শীতের সবজি মানেই ফুলকপি। সুস্বাদু এই সবজি দিয়ে তৈরি করা যায় হরেক পদের খাবার। শুধু কি সুস্বাদু? এই সবজি পুষ্টিগুণেও ভরপুর। এদিকে রান্না করার সময় ফুলকপির ডাঁটা ফেলে দেই আমরা প্রায় সবাই। কিন্তু সবজির এই অংশও ভীষণ উপকারী। ফুলকপির ডাঁটায় থাকে আয়রন ও ক্যালসিয়াম। ফলে এটি আমাদের হজশক্তি উন্নত করার পাশাপাশি হাড় ও দাঁত মজবুত করে। এছাড়া আছে আরও অনেক গুণ। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
প্রোটিনে ভরপুর
পুষ্টিকর ফুলকপির ডাঁটারও রয়েছে অনেক উপকারিতা। এতে থাকে প্রচুর প্রোটিন এবং খনিজ। এই দুই উপাদান শিশুর বৃদ্ধি এবং বিকাশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রোটিন এবং খনিজ শিশুর উচ্চতা, ওজন এবং হিমোগ্লোবিনের বিকাশে সাহায্য করে। তাই রান্নার সময় ফুলকপির ডাঁটা ও পাতা ফেলে দেবেন না। এগুলো রান্নায় যোগ করুন অথবা আলাদা পদ রান্না করে ফেলুন।
ওজন কমাতে চাইলে
ফুলকপির ডাঁটা সবজির সঙ্গে মিশিয়ে রান্না করে নিতে পারেন। চাইলে এর পাতাগুলো সালাদের সঙ্গে মিশিয়েও খেতে পারেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর ডাঁটা ও পাতা ফাইবার সমৃদ্ধ। তাই যারা ওজন কমাতে চান, তারা প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় রাখতে পারেন ফুলকপির ডাঁটা ও পাতা। সালাদ, স্টু, স্যুপ বা স্ন্যাকস হিসেবেও খেতে পারেন।
ভিটামিন এ সমৃদ্ধ
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, ফুলকপির ডাঁটা ও পাতায় থাকে প্রচুর ভিটামিন এ। সিরাম রেটিনলের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে এই উপাদান। ফলে ভালো থাকে চোখের স্বাস্থ্য। রাতকানা রোগ প্রতিরোধে ফুলকপির ডাঁটা ভীষণ কার্যকরী।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর
ফুলকপির ডাঁটায় থাকে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যার মধ্যে ফ্রি র্যাডিক্যাল রয়েছে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। সেইসঙ্গে রক্ষা করে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকেও। ফলে কমে আসে দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি। ফেলে দেওয়া একটি উপাদানের এত গুণ তা কি আগে জানতেন?
ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ
ফুলকপির ডাঁটা এবং পাতায় থাকে প্রচুর ক্যালসিয়াম। এটি বিশেষ করে নারীর জন্য বেশি উপকারী। মেনোপজ পরবর্তী নারীদের জটিলতা কমাতে সাহায্য করে ফুলকপির এই অংশ, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।