বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলার রায় দিয়েছেন আদালত। তারেক রহমানকে ৯ বছর ও তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২ আগস্ট) বিকেলে ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আছাদুজ্জামান এ রায় দেন। এর আগে. বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান এ রায় পড়া শুরু করেন।
এর আগে চলতি জুলাই মাসের ২৭ তারিখে এ মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য ছিল। দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। এরপর রায়ের জন্য আদালত এ দিন ধার্য করেন।
গেল২০২২ সালের ১ নভেম্বর পলাতক তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। এ বছরের ৫ জানুয়ারি আদালত গ্রেফতার পরোয়ানার তামিল প্রতিবেদন গ্রহণ করেন।
এরপর তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেন আদালত। এরপর গত ১৩ এপ্রিল আদালত তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। গত ২১ মে আদালতে মামলার বাদী দুদকের উপপরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল হুদা সাক্ষ্য দেন।
চলতি মাসের ২৪ তারিখে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক তৌফিকুল ইসলাম শেষ সাক্ষী হিসেবে আদালতে সাক্ষ্য দেন। এ নিয়ে মামলাটিতে ৫৬ সাক্ষীর মধ্যে ৪২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়। এরপর আদালত যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য ২৭ জুলাই দিন ধার্য করেন।