ঢাকা ০৬:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে শ্রীমঙ্গলে বিক্ষোভ মিছিল শ্রীমঙ্গলে বিএনপির উদ্যোগে ইফতার মাহফিল ইসলামী আন্দোলন কাচিয়া ইউনিয়ন শাখার ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত মাগুরায় বিচার চাওয়ায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে প্রবাসী পরিবার ঢাকাস্থ্য মুন্সিরহাট ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত পাংশায় বর্ষিয়ান কবি ও প্রাবন্ধিক আবদুল মান্নানের ৪র্থ মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত যশোর লেবুতলা ইউনিয়নে জামায়াতের ইফতার মাহফিল নোয়াখালী বেগমগঞ্জের কাদিরপুরে বিএনপির ইফতার মাহফিল শ্রীপুর গোসিংগা বিএনপির ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত শরীয়তপুরের জাজিরা দুর্ঘটনায় যুবক নিহত

পরকীয়া-ছিনতাই-ঘুষের শাস্তি পেলেন ৪ পুলিশ কর্মকর্তা

পরকীয়ায় জড়ানো, মানুষকে তুলে নিয়ে ছিনতাই, ঘুষ নেওয়াসহ নানা অনিয়মের শাস্তি পেয়েছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন ৪ কর্মকর্তা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পৃথক ৪টি প্রজ্ঞাপনে তাদের শাস্তি দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার পুলিশ সদরদপ্তর সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে। শাস্তির প্রজ্ঞাপনগুলোতে স্বাক্ষর করেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন। শাস্তি পাওয়া পুলিশ কর্মকর্তারা হলেন, চট্টগ্রাম রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন, ডিএমপির উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. সালাউদ্দিন শিকদার, গাজীপুরের ডিসি মো. মিজানুর রহমান ও পুলিশ সুপার (এসপি) কাজী মো. ফজলুল করিম।

প্রজ্ঞাপন থেকে জানা গেছে, মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে তার অধীনস্থ এসআই মো. সাফায়েত হোসেনের স্ত্রীসহ বিভিন্ন নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়া, রাতে মদ্যপান করে বাসায় ফেরা, অভিযোগকারীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা ও যৌতুক দাবি করার ৪টি বিভাগীয় মামলা হয়। মামলার তদন্তে অভিযোগগুলো সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়। তাই মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেনকে ‘তিরস্কার’ দণ্ড প্রদান করা হয়।

জুয়াড়িদের কাছ থেকে প্রায় ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ডিএমপির ডিসি মো. মিজানুর রহমানের (তৎকালীন দিনাজপুরে কর্মরত)  বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তার ‘বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি স্থগিতকরণ’ এর দণ্ড প্রদান করা হয়। একই সঙ্গে তার স্থগিতকৃত বেতন বৃদ্ধি ভবিষ্যতে বেতন থেকে সমন্বয় করা হবে না বলেও জানায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

পুলিশ সুপার কাজী মো. ফজলুল করিম ২০০৮ সালে মহাখালী টার্মিনাল ফাঁড়ির সামনের মোড় থেকে রিপন নামে একজনকে ধরে গাড়িতে তুলে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে চোখ বেঁধে ফেলেন এবং তার কাছে থাকা ৮৬ হাজার সৌদি রিয়াল, মোবাইল ফোন ও পাসপোর্ট ছিনিয়ে নেন বলে অভিযোগ ওঠে। অভিযোগে তার লিখিত জবাব, ব্যক্তিগত শুনানিতে উভয়পক্ষের বক্তব্য, প্রাসঙ্গিক দলিলপত্রাদি এবং অপরাধের প্রকৃতি ও মাত্রা বিবেচনায় সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৩(খ) বিধি অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’ এর অভিযোগ প্রমাণিত হয়। তাই তাকে ‘তিরস্কার’ দণ্ড দেওয়া হয়েছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে শ্রীমঙ্গলে বিক্ষোভ মিছিল

পরকীয়া-ছিনতাই-ঘুষের শাস্তি পেলেন ৪ পুলিশ কর্মকর্তা

আপডেট সময় ০৯:৩৩:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ নভেম্বর ২০২২

পরকীয়ায় জড়ানো, মানুষকে তুলে নিয়ে ছিনতাই, ঘুষ নেওয়াসহ নানা অনিয়মের শাস্তি পেয়েছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন ৪ কর্মকর্তা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পৃথক ৪টি প্রজ্ঞাপনে তাদের শাস্তি দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার পুলিশ সদরদপ্তর সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে। শাস্তির প্রজ্ঞাপনগুলোতে স্বাক্ষর করেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন। শাস্তি পাওয়া পুলিশ কর্মকর্তারা হলেন, চট্টগ্রাম রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন, ডিএমপির উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. সালাউদ্দিন শিকদার, গাজীপুরের ডিসি মো. মিজানুর রহমান ও পুলিশ সুপার (এসপি) কাজী মো. ফজলুল করিম।

প্রজ্ঞাপন থেকে জানা গেছে, মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে তার অধীনস্থ এসআই মো. সাফায়েত হোসেনের স্ত্রীসহ বিভিন্ন নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়া, রাতে মদ্যপান করে বাসায় ফেরা, অভিযোগকারীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা ও যৌতুক দাবি করার ৪টি বিভাগীয় মামলা হয়। মামলার তদন্তে অভিযোগগুলো সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়। তাই মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেনকে ‘তিরস্কার’ দণ্ড প্রদান করা হয়।

জুয়াড়িদের কাছ থেকে প্রায় ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ডিএমপির ডিসি মো. মিজানুর রহমানের (তৎকালীন দিনাজপুরে কর্মরত)  বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তার ‘বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি স্থগিতকরণ’ এর দণ্ড প্রদান করা হয়। একই সঙ্গে তার স্থগিতকৃত বেতন বৃদ্ধি ভবিষ্যতে বেতন থেকে সমন্বয় করা হবে না বলেও জানায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

পুলিশ সুপার কাজী মো. ফজলুল করিম ২০০৮ সালে মহাখালী টার্মিনাল ফাঁড়ির সামনের মোড় থেকে রিপন নামে একজনকে ধরে গাড়িতে তুলে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে চোখ বেঁধে ফেলেন এবং তার কাছে থাকা ৮৬ হাজার সৌদি রিয়াল, মোবাইল ফোন ও পাসপোর্ট ছিনিয়ে নেন বলে অভিযোগ ওঠে। অভিযোগে তার লিখিত জবাব, ব্যক্তিগত শুনানিতে উভয়পক্ষের বক্তব্য, প্রাসঙ্গিক দলিলপত্রাদি এবং অপরাধের প্রকৃতি ও মাত্রা বিবেচনায় সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৩(খ) বিধি অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’ এর অভিযোগ প্রমাণিত হয়। তাই তাকে ‘তিরস্কার’ দণ্ড দেওয়া হয়েছে।