ঢাকা ০২:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
অর্থবছরের প্রথমার্ধে রপ্তানি আয় বেড়েছে ভোলায় শীতার্তদের মাঝে কোস্টগার্ডের শীতবস্ত্র বিতরণ জয়পুরহাটের পাঁচবিবি সীমান্তে মাদক সহ কারবারীকে আটক গোয়াইনঘাটের পিরিজপুর সোনারহাট রাস্তা ওয়ার্ক ওয়ার্ডার না হওয়ায় কাজ হচ্ছেনা চরম জনদূর্ভোগ: ইসহাক চৌধুরী আলিম ছিলেন একজন কর্মীবান্ধব নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী মানসিক ভারসাম্যহীন এক মহিলাকে শীত বস্ত্র প্রদান করেন রাজশাহীতে আধুনিক প্রযুক্তি চিকিৎসা সেবায় পপুলার আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসররা বিদেশি প্রভুদের সহযোগিতায় ষড়যন্ত্র করে বেড়াচ্ছে:আমিনুল হক ফেসবুক আইডি ফিরে পেলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা মনোহরগঞ্জে জাতীয় সমাজসেবা দিবসে ওয়াকাথন ও কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনে মুক্ত আড্ডা

৩৯ হাজার ৫০০ কিমি বেগে ফিরে আসছে নাসার ওরিয়ন

চাঁদের চারপাশ ঘুরে পৃথিবীতে ফিরছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ সংস্থা নাসার তৈরি মহাকাশযান ওরিয়ন। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী রবিবার ক্যালিফোর্নিয়ার অদূরে সাগরে নিয়ন্ত্রিত অবতরণ করবে যানটি।

আবার চাঁদে যাওয়ার ঐতিহাসিক প্রকল্পের প্রস্তুতি হিসেবে গত ১৬ নভেম্বর ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে যাত্রা করেছিল ওরিয়ন। এ পর্যন্ত নির্মিত সবচেয়ে শক্তিশালী রকেটে চড়ে আকাশে ওঠে যানটি।

মহড়ার অংশ হিসেবে চাঁদের খুব কাছে থেকে বেশ দূরে বিভিন্ন দূরত্বে ভ্রমণ করে নতুন ধরনের মহাকাশযান ওরিয়ন। এটি পৃথিবী থেকে চার লাখ ৩০ হাজার কিলোমিটার দূরত্বে যায়। মানুষ বহনে সক্ষম কোনো মহাকাশযানের এত বেশি দূরত্বে ভ্রমণ এটিই প্রথম। যদিও এ সফরে যানটিতে কোনো মানুষ ছিল না।

ওরিয়ন দিয়ে নাসার এবারের মিশনের নাম আর্টেমিস-১। ওরিয়ন যান এ অভিযানে এখন পর্যন্ত বেশ সফলতা দেখিয়েছে। পুরো সফল প্রত্যাবর্তন হলে ২০২৪ সালেই ওরিয়নে চড়ে পরবর্তী মিশনে যাবেন নভোচারীরা। তবে তাঁরা সে সময় চন্দ্রপৃষ্ঠে নামবেন না।

আর্টেমিস-৩-এর মাধ্যমে ৫০ বছরেরও বেশি সময় পরে আবার চন্দ্রপৃষ্ঠে মানুষের পা পড়বে। এই মিশন ২০২৫ বা ২০২৬ সালে বাস্তবায়ন হতে পারে। তবে সব কিছুই নির্ভর করছে কোনো দুর্ঘটনা ছাড়া এবার ওরিয়নের ফিরে আসার ওপর।

প্রকৌশলীরা যাচাই করে দেখতে চান, ফেরার পথে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে পুনঃ প্রবেশের সময় যানটির বাইরের কাঠামো প্রচণ্ড তাপের মধ্যে টিকে থাকতে পারে কি না। ঘণ্টায় প্রায় ৩৯ হাজার ৫০০ কিমি বেগে ফিরে আসার সময় বাতাসের সঙ্গে ঘর্ষণ ও চাপে ওরিয়নের কাঠামোর তাপ তিন হাজার ডিগ্রির কাছাকাছি উঠবে।

নাসা ও মহাকাশযানটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান লকহিড মার্টিনকে আগামীতে নভোচারীদের চড়ানোর আগে নিশ্চিত হতে হবে, ক্যাপসুলটির নিচের অংশের ঢাল ওই ভয়ানক তাপ সহ্য করার মতো উপযুক্ত কি না।

ফেরার সময় গতি কমাতে স্থাপন করা ১১টি প্যারাশুট ঠিকমতো কাজ করলে আগামী রবিবার ক্যালিফোর্নিয়ার স্থানীয় সময় সকালে ওরিয়ন পৃথিবীতে অবতরণ করবে। যানটির প্রশান্ত মহাসাগরে এসে পড়ার কথা।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

অর্থবছরের প্রথমার্ধে রপ্তানি আয় বেড়েছে

৩৯ হাজার ৫০০ কিমি বেগে ফিরে আসছে নাসার ওরিয়ন

আপডেট সময় ১০:০৮:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২২

চাঁদের চারপাশ ঘুরে পৃথিবীতে ফিরছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ সংস্থা নাসার তৈরি মহাকাশযান ওরিয়ন। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী রবিবার ক্যালিফোর্নিয়ার অদূরে সাগরে নিয়ন্ত্রিত অবতরণ করবে যানটি।

আবার চাঁদে যাওয়