ঢাকা ১১:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫, ১৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
গাজীপুরে সদরে অভিযানে ৩ একর বনভূমি উদ্ধার গাজীপুর টঙ্গীতে সন্ত্রাসী হামলায় সাংবাদিক গুরুতর আহত হাজী শরীয়তউল্ল্যাহ কলেজে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ২০২৫ ভোলা-শিবপুরে নদী ভাঙ্গন রোধে এলাকাবাসীর মানববন্ধন প্রগতি লাইভ ইন্সুরেন্স লিমিটেড মরহুম আবু জাফর( স্বর্ণকার) মৃত্যুদাবীর চেক প্রদান কুমিল্লায় আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস পালিত কুমিল্লায় তারুণ্যের উচ্ছ্বাসে কাবাডি, ভলিবল, ব্যাডমিন্টন ও দাবা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত বোরহানউদ্দিনে স্কুল পড়ুয়া ছাত্রদের এলাহি কান্ড রয়্যাল এনফিল্ড কিনে না দেয়ায় ট্রেনের নিচে ঝাঁপ কিশোরের! পটুয়াখালীতে ১০টি মাঠে ড. আজহারীর মাহফিল জনসমুদ্রে পরিনত

ফুটপাত দখল, নার্সারি বসিয়ে ছাত্রলীগ নেতার চাঁদাবাজি

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ফুটপাত দখল করে ফুল ও ফলদ গাছের কয়েকটি নার্সারি বসিয়ে প্রতি মাসে লাখ টাকা চাঁদাবাজি করছেন এক ছাত্রলীগ নেতা। তার নাম রতন হোসাইন। তিনি ঢাকা মহানগর উত্তরের মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

এদিকে দখলের কারণে ফুটপাত ছেড়ে শিক্ষার্থী, পথচারী ও বাসিন্দারা সড়ক দিয়ে চলাচলে করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগে পড়ছেন।

সরেজমিন মোহাম্মদপুরের রিং রোড ঘুরে দেখা যায়, আদাবর থানার উলটা পাশে গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের বহুতল ভবনগুলোর সামনের সড়কের ফুটপাত দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে ৮টি নার্সারি। নার্সারিগুলো বসাতে দোকানপ্রতি অগ্রিম ১ থেকে দেড় লাখ টাকা দিতে হয়েছে। পাশাপাশি প্রতি মাসে প্রতিটি নার্সারির জন্য ১০ হাজার টাকা ভাড়া দিতে হয়। এছাড়া বিদ্যুৎ, পানি ও ময়লার বিল মিলে দিতে হয় আরও পঁচিশ টাকা। মাস শেষে রতন নিজে এসে পুরো টাকা তুলে নিয়ে যান। এভাবে প্রতি মাসে প্রায় ৭০-৮০ হাজার টাকা চাঁদাবাজি করা হয়।

মারধরের ভয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন দোকান মালিক জানান, রতন স্থানীয় এক নারী কাউন্সিলরের স্বামীর খালাতো ভাই। তার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারে না।

সূত্রে আরও জানা যায়, নার্সারিগুলোর পাশে অস্থায়ীভাবে টিনশেড ঘর বানিয়ে শ্রমিকদের থাকতে ভাড়া দিয়েছেন স্থানীয় আরও কয়েকজন। ঘরগুলোর পাশেই আদাবর থানার জব্দ করা গাড়ি ডাম্পিং করে রাখা হয়েছে দীর্ঘদিন। রিং রোডের এ ফুটপাতের পুরো অংশ দখল করে নার্সারি, টিনশেড ঘর ও গাড়ির ডাম্পিং স্টেশন গড়ে তোলায় পথচারীরা ফুটপাত ব্যবহার করতে পারেন না। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সড়ক দিয়েই চলাচল করতে হয়। বিশেষ করে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা বেশি সমস্যায় পড়ছে। এ সড়কের এক পাশে গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের করা বহুতল ভবনের বিশাল আবাসিক এলাকা এবং কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে।

ফুটপাত দখল প্রসঙ্গে রতন হোসাইন বলেন, নার্সারি দোকানগুলোতে এলাকার কিছু লোকদের বসতে দিয়েছি। নার্সারি বসানোর সময় পাশেই গৃহায়ণের করা বহুতল ভবনগুলোর সভাপতির কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছি। নার্সারির জন্য কারও থেকে কোনো টাকা নেওয়া হয় না। এলাকার সৌন্দর্য রক্ষায় নার্সারিগুলো বসানো হয়েছে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাকাব্বির আহমেদ বলেন, ফুটপাত দখল করে কেউ দোকানপাট কিংবা যে কোনো স্থাপনা করলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। ফুটপাতটি আমরা খুব শিগগিরই দখলমুক্ত করব।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

গাজীপুরে সদরে অভিযানে ৩ একর বনভূমি উদ্ধার

ফুটপাত দখল, নার্সারি বসিয়ে ছাত্রলীগ নেতার চাঁদাবাজি

আপডেট সময় ১২:২১:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ জুন ২০২৪

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ফুটপাত দখল করে ফুল ও ফলদ গাছের কয়েকটি নার্সারি বসিয়ে প্রতি মাসে লাখ টাকা চাঁদাবাজি করছেন এক ছাত্রলীগ নেতা। তার নাম রতন হোসাইন। তিনি ঢাকা মহানগর উত্তরের মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

এদিকে দখলের কারণে ফুটপাত ছেড়ে শিক্ষার্থী, পথচারী ও বাসিন্দারা সড়ক দিয়ে চলাচলে করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগে পড়ছেন।

সরেজমিন মোহাম্মদপুরের রিং রোড ঘুরে দেখা যায়, আদাবর থানার উলটা পাশে গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের বহুতল ভবনগুলোর সামনের সড়কের ফুটপাত দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে ৮টি নার্সারি। নার্সারিগুলো বসাতে দোকানপ্রতি অগ্রিম ১ থেকে দেড় লাখ টাকা দিতে হয়েছে। পাশাপাশি প্রতি মাসে প্রতিটি নার্সারির জন্য ১০ হাজার টাকা ভাড়া দিতে হয়। এছাড়া বিদ্যুৎ, পানি ও ময়লার বিল মিলে দিতে হয় আরও পঁচিশ টাকা। মাস শেষে রতন নিজে এসে পুরো টাকা তুলে নিয়ে যান। এভাবে প্রতি মাসে প্রায় ৭০-৮০ হাজার টাকা চাঁদাবাজি করা হয়।

মারধরের ভয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন দোকান মালিক জানান, রতন স্থানীয় এক নারী কাউন্সিলরের স্বামীর খালাতো ভাই। তার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারে না।

সূত্রে আরও জানা যায়, নার্সারিগুলোর পাশে অস্থায়ীভাবে টিনশেড ঘর বানিয়ে শ্রমিকদের থাকতে ভাড়া দিয়েছেন স্থানীয় আরও কয়েকজন। ঘরগুলোর পাশেই আদাবর থানার জব্দ করা গাড়ি ডাম্পিং করে রাখা হয়েছে দীর্ঘদিন। রিং রোডের এ ফুটপাতের পুরো অংশ দখল করে নার্সারি, টিনশেড ঘর ও গাড়ির ডাম্পিং স্টেশন গড়ে তোলায় পথচারীরা ফুটপাত ব্যবহার করতে পারেন না। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সড়ক দিয়েই চলাচল করতে হয়। বিশেষ করে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা বেশি সমস্যায় পড়ছে। এ সড়কের এক পাশে গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের করা বহুতল ভবনের বিশাল আবাসিক এলাকা এবং কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে।

ফুটপাত দখল প্রসঙ্গে রতন হোসাইন বলেন, নার্সারি দোকানগুলোতে এলাকার কিছু লোকদের বসতে দিয়েছি। নার্সারি বসানোর সময় পাশেই গৃহায়ণের করা বহুতল ভবনগুলোর সভাপতির কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছি। নার্সারির জন্য কারও থেকে কোনো টাকা নেওয়া হয় না। এলাকার সৌন্দর্য রক্ষায় নার্সারিগুলো বসানো হয়েছে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাকাব্বির আহমেদ বলেন, ফুটপাত দখল করে কেউ দোকানপাট কিংবা যে কোনো স্থাপনা করলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। ফুটপাতটি আমরা খুব শিগগিরই দখলমুক্ত করব।