ঢাকা ০৫:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
যশোর কেশবপুরে ইউনিয়ন পরিষদের তালা দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ ফিশারিজ প্রিমিয়ার লিগে চ্যাম্পিয়ন টাইগার সার্ক সংবাদ প্রকাশের পর কমিটি থেকে পদত্যাগ করলেন সেই আওয়ামীপন্থী শিক্ষক শ্রীপুরে শ্রমিক দলের আনন্দ মিছিল লাখাইয়ে আওয়ামীলীগ নেতা মোজাহিদ মিয়া গ্রেফতার গাইবান্ধায় ৫৩ তম শীতকালীন জেলা পর্যায়ের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা চুনারুঘাটে এসিল্যান্ডের উপর হামলার চেষ্টার ভিডিও ভাইরাল যৌথ বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার কতিথ সমন্বয়ক ফরহাদ  বান্দরবানের আলীকদমে কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি এসো দেশ বদলাই পৃথিবী বদলাই খুবির প্রথম উপাচার্যের নামে প্রশাসনিক ভবনের নতুন নামকরণ

বঙ্গবন্ধুর খুনিরা জেলহত্যা করেছে : সংসদে প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৯৭৫ সালে যারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেছিল তারাই জেল হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।

তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছে, যা একটি সংরক্ষিত স্থান। জাতির পিতার খুনি ছিল জিয়া ও মোশতাক এবং তারাই এই হত্যাকাণ্ড (জেল হত্যা) ঘটিয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে জাতীয় সংসদে এক অনির্ধারিত আলোচনায় এসব কথা বলেন কিনি। ৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে জাতীয় সংসদে ওই অনির্ধারিত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

বঙ্গবন্ধু হত্যার পাশাপাশি ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর জেল হত্যার সঙ্গে জিয়াউর রহমান জড়িত ছিলেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জাতীয় চার নেতাকে হত্যার মাধ্যমে বিজয়কে নস্যাৎ করার চেষ্টা হয়েছিল।

কেন্দ্রীয় কারাগারের মতো একটি সুরক্ষিত জায়গায় কীভাবে হত্যাকাণ্ড চালানো সম্ভব এমন প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালে ক্ষমতার পালাবদলের পর জিয়াউর রহমান সেনা বাহিনীতে থাকা মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তাদের হত্যা করেছেন। জাতির পিতার হত্যাকারীদের সাজা দেওয়ার বদলে পুরস্কৃত করেছেন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অত্যাচার, নির্যাতন ও হত্যা করেছেন। ৩ নভেম্বরের ঘটনায় জিয়াউর রহমান জড়িত।

জিয়া যেমন খুনিদের পুরস্কৃত করেছিলেন তেমনি এইচ এম এরশাদও একই কাজ করেছেন দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনি ফারুককে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়ে রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হওয়ার সুযোগ দিয়েছিলেন এরশাদ। অথচ ফারুক অবৈধ অস্ত্রসহ এনএসআইয়ের হাতে ধরা পড়েছিল।

তিনি বলেন, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন অনেক বড় কথা বলেন। তিনিও খুনিদের নিয়ে রাজনৈতিক দল করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২১ বছর পর সরকার গঠন করে অনেক বাধা অতিক্রম করে আওয়ামী লীগ এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার করেছে। রায় কার্যকর করেছে। কিছু খুনি এখনো বিদেশে পালিয়ে আছে। তাদের ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।

তিনি বলেন, সামরিক শাসন দিয়ে যারা ক্ষমতায় আসে তারা কখনো গণতন্ত্র দিতে পারে না। তারা মানবাধিকার কীভাবে সংরক্ষণ করবে?  আওয়ামী লীগ সরকার হত্যাকারীদের বিচার করে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে পঁচাত্তরের পর আইনের শাসন ছিল না। বিচারের বাণী নিভৃতেই কেঁদেছে। আমি নিজেও বহুবার হাইকোর্টে গিয়েছি, কথা বলেছি। বিচারের বাণী-তো এখানে নিভৃতে কাঁদে। আমার বাবা, মা, ভাইয়ের হত্যার বিচার পাব না। এই দেশে এমন আইন ছিল। ক্ষমতায় আসায় এ হত্যার বিচার সম্ভব হয়েছে।

বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে জাতিকে অভিশাপ মুক্ত না করলে দেশের অর্থনীতির উন্নতি করা সম্ভব হতো না উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, বাংলাদেশকে অভিশাপ মুক্ত করতে পেরেছি। আবার যেন বাংলাদেশ কোন দৈবদুর্বিপাকে না পড়ে সেটাই চাই।

