রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশানে চলছে স্পা সেন্টারের নামে তরুণ-তরুণী দিয়ে জমজমাট মাদক সহ ব্ল্যাকমেইল রমরমা বাণিজ্য। গুলশান ২ এর রোড নং ৯৫, হাউজ নং-১, লেভেল-২ এ ডায়মন্ড থাই স্পা সেন্টারে চলছে এই বাণিজ্য ও ভয়ংকর অপরাধমূলোক কর্মকান্ড। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি চরম অবক্ষয়ের কারনে অনেকটা প্রকাশ্যেই নীতিহীন ঘৃনীত জিনা ব্যাভিচার আর মাদকতায় সয়লাভ করে দিচ্ছে ডায়মন্ড থাই স্পার সাথে জড়িতরা। কি ভাবে স্থানীয় থানা পুলিশের নাকের ডগার উপরে অনৈতিক কর্মকান্ড চলছে তা সকলের বোধগম্য নয়।
সাইফুল, রাজু, শামীমের মতো এক শ্রেণীর অর্থলোভী দালাল নারীদেরকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ফিল্মি স্টাইলে ব্ল্যাকমেলই করে দেহ ব্যবসা করাতে বাধ্য করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তাদের টার্গেট বৃত্তবান প্রভাবশালী সন্তানরা। অল্প বয়সী নারী দিয়ে ফাঁদ পেতে মওকা হাসিল করছে ।
এধরনের অবৈধ স্পা প্রতিষ্ঠানে জড়িয়ে পড়ছে স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী,তরুন তরুণী। এই অপরাধমূলক ব্যবসা ধরে রাখতে কেউ নিজেকে পরিচয় দিচ্ছেন ডিআইজির চাচাতো ভাই, ওসির খালতো ভাই, কেউ পুলিশ কর্মকর্তা বন্ধু, সাংবাদিকের বন্ধু, এমনকি স্থানীয় নেতা প্রভাবশালীদের নাম উঠেছে। দীর্ঘ অনুসন্ধানে দেখা যায়, তাদের অপরাধের কার্যক্রম ভিন্ন রকম। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান বাহিরে তালা দিয়ে ভিতরে চলছে তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে এ যেন কানামাছি খেলা। ডিজিটাল কায়দাকে কাজে লাগিয়ে নামিদামি ব্র্যান্ডের সিসি ক্যামেরাও লাগিয়েছেন প্রতিষ্ঠানে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, গুলশান ২ এর রোড নং ৯৫, হাউজ নং-১, লেভেল-২ এ অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া নিয়ে ডায়মন্ড থাই স্পা সেন্টারে নাম দিয়ে দেহ ব্যবসা চালিয়ে আসছে। সাইফুল ও তার সঙ্গিরে মিলে ভূয়া ট্রেড লাইসেন্স ও বাড়ী ভাড়া নিয়ে স্পা সেন্টারের আড়ালে দেদারসে মাদক বিক্রি ও দেহপসারিনির পতিতা বৃত্তির যৌন ধান্ধার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
স্বনামধন্য বসবাস এলাকা এখন পতিতাপল্লীতে পরিণত হয়েছে। একটি সূত্র জানিয়েছে, রাজধানীর গুলশানে স্পা ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ব্য দিন দিন বেড়েই চলেছে।