ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রোববার টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। সন্ধ্যার পর নয়াদিল্লিতে রাষ্ট্রপতি ভবনের প্রাঙ্গণে জমকালো আয়োজনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ ৭২ জন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও স্বাধীন ভারপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রীকে শপথ পড়িয়েছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। নতুন মন্ত্রিসভায় গতবারের কয়েকজন আলোচিত মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী বাদ পড়েছেন।
বাদ পড়া উল্লেখযোগ্য মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর কয়েকজন এবারের লোকসভা নির্বাচনে হেরেছেন, কয়েকজন জিতেছেন। বাদ পড়া মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের কয়েকজন হলেন:
অনুরাগ ঠাকুর
হিমাচল প্রদেশের হামিরপুর আসন থেকে এবার নিয়ে টানা পাঁচবার লোকসভা নির্বাচনে জিতেছেন অনুরাগ ঠাকুর। এবার তিনি নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের সাতপাল রায়জাদাকে ১ লাখ ৮২ হাজার ৩৫৭ ভোটে হারিয়েছেন। মোদির গেল মন্ত্রিসভায় তিনি ক্রীড়া, যুববিষয়ক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। এবার তিনি বাদ পড়েছেন।
স্মৃতি ইরানি
মোদির গত দুই সরকারের মন্ত্রিসভায়ই স্থান পেয়েছিলেন স্মৃতি ইরানি। সর্বশেষ তিনি কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন। এবার তিনি উত্তর প্রদেশের আমেথি আসন থেকে নির্বাচন করে কংগ্রেসের প্রার্থী কিশোরী লাল শর্মার কাছে ১ লাখ ৬৭ হাজার ১৯৬ ভোটে পরাজিত হয়েছেন। এবার মোদির মন্ত্রিসভায় ঠাঁই হয়নি তাঁর। অবশ্য গুঞ্জন ছিল তাঁকে মন্ত্রিসভায় রাখা হতে পারে। পরে রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে জিতিয়ে আনা হতে পারে।
রাজীব চন্দ্রশেখর
মোদির এবারের মন্ত্রিসভায় যাঁরা স্থান পাননি, তাঁদের অন্যতম রাজীব চন্দ্রশেখর। গত মন্ত্রিসভায় তিনি ইলেকট্রনিকস ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং দক্ষতা উন্নয়ন ও উদ্যোক্তাবিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি কেরালার তিরুবনন্তপুরম আসনে কংগ্রেসের শশী থারুরের কাছে ১৬ হাজার ৭৭ ভোটে হেরেছেন।
পার্শোত্তম রূপলা
২০১৯ সালে দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতা গ্রহণের পর ২০২১ সালে মন্ত্রিসভা ঢেলে সাজান নরেন্দ্র মোদি। তখন মৎস্য, পশুপালন ও ডেইরি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল পার্শোত্তম রূপলাকে। এবার তিনিও বাদ পড়েছেন। রূপলা গুজরাটের রাজকোট থেকে এবার লোকসভার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কংগ্রেসের পরেশ ধাননিকে তিনি ৪ লাখ ৮৪ হাজার ২৬০ ভোটে হারিয়েছেন। বড় ব্যবধানে জেতার পরও রূপলা এবার মোদির মন্ত্রিসভায় কেন স্থান পাননি, তা স্পষ্ট নয়। তবে শোনা যাচ্ছে, নির্বাচনী প্রচারে তিনি রাজপুতদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছিলেন। বলেছিলেন, আগের মহারাজারা ব্রিটিশ ও বিদেশি শাসকদের প্রজা ছিলেন। তাঁর এই মন্তব্য রাজপুতদের মর্যাদায় আঘাত বলে আলোচনা রয়েছে। অনেকের ধারণা, এই কারণে এবার মোদির মন্ত্রিসভায় তাঁর জায়গা হয়নি।