‘নারীদের নিরাপত্তা অত্যাবশ্যক। প্রতিদিন ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে নারীদের প্রতি অত্যাচারের নানা খবর সামনে আসে। এ বিষয়টি নিয়ে অনেক কাজ করা বাকি আছে। তাই একেবারে গোঁড়া থেকে সেই কাজ শুরু করা উচিত।’ দাবি প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার। নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রিয়াঙ্কার এমন বিস্ফোরক মন্তব্যে একমত হতে পারেনি ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার। সেইসঙ্গে প্রিয়াঙ্কার মন্তব্যের ব্যাপারে অসন্তোষ জানিয়েছেন দলটির নেতারা।
সম্প্রতি দীর্ঘ তিন বছর পর ভারতের মাটিতে পা রাখেন প্রিয়াঙ্কা। তবে শুধুমাত্র ছুটি কাটাতে নয়, হাতে বেশ কয়েকটি কাজ নিয়েই ভারতে এসেছিলেন তিনি। এই সফরে তার অন্যতম লক্ষ্য ছিল লক্ষ্মৌতে যাওয়া। ইউনিসেফের অ্যাম্বাসেডর হয়ে লক্ষ্মৌতে গিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। উত্তরপ্রদেশে মেয়েদের উপর বৈষম্যমূলক ও অত্যাচারের অবসান ঘটাতে কাজ করছে ইউনিসেফ। মূলত সেই সমস্ত কাজ পরিদর্শনের জন্যই সেখানে গিয়েছিলেন এই বলিউড কুইন।
অবশ্য লক্ষ্মৌয়ের গোমতিনগর এলাকায় গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন প্রিয়াঙ্কা। তার যাওয়ার কথা ছড়িয়ে পড়তেই শহরের বিভিন্ন প্রান্তে তাকে আটকানোর পোস্টার পড়ে।
প্রিয়াঙ্কার গাড়ি গোমতীনগর এলাকায় পৌঁছনোর আগেই ওই এলাকার বিভিন্ন দেওয়ালে তার পোস্টার লাগিয়ে দেওয়া হয়। দেখা যায়, প্রিয়াঙ্কার ছবি লাল কালি দিয়ে কেটে লেখা হয়েছে ‘নবাবের শহরে তোমার উপস্থিতি আমরা চাইছি না, তুমি ফিরে যাও।’ তবে কে বা কারা এই পোস্টার লাগিয়েছে, তা স্পষ্ট নয়।
তবে সেসবের তোয়াক্কা না করেই লক্ষ্মৌ পৌঁছান প্রিয়াঙ্কা। নিজের প্রোফাইলে অনেক ছবিই পোস্ট করেন অভিনেত্রী। মেয়েদের স্কুল পরিদর্শন থেকে শুরু করে পুলিশের সঙ্গে মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়েও।
প্রিয়াঙ্কার পোস্ট করা একটি ভিডিওতে অভিনেত্রীকে বলতে শোনা যায় যে, ‘আমি নিজেও লক্ষ্মৌতে বড় হয়েছি। আমি জানি এই শহর মেয়েদের জন্য কতটা ভয়ানক, বিশেষ করে সন্ধ্যা ৭টার পর।’
ভিডিওতে এক আইপিএস অফিসারকে প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘আপনি আমায় একটা কথা বলুন, ইউপির মতো রাজ্যে, যেখানে আমি বড় হয়েছি, মেয়েদের মধ্যে একটা ভয় তো থাকেই, বিশেষ করে সন্ধ্যা ৭টার পর।’ বাকি ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশের সঙ্গে ওম্যান পাওয়ার লাইন নিয়ে কথা বলেন প্রিয়াঙ্কা। নারীদের হেল্প লাইন নম্বর নিয়েও কথা বলতে শোনা যায়।
লক্ষ্মৌ সফরে বেশ কয়েকটি এডুকেশন সেন্টার পরিদর্শন করেন প্রিয়াঙ্কা, যেখানে শিশু ও নারী শিক্ষা নিয়ে কাজ হয়।