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমু, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মতিয়া চৌধুরী, তানভীর শাকিল জয় (শহীদ জাতীয় নেতা মনসুর আলীর নাতি) ও নাহিদ এজাহার খান এবং জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ ও মশিউর রহমান রাঙ্গা আলোচনায় অংশ নেন।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

যশোর কেশবপুরে ইউনিয়ন পরিষদের তালা দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ

বঙ্গবন্ধুর খুনিরা জেলহত্যা করেছে : সংসদে প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় ১১:১২:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৪ নভেম্বর ২০২২

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৯৭৫ সালে যারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেছিল তারাই জেল হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।

তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছে, যা একটি সংরক্ষিত স্থান। জাতির পিতার খুনি ছিল জিয়া ও মোশতাক এবং তারাই এই হত্যাকাণ্ড (জেল হত্যা) ঘটিয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে জাতীয় সংসদে এক অনির্ধারিত আলোচনায় এসব কথা বলেন কিনি। ৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে জাতীয় সংসদে ওই অনির্ধারিত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

বঙ্গবন্ধু হত্যার পাশাপাশি ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর জেল হত্যার সঙ্গে জিয়াউর রহমান জড়িত ছিলেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জাতীয় চার নেতাকে হত্যার মাধ্যমে বিজয়কে নস্যাৎ করার চেষ্টা হয়েছিল।

কেন্দ্রীয় কারাগারের মতো একটি সুরক্ষিত জায়গায় কীভাবে হত্যাকাণ্ড চালানো সম্ভব এমন প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালে ক্ষমতার পালাবদলের পর জিয়াউর রহমান সেনা বাহিনীতে থাকা মুক্তিযোদ্ধা কর্মকর্তাদের হত্যা করেছেন। জাতির পিতার হত্যাকারীদের সাজা দেওয়ার বদলে পুরস্কৃত করেছেন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অত্যাচার, নির্যাতন ও হত্যা করেছেন। ৩ নভেম্বরের ঘটনায় জিয়াউর রহমান জড়িত।

জিয়া যেমন খুনিদের পুরস্কৃত করেছিলেন তেমনি এইচ এম এরশাদও একই কাজ করেছেন দাবি করে শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনি ফারুককে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়ে রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হওয়ার সুযোগ দিয়েছিলেন এরশাদ। অথচ ফারুক অবৈধ অস্ত্রসহ এনএসআইয়ের হাতে ধরা পড়েছিল।

তিনি বলেন, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন অনেক বড় কথা বলেন। তিনিও খুনিদের নিয়ে রাজনৈতিক দল করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২১ বছর পর সরকার গঠন করে অনেক বাধা অতিক্রম করে আওয়ামী লীগ এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার করেছে। রায় কার্যকর করেছে। কিছু খুনি এখনো বিদেশে পালিয়ে আছে। তাদের ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।

তিনি বলেন, সামরিক শাসন দিয়ে যারা ক্ষমতায় আসে তারা কখনো গণতন্ত্র দিতে পারে না। তারা মানবাধিকার কীভাবে সংরক্ষণ করবে?  আওয়ামী লীগ সরকার হত্যাকারীদের বিচার করে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে পঁচাত্তরের পর আইনের শাসন ছিল না। বিচারের বাণী নিভৃতেই কেঁদেছে। আমি নিজেও বহুবার হাইকোর্টে গিয়েছি, কথা বলেছি। বিচারের বাণী-তো এখানে নিভৃতে কাঁদে। আমার বাবা, মা, ভাইয়ের হত্যার বিচার পাব না। এই দেশে এমন আইন ছিল। ক্ষমতায় আসায় এ হত্যার বিচার সম্ভব হয়েছে।

বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে জাতিকে অভিশাপ মুক্ত না করলে দেশের অর্থনীতির উন্নতি করা সম্ভব হতো না উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, বাংলাদেশকে অভিশাপ মুক্ত করতে পেরেছি। আবার যেন বাংলাদেশ কোন দৈবদুর্বিপাকে না পড়ে সেটাই চাই।

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমু, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মতিয়া চৌধুরী, তানভীর শাকিল জয় (শহীদ জাতীয় নেতা মনসুর আলীর নাতি) ও নাহিদ এজাহার খান এবং জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ ও মশিউর রহমান রাঙ্গা আলোচনায় অংশ নেন।