রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সার্ভার ‘হ্যাকড’ হয়েছে। গত ৬ ডিসেম্বর থেকে সার্ভারটি হ্যাকড হলেও এ পর্যন্ত সার্ভারটি সচল করতে পারেনি রাজউক। এ সময়ে অনলাইনের যাবতীয় সেবা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এ কারণে সেবাগ্রহীতাদের সইতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে রাজউকের কেউ কিছু বলছেন না। কেউ কেউ বলছেন, অনেক সময় রাজউক কারসাজি করেই সার্ভার ডাউন করে রাখে। কিন্তু এবারের বিষয়টি তেমন নয়।
এ ব্যাপারে রাজউকের দায়িত্বশীল কোনো কর্মকর্তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। সংস্থাটির চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞার মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ধরেননি।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রকৌশলী দৈনিক আমাদের মাতৃভূমিকে জানান, গত ৬ ডিসেম্বর থেকে সাইটটিতে প্রবেশ করা যাচ্ছে না। প্রথম দিকে তারা মনে করেছিলেন সার্ভার ডাউন। এর আগেও অনেক সময় সার্ভার ডাউন থাকত। মাঝেমধ্যেই সার্ভার ডাউন থাকায় সেবাগ্রহীতারা বিপাকে পড়তেন। এবারও সেটাই মনে করেছিলেন। এখন মনে যাচ্ছে অবস্থা ভিন্ন।
আরেকজন প্রকৌশলী বলেন, সত্যিই যদি হাকড হয়ে থাকে তাহলে রাজউকে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। সাইটে সংযুক্ত তথ্য-উপাত্ত নষ্ট হয়ে গেলে রাজউককে চরম চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে। ওইসব তথ্য পুনরুদ্ধার করা কঠিন হয়ে যাবে।
রাজউকের একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত বেশ কিছু দিন ধরেই তারা সাইটে ঢুকতে পারছেন না। ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্র ও নকশা অনুমোদন সংক্রান্ত যত সব অনলাইন সেবা রাজউকের রয়েছে তার সব কিছুই বন্ধ রয়েছে। এ কারণে রাজউকের যাবতীয় কার্যক্রমে ধীরগতি তৈরি হয়েছে। আর ভোগান্তিতে পড়েছেন সেবা গ্রহীতারা।
জাহাঙ্গীর খান বাবু নামের একজন সেবা গ্রহীতা অভিযোগ করেন, তার ভগ্নীপতির একটি জমির ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্র নেওয়ার জন্য প্রায় প্রতিদিনই রাজউকে যাচ্ছেন। তাকে বলা হচ্ছে সার্ভার ডাউন। পরে আসেন।
আজ শনিবার রাতেও রাজউকের ওয়েবসাইটে ঢুকতে গেলে ‘ইওর কানেকশন ইজ নট প্রাইভেট। অ্যাটাকার্স মাইট বি ট্রাইং টু স্টিল ইওর ইনফরমেশন ফ্রম রাজউক.পোর্টাল.জিওভি.বিডি’ (আপনার অনলাইন সংযোগ ব্যক্তিগত নয়। আক্রমণকারীরা রাজউকের পোর্টাল থেকে তথ্য চুরির চেষ্টা করছে) লেখা আসছে।
রাজউকের অনলাইন সার্ভারের মান নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগের শেষ নেই। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তারপরও সার্ভারের উন্নয়নে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি রাজউক।