শীতের আগমনে জমে উঠেছে সাপ্তাহিক হাঁস, মুরগি ও কবুতরের কেনাবেচা। কুয়েতের সুয়েখরে সুখ জুমা হচ্ছে অন্যতম প্রাচীন সাপ্তাহিক হাঁস, মুরগি ও কবুতরের হাট। প্রতি সপ্তাহের বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার বসে এ হাট। যেখানে বেশিরভাগ প্রবাসী বাংলাদেশিরা এ হাটে কেনাবেচা করে থাকেন।
স্থানীয় কুয়েতি নাগরিকরা শখের বশে অথবা বাণিজ্যিকভাবে সিরিয়া, তুর্কি, ইরান, মিশর, থাইল্যান্ডসহ দেশের বিভিন্ন প্রজাতির হাঁস, মুরগি ও কবুতর এখানে নিয়ে আসে। যা অফরা আবদালি ও জাহারাতে খামার করে পালন করা হয়। ওইসব খামারের পরিচ্ছন্নতা দেখাশোনা করে থাকেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
এছাড়াও কুয়েতের মরু অঞ্চল অফরা আবদালি ও জাহারা অঞ্চলসহ বিভিন্ন খামারীরা এ হাটে হাঁস, মুরগি, কবুতরসহ বিভিন্ন ধরনের পাখি বিক্রি করতে নিয়ে আসে। যা ক্রয় করে বাসা-বাড়িতে পালন করতে নিয়ে যায় স্থানীয় নাগরিক, প্রবাসী বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের প্রবাসীরা। এসব গৃহপালিত হাঁস, মুরগি, পশু-পাখি পালনের জন্য সেখানে অর্ধশতাধিক স্থায়ী খাঁচার দোকান রয়েছে। স্থানীয় কুয়েতিরা দোকানের মালিক হলেও সেগুলো পরিচালনা করেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। যার ফলে এ আয়ের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ দেশের রেমিট্যান্স খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
এদিকে সালুয়া এলাকা থেকে রাঁজহাস কিনতে আসা জাহিদ জনি বলেন, প্রবাসে মাছ আর মুরগির মাংসই বেশি খাই। মাঝে মধ্যে গরু-দুম্বার মাংসও খাই। যখন বাংলাদেশে থাকতাম তখন নিয়মিত দেশি হাঁস-মুরগির মাংস খেতাম কিন্তু এখানে কাজের ব্যস্ততা ও দামের কারণে তেমন খাওয়া হয় না। তবে ছুটি পেলে বন্ধুরা মিলে এখানে এসে আড্ডা দেওয়ার পাশাপাশি হাঁসের মাংস খাই।
পাখি ও খাদ্য বিক্রেতা প্রবাসী সাব্বির আহমদ বলেন, কুয়েতে মধ্যে এটি সব থেকে পুরাতন হাঁস-মুরগি ও পশুপাখির খাদ্যের মার্কেট। এখানে ৫০টিরও বেশি দোকান রয়েছে।
সাইফুল ইসলাম বলেন, এখানে আমাদের একযুগের বেশি সময় ধরে হাঁস, মুরগি, কবুতরসহ বিভিন্ন পাখির খাদ্যের দোকান। শীতের মৌসুমে ব্যবসায় ভালোই চলে। এখানে রাঁজহাঁস ৭ দিনার থেকে ১০ দিনার, দেশি হাঁস ৪ দিনার, ময়ূর পংখী, সিরাজ কবুতর এবং বিভিন্ন প্রজাতির কবুতর জোড়া ৫ দিনার থেকে ১০ দিনার পর্যন্ত বিক্রি করা হয়। এছাড়াও বিভিন্ন দেশ থেকে আনা বিভিন্ন রংয়ের ও প্রজাতির পাখি বিক্রি করা হয়।