রাজধানীর নীলক্ষেতের রোডসাইড মার্কেটের (তুলা মার্কেট) সব অবৈধ দোকান ভাঙার কাজ চালাচ্ছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। মার্কেটের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার নকশাবহির্ভূত ১৪৮টি দোকান ভাঙার নেতৃত্ব দিচ্ছেন করপোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামান।
রোববার (৬ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় মার্কেটের সামনে গিয়ে দেখা যায়, মার্কেট ভাঙার জন্য সিটি করপোরেশন থেকে একটি পে-লেডার, একটি হুইল এক্সকাভেটর, হাইড্রলিক লেডার এবং ২টি ড্রাম ট্রাক আনা হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতির নিরাপত্তায় পুলিশের ২২ জন সদস্য রয়েছেন ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে।
এছাড়াও রয়েছে একটি অ্যাম্বুলেন্স। এদিকে মার্কেটের নিচতলার বৈধ দোকানগুলো পাহারায় সেইসব দোকানের কর্মচারীরা প্রতিটি দোকানের সামনে অবস্থান করছেন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় সিটি করপোরেশনের ৫০ জন কর্মী ভেতরের অংশ ভাঙার কাজ চালাচ্ছেন।
নাসির উদ্দিন নামে সিটি করপোরেশনের এক কর্মী বলেন, আমরা সকাল ১০টা থেকে বিভিন্ন অংশ ভাঙার কাজ শুরু করেছি। ভাঙা জিনিসগুলো দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলা থেকে নামানোর পর পুরো স্থাপনা ভেঙে ফেলা হবে। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুজ্জামান বলেন, নীলক্ষেত সিটি করপোরেশনের বৈধ মার্কেট তুলা মার্কেট নামে পরিচিত। মার্কেটের ৩৫টি বৈধ দোকানের উপর অবৈধভাবে দেড় শতাধিক দোকান তৈরি করা হয়েছে বিভিন্ন সময়ে।
এটা নজরে আসার পর যারা এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মেয়রের (তাপস) নির্দেশমতো আমরা অবৈধ দোকানগুলো উচ্ছেদ করছি। তিনি আরও বলেন, এই মার্কেটের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলা তৈরিতে প্রকৌশলী কোনো নিয়ম মানা হয়নি। যার ফলে প্রকৌশলীরা মেয়রকে বিষয়টিও অভিহিত করেছেন ঝুঁকিপূর্ণ বলে। সুতরাং এটি মেয়রের অনুমতি ছাড়া নির্মাণ করা হয়েছে।