ঢাকা ১০:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শহীদ জিয়া গবেষণা পরিষদের আন্তর্জাতিক সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ বোরহানউদ্দিনে র‍্যাবের অভিযানে ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামী আটক সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশের খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন সমন্বয়‌কের বাড়ির দেয়া‌লে ‘মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি নাও’ লিখে হুমকি কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামে বীরমুক্তিযোদ্ধা লাঞ্ছিতের ঘটনায় আটক ৫ ১৬ বছরের জেদ, বিএনপি ক্ষমতায় এলেই চুল কাটবেন সাবু! পর্যটক সীমিত করলেও নির্মাণ হচ্ছে বহুতল ভবনসেন্টমার্টিনে জামালপুরে ফুলকপি ও লাউয়ের মিশ্র চাষে লাভবান আনিস আওয়ামী লীগ ক্ষমতাকে নিজের মনে করে ব্যবহার করেছেন:রংপুরে জামাতের আমীর মঠবাড়িয়ায় আ.লীগ নেতা ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ

মৌলিক আইন বাংলায় অনুবাদ করতে ৫ সদস্যের কমিটি করে দিলেন হাইকোর্ট

দেশের মৌলিক আইনগুলো বাংলায় অনুবাদ করতে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এ সংক্রান্ত রিটের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

পাঁচ সদস্যের কমিটিতে আইন মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি, আইন কমিশনের একজন প্রতিনিধি, বাংলা একাডেমির একজন প্রতিনিধি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের একজন প্রতিনিধি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের একজন প্রতিনিধি রাখতে বলা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ২৯ আগস্টের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।

এর আগে সুপ্রিমকোর্টের ১০ আইনজীবীর রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২২ সালের ১৪ মার্চ রুল জারি করে কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। তবে নির্দেশের পরও কমিটি গঠন না হওয়ায় আজ কমিটি করে দেন আদালত।

আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, মৌলিক আইনের নির্ভরযোগ্য কোনো বাংলা পাঠ নেই। এসব আইন ব্রিটিশ আমলে তৈরি করা। এ জন্য আইনগুলোর বাংলা পাঠ তৈরি করতে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

রিটের আগে ১০ আইনজীবী নোটিশ দিয়েছিলেন। তারা হলেন—মোস্তাফিজুর রহমান, মীর ওসমান বিন নাসিম, আসাদ উদ্দিন, মোহা. মুজাহিদুল ইসলাম, জোবায়েদুর রহমান, আব্দুস সবুর দেওয়ান, আল রেজা মো. আমির, আব্দুল্লাহ হিল মারুফ ফাহিম, জিএম মুজাহিদুর রহমান ও জহিরুল ইসলাম।

যেসব মৌলিক আইনের বাংলা অনুবাদ করা হবে, সেগুলো হলো—দণ্ডবিধি-১৮৬০, সাক্ষ্য আইন-১৯৭২, চুক্তি আইন-১৮৭২, সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন-১৮৭৭, সিভিল কোর্টস অ্যাক্ট-১৮৮৭, সম্পত্তি হস্তান্তর আইন-১৮৮২, ফৌজদারি কার্যবিধি-১৮৯৮, দেওয়ানি কার্যবিধি-১৯০৮ এবং তামাদি আইন-১৯০৮।

 

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শহীদ জিয়া গবেষণা পরিষদের আন্তর্জাতিক সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ

মৌলিক আইন বাংলায় অনুবাদ করতে ৫ সদস্যের কমিটি করে দিলেন হাইকোর্ট

আপডেট সময় ০৭:৪২:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

দেশের মৌলিক আইনগুলো বাংলায় অনুবাদ করতে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এ সংক্রান্ত রিটের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

পাঁচ সদস্যের কমিটিতে আইন মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি, আইন কমিশনের একজন প্রতিনিধি, বাংলা একাডেমির একজন প্রতিনিধি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের একজন প্রতিনিধি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের একজন প্রতিনিধি রাখতে বলা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ২৯ আগস্টের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।

এর আগে সুপ্রিমকোর্টের ১০ আইনজীবীর রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২২ সালের ১৪ মার্চ রুল জারি করে কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। তবে নির্দেশের পরও কমিটি গঠন না হওয়ায় আজ কমিটি করে দেন আদালত।

আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, মৌলিক আইনের নির্ভরযোগ্য কোনো বাংলা পাঠ নেই। এসব আইন ব্রিটিশ আমলে তৈরি করা। এ জন্য আইনগুলোর বাংলা পাঠ তৈরি করতে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

রিটের আগে ১০ আইনজীবী নোটিশ দিয়েছিলেন। তারা হলেন—মোস্তাফিজুর রহমান, মীর ওসমান বিন নাসিম, আসাদ উদ্দিন, মোহা. মুজাহিদুল ইসলাম, জোবায়েদুর রহমান, আব্দুস সবুর দেওয়ান, আল রেজা মো. আমির, আব্দুল্লাহ হিল মারুফ ফাহিম, জিএম মুজাহিদুর রহমান ও জহিরুল ইসলাম।

যেসব মৌলিক আইনের বাংলা অনুবাদ করা হবে, সেগুলো হলো—দণ্ডবিধি-১৮৬০, সাক্ষ্য আইন-১৯৭২, চুক্তি আইন-১৮৭২, সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন-১৮৭৭, সিভিল কোর্টস অ্যাক্ট-১৮৮৭, সম্পত্তি হস্তান্তর আইন-১৮৮২, ফৌজদারি কার্যবিধি-১৮৯৮, দেওয়ানি কার্যবিধি-১৯০৮ এবং তামাদি আইন-১৯০৮।