শীতের সময়ে শিশু ও বয়স্কদের ফুসফুসের সমস্যা বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা থাকে। এর সঙ্গে যাদের ধূমপানের মতো বদঅভ্যাস বা সিওপিডির মতো রোগ থাকে, তাদের জন্য পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করে।
সংক্রমণ থেকে বাঁচতে এ মৌসুমে তাই চিকিৎসকরা অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এ ছাড়াও এমন কিছু খাবার আছে, যা ফুসফুসের সংক্রমণ রোধে সহায়ক হতে পারে। ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর গোলমরিচ, ফুসফুসের প্রদাহ রোধ করতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও, আবহাওয়ার পরিবর্তনের ফলে যে সংক্রমণজনিত সমস্যা হয়, তার সঙ্গে মোকাবিলা করতেও সাহায্য করে।
শরীরে যেকোনো রকম সংক্রমণ কমাতে হলুদ কার্যকর। হলুদের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান ফুসফুসের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঠান্ডা লাগলে আদা-চা খেলে উপকার পাওয়া যায়। আদাকে বলা হয় ফুসফুসের সুরক্ষা কবচ। শুধু ঠান্ডা লাগা নয়, শ্বাসযন্ত্রের যেকোনো সমস্যাতেই আদা প্রাকৃতিক ‘অ্যান্টিবায়োটিক’ হিসাবে কাজ করে।
রসুনের অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান ফুসফুসের সংক্রমণ রোধ করতে সাহায্য করে। ওমেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসিডে ভরপুর আখরোট, শুধু মস্তিষ্কের নয়, ফুসফুসের সংক্রমণও রোধ করতে পারে। পাহাড়ি এই বাদামের প্রদাহ রোধকারী ক্ষমতার গুণেই ফুসফুসে সংক্রমণ ছড়াতে পারে না। ফাইবারে সমৃদ্ধ এই দানাশস্যটি ফুসফুসের জন্য বিশেষভাবে উপকারী। ফুসফুসের সংক্রমণ কমাতেও বার্লির ভূমিকা রয়েছে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য : এ লেখাতে ফুসফুসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে কেবল প্রাথমিক ধারণা দেওয়া হয়েছে। যে কোনো প্রয়োজনে, এ বিষয়ে আরও জানতে ও চিকিৎসার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।