কর্মীদের বৈধকরণসহ তাদের সচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বাহরাইনের লেবার মার্কেট রেগুলেটরি অথোরিটিকে (এলএমআরএ) অনুরোধ করেছে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম। পাশাপাশি ছুটিকালীন কর্মীদের ভিসা বাতিল বন্ধের বিষয়টি নিয়েও সংস্থাটির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
সোমবার (৩ অক্টোবর) দিবাগত রাতে মানামার বাংলাদেশ দূতাবাস এক বার্তায় এসব তথ্য জানায়। দূতাবাস জানায়, গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রদূত ড. মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম এলএমআরএ’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নূফ আব্দুর রহমান জামশীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতকালে তিনি বাংলাদেশ ও বাহরাইনের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও দেশটিতে অবস্থানরত বাংলাদেশি কর্মীদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
রাষ্ট্রদূত কোভিডকালীন সময়ে আটকে পড়া ১৬১ প্রবাসীকে ফিরিয়ে আনার সুযোগ করে দেওয়ায় বাহরাইন সরকারকে ধন্যবাদ জানান। এরপর তিনি এলএমআরএ-এর সিইওকে বাংলাদেশি কর্মীদের কল্যাণ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে যেমন- নতুন কর্মী আনয়ন, ফ্লেক্সি ভিসার ফি কমানো, কর্মীরা বাংলাদেশে ছুটিতে থাকা অবস্থায় ভিসা বাতিল না করা, ফ্লেক্সি ভিসার কর্মীদের বিমার আওতায় আনা, বিভিন্ন পেশাজীবীদের পরিবারকে বাহরাইনে নিয়ে আসার সুযোগ দেওয়া, ভিসা পরিবর্তন সহজীকরণ এবং ফ্লেক্সি ভিসা কর্মীর ট্রাভেল টিকেট ইনস্যুরেন্সের টাকা সহজে ফেরত পাওয়ার জন্য আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন।
রাষ্ট্রদূতের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সিইও নূফ বাহরাইনে বাংলাদেশিদের অবদানের কথা উল্লেখ করেন। এছাড়া রাষ্ট্রদূতের উপস্থাপিত বিষয়গুলোতে সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন। রাষ্ট্রদূতকে সিইও জানান, বাহরাইন সরকার সাম্প্রতিককালে অবৈধ কর্মীদের বিরুদ্ধে কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের অভিযান বৃদ্ধি করা হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, অধিকার খর্ব হয় এমন কোনো বিষয়ে অভিযোগ থাকলে কর্মীরা যেন সরাসরি এলএমআরএ-তে জানায়। যাতে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারে। ছুটিকালীন কর্মীদের ভিসা বাতিল বন্ধের বিষয়টির ওপর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সিইও জানান, কর্মীরা ছুটিতে থাকা অবস্থাতেও যেন তাদের মোবাইল চালু থাকে। সঠিক মোবাইল নম্বর যেন এলএমআরএ কর্তৃপক্ষের কাছে থাকে। অন্যায়ভাবে ভিসা বাতিলের বিষয়টি মোবাইলে নোটিফিকেশন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অবহিত করলে, তারা এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
এ সময় রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দূতাবাসের কাউন্সিলর ও দূতালয় প্রধান এ কে এম মহিউদ্দিন কায়েস এবং দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) মো. মাহফুজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।