ঢাকা ০১:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ২৬ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
চাঁপাইনবাবগঞ্জে  র‌্যাবের পৃথক অভিযানে আটক ২ গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে মিরপুর কলেজের বিক্ষোভ মিছিল শিক্ষক সংকট নিরসনে ঢাকা আলিয়ার শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ তারেক রহমানের নির্দেশনায় ছাত্রদলের এস এস সি পরীক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ ফরিদপুর বাখুন্ডায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬ লংগদুতে দিনব্যাপী গুড এগ্রিকালচার প্র্যাকটিস প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত নুরুল্লাহচরের ইলিয়াসের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছেন মোহনগঞ্জে সর্বস্তরের আলেম সমাজ গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির বিক্ষোভ মিছিল ধামরাইয়ে গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বেরোবি ক্যাম্পাসে হামলার ঘটনায় যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

দেশীয় মাছের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পুকুর খনন,দেশীয় মাছের প্রজনন ক্ষতিগ্রস্ত

‎‎প্রাচীন কাল থেকে দেশীয় মাছের নিরাপদ আশ্রয়স্থল ছিলো, হরিপুর উপজেলার ৪ নং ডাঙ্গীপাড়া ইউনিয়নের ডাঙ্গীপাড়া বিল। দাগ নং ১৪০৮, পরিমান ৬,৬২ শতক ও দাগ নং ১০২৪ পরিমাণ- ১৬.০৫ শতক।
‎ এরশাদ সরকারের আমলে ১০২৪ দাগে পুকুর খনন করে, মাছ চাষের উপযোগী করে। পরবর্তীতে গ্রামীণ ব্যাংককে দশ বছরের জন্য লিজ প্রদান করে।লিজ থাকাকালীন সময়ে পরবর্তী রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে, তৎকালীন ক্ষমতাশীল দলের প্রভাবশালী নেতা পৈতৃক সম্পত্তি দাবি করে জলাশয়টি করে দখলে নেয়।অপর দাগ নং ১৪০৮ এ এরশাদ সরকারের আমলে একটি কুচক্রী মহল জমি আকার পরিবর্তন করে,ভূয়া কবুলিয়ত দেখিয়ে ডাঙ্গীপাড়া বিল দখলে নেয়। অতীতে বিলে অসংখ্য জলজ উদ্ভিদ, নানান প্রজাতির পাখি বাস করত, যেমন,বালি হাঁস, ডাহুক, শাড়লি,শামখোল,ফুলোহর,মদনটাক, বক,কাক,পানকৌড়ি, পেচা,কাগ ইত্যাদি । এই জীববৈচিত্র্য আজ বিলুপ্তির পথে।এখনো ১০২৪ দাগে ১৬.৫ একর জলাশয়ে হাজার হাজার বালিহাঁস, বক,সহ নানান প্রজাতির পাখির বাস, উক্ত জলাশয়ে দিনের বেলায় পাখির কলতানে মুখরিত থাকে। অপর ১৪০৮ দাগের জমির আকার পরিবর্তন করে ব্যক্তিগত পুকুর করায় দেশীয় মাছের প্রজনন স্থান ধ্বংস হয়ে গেছে। এমতাবস্থায় এলাকাবাসীর দাবি জানিয়েছেন, বাপ-দাদার আমলে থেকে দেখে আসার বিলের প্রাকৃতিক জীব-বৈচিত্র্য ধ্বংসের পথে। যদি প্রাকৃতিক-বৈচিত্র্য ধ্বংস হয়ে যায়,এই বিলের দেশীয় মাছ ও নানান প্রজাতির পাখি যদি হারিয়ে যায়। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য রক্ষা করতে হবে । এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে কিভাবে এই বিশাল প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য ধরে রাখা যায়। এই ডাঙ্গীপাড়া বিলকে দ্রুত নানান প্রজাতির মাছ ও পাখির আবাসস্থলকে অভায়শ্রম করার একান্ত প্রয়োজন । পক্ষান্তরে যে সব ব্যক্তি সরকারের সম্পত্তির ভূয়া কবুলিয়ত দেখিয়ে আকার পরিবর্তন করে ব্যক্তিগত পুকুর খনন করে দেশীয় মাছ চাষের স্থান ধ্বংস করেছে। সরকারি সম্পত্তির কবুলিয়ত নীতিমালা স্পষ্ট লংঘন, খাল,বিল, নালা, সরকারি সম্পত্তির দূর্নীতি করে কবুলিয়ত নিয়েছেন।
‎এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে হরিপুর-কালিগঞ্জ ব্রীজের নীচে ও আশপাশের মাছের আশ্রয়স্থলসহ হরিপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানের মাছের অভয়াশ্রম। আরও দেখা যাচ্ছে যে মাছের অভয়াশ্রমের সম্পূর্ণ পানি সেচের মাধ্যমেও ধ্বংস করছেন পরবর্তী প্রজন্মের।
‎ এলাকাবাসির জানান যেহেতু খাল, বিল, নদী-নোনা,কবুলিয়ত দেওয়ার বিধান নেই। সেহেতু কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি ভূয়া কবুলিয়ত বাতিল করে পাখির অভায়শ্রম ও দেশীয় মাছের নিরাপদ আশ্রয় স্থল করা হোক। ইতিমধ্যে এলাকায় অভয়াশ্রম করণের জোরালো ভাবে দাবি উঠেছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁপাইনবাবগঞ্জে  র‌্যাবের পৃথক অভিযানে আটক ২

দেশীয় মাছের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পুকুর খনন,দেশীয় মাছের প্রজনন ক্ষতিগ্রস্ত

আপডেট সময় ০৯:০৬:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৪ এপ্রিল ২০২৫

‎‎প্রাচীন কাল থেকে দেশীয় মাছের নিরাপদ আশ্রয়স্থল ছিলো, হরিপুর উপজেলার ৪ নং ডাঙ্গীপাড়া ইউনিয়নের ডাঙ্গীপাড়া বিল। দাগ নং ১৪০৮, পরিমান ৬,৬২ শতক ও দাগ নং ১০২৪ পরিমাণ- ১৬.০৫ শতক।
‎ এরশাদ সরকারের আমলে ১০২৪ দাগে পুকুর খনন করে, মাছ চাষের উপযোগী করে। পরবর্তীতে গ্রামীণ ব্যাংককে দশ বছরের জন্য লিজ প্রদান করে।লিজ থাকাকালীন সময়ে পরবর্তী রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে, তৎকালীন ক্ষমতাশীল দলের প্রভাবশালী নেতা পৈতৃক সম্পত্তি দাবি করে জলাশয়টি করে দখলে নেয়।অপর দাগ নং ১৪০৮ এ এরশাদ সরকারের আমলে একটি কুচক্রী মহল জমি আকার পরিবর্তন করে,ভূয়া কবুলিয়ত দেখিয়ে ডাঙ্গীপাড়া বিল দখলে নেয়। অতীতে বিলে অসংখ্য জলজ উদ্ভিদ, নানান প্রজাতির পাখি বাস করত, যেমন,বালি হাঁস, ডাহুক, শাড়লি,শামখোল,ফুলোহর,মদনটাক, বক,কাক,পানকৌড়ি, পেচা,কাগ ইত্যাদি । এই জীববৈচিত্র্য আজ বিলুপ্তির পথে।এখনো ১০২৪ দাগে ১৬.৫ একর জলাশয়ে হাজার হাজার বালিহাঁস, বক,সহ নানান প্রজাতির পাখির বাস, উক্ত জলাশয়ে দিনের বেলায় পাখির কলতানে মুখরিত থাকে। অপর ১৪০৮ দাগের জমির আকার পরিবর্তন করে ব্যক্তিগত পুকুর করায় দেশীয় মাছের প্রজনন স্থান ধ্বংস হয়ে গেছে। এমতাবস্থায় এলাকাবাসীর দাবি জানিয়েছেন, বাপ-দাদার আমলে থেকে দেখে আসার বিলের প্রাকৃতিক জীব-বৈচিত্র্য ধ্বংসের পথে। যদি প্রাকৃতিক-বৈচিত্র্য ধ্বংস হয়ে যায়,এই বিলের দেশীয় মাছ ও নানান প্রজাতির পাখি যদি হারিয়ে যায়। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য রক্ষা করতে হবে । এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে কিভাবে এই বিশাল প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য ধরে রাখা যায়। এই ডাঙ্গীপাড়া বিলকে দ্রুত নানান প্রজাতির মাছ ও পাখির আবাসস্থলকে অভায়শ্রম করার একান্ত প্রয়োজন । পক্ষান্তরে যে সব ব্যক্তি সরকারের সম্পত্তির ভূয়া কবুলিয়ত দেখিয়ে আকার পরিবর্তন করে ব্যক্তিগত পুকুর খনন করে দেশীয় মাছ চাষের স্থান ধ্বংস করেছে। সরকারি সম্পত্তির কবুলিয়ত নীতিমালা স্পষ্ট লংঘন, খাল,বিল, নালা, সরকারি সম্পত্তির দূর্নীতি করে কবুলিয়ত নিয়েছেন।
‎এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে হরিপুর-কালিগঞ্জ ব্রীজের নীচে ও আশপাশের মাছের আশ্রয়স্থলসহ হরিপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানের মাছের অভয়াশ্রম। আরও দেখা যাচ্ছে যে মাছের অভয়াশ্রমের সম্পূর্ণ পানি সেচের মাধ্যমেও ধ্বংস করছেন পরবর্তী প্রজন্মের।
‎ এলাকাবাসির জানান যেহেতু খাল, বিল, নদী-নোনা,কবুলিয়ত দেওয়ার বিধান নেই। সেহেতু কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি ভূয়া কবুলিয়ত বাতিল করে পাখির অভায়শ্রম ও দেশীয় মাছের নিরাপদ আশ্রয় স্থল করা হোক। ইতিমধ্যে এলাকায় অভয়াশ্রম করণের জোরালো ভাবে দাবি উঠেছে।