খালেদা জিয়া অসুস্থ, বয়োবৃদ্ধ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাঁর বোন, ভাই, বোনের জামাই আমার কাছে এসেছে। আবেদন করেছে। আমরা তাঁর সাজা স্থগিত করে বাড়ি থাকার সুযোগটা দিয়েছি। মানবিক কারণেই দিয়েছি। কিন্তু বেশি বাড়াবাড়ি করলে… যদি ওরা বেশি বাড়াবাড়ি করে। বিএনপি যদি বেশি বাড়াবাড়ি করলে আবার জেলে পাঠিয়ে দেব। কোনো চিন্তা করবেন না।’
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার সাত বছরের জেলের বিষয়টি উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। এই মামলা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলের বলে জানান তিনি। রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহমেদ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান ফখরুদ্দিন আহমেদ ও সেনা প্রধান মঈন ইউ আহমেদ বিএনপির প্রিয় লোক ছিল জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাদের দেওয়া মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা হয়েছিল।’
বিএনপি-জোট সরকারের আমলে নির্যাতনের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরাতো এর প্রতিশোধ নিতে যাইনি। আমরা আইনগতভাবে অপরাধীদের বিচার করেছি। আজকে তাদের কী অবস্থা? আজকে দেখি গণতন্ত্র উদ্ধার করতে হবে। যে দলের জন্ম সেনাশাসকের পকেট থেকে। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীদের দ্বারা জন্ম, তারা আবার গণতন্ত্র উদ্ধারটা কী করবে? সেটাই আমার প্রশ্ন।’
বিএনপির গণতন্ত্রের কথা শুনে কিছু লোক তাদের সঙ্গে তাল মেলাচ্ছে দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এদের জ্ঞান-বুদ্ধি কোথায় থাকে? তারা কি বাস্তবটা বুঝতে পারে না? আর নেতৃত্ব কোথায়? বিএনপি লাফালাফি করছে তাদের নেতা কই?’