবন্দিদের মুক্ত করিয়ে নেবে। এসব বন্দি মুক্ত হলেই তারা পূর্ণ গতিতে আবার হামলা চালাবে। এমনকি তখন হামলার গতি হবে আরও ভয়াবহ।