উদ্বোধনের অপেক্ষায় প্রহর গুনছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার দৃষ্টিনন্দন মডেল মসজিদ। ইতোমধ্যে মসজিদটি নির্মাণের সব ধরণের কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের যেকোনও তারিখে মসজিদটি উদ্বোধন করা হবে বলে জানা গেছে। এই মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১২ কোটি টাকা।
মসজিদটি ঘুরে দেখা যায়, তেঁতুলিয়া সরকারি কাম অডিটোরিয়াম সংলগ্ন স্থানে নির্মিত হয়েছে এ নয়নাভিরাম মসজিদটি। নির্মাণশৈলীতে মুগ্ধ হবেন যে কেউ। নিরাপত্তার জন্য তৈরি করা হয়েছে সিকিউরিটি গার্ড রুম। রয়েছে গাড়ি পার্কিং জোন। পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের জন্যও আছে নামাজ আদায়ের আলাদা ব্যবস্থা।
এছাড়াও আছে শিশুশিক্ষা, লাইব্রেরী, রিসার্চ সেন্টার, ইসলামিক বই বিক্রয় কেন্দ্র, প্রতিবন্ধীদের কক্ষ, অতিথিশালা, বিদেশি পর্যটকদের আবাসন, হলরুম, লাশ গোসলের ব্যবস্থা, ইমামদের প্রশিক্ষণ, গণশিক্ষা কেন্দ্র, ইসলামী সংস্কৃতি কেন্দ্র ও সুদৃশ্য সাড়ে ৯ তলাবিশিষ্ট মিনার।
জানা গেছে, গণপূর্ত অধিদপ্তরের মাধ্যমে নির্মাণাধীন মডেল মসজিদের ভৌত অবকাঠামো বাস্তবায়িত হচ্ছে। বাস্তবায়নকারী সংস্থা ইসলামিক ফাউন্ডেশন। দৃষ্টিনন্দন মসজিদটি নির্মাণ করছেন নর্দান টেকনো ট্রেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
২০১৯ সালের জুনের দিকে কাজ শুরু হয়। ৪২ শতক জমির উপর ১১ কোটি ৯২ লাখ ৭২ হাজার ৩১৮ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে মডেল মসজিদটি। তিনতলা এ মসজিদটির নিচতলা ১৭ হাজার বর্গফুট, ১ম তলা ৯ হাজার ৮শ বর্গফুট ও দ্বিতীয় তলা ৯ হাজার ৮শ বর্গফুট।
মডেল মসজিদ নির্মাণ হওয়ায় খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা। জুলহাস উদ্দিন, তফিজুল ইসলাম, তমিরুল ইসলাম, আব্দুর রশিদসহ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা জানায়, এ উপজেলায় এটিই প্রথম আধুনিক সুযোগ সুবিধা সমৃদ্ধ দৃষ্টিনন্দন মসজিদ। দেখে মন জুড়িয়ে যায়। প্রতিদিন দেখতে আসি। কয়েক বছর ধরেই নির্মাণ কাজ চলে আসছে। এখন কাজ শেষ দেখতে পাচ্ছি। খুব আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছি কবে এ মসজিদে নামাজ পড়তে পারবো। এ মসজিদটি পর্যটন শিল্পেও অনেক গুরুত্ব বহন করবে বলে মনে করছেন উপজেলার নাগরিকরা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহাগ চন্দ্র সাহা জানান, দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মডেল মসজিদ নির্মাণ করছেন। এ উপজেলাতেও দৃষ্টিনন্দন মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। মসজিদে রয়েছে ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। কাজ প্রায় শেষ। এখন শুধু উদ্বোধনের অপেক্ষা। আগামী ডিসেম্বরের যেকোন সময়ে এ মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করা হবে।
জেলা গৃহায়ণ ও গণপূর্ত কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকোশলী মো. মনিরুজ্জামান জানান, সরকার গৃহায়ন ও গণপূর্ত-এর অধীনে মডেল মসজিদটি নির্মাণ করছে নর্দান টেকনো ট্রেড প্রতিষ্ঠান। মডেল মসজিদের কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। নভেম্বরের মধ্যে সব কাজ বুঝিয়ে দেয়ার কথা রয়েছে। আশা করছি আগামী ডিসেম্বরের যেকোন তারিখে উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দৃষ্টিনন্দন মডেল মসজিদটি মুসল্লিদের নামাজের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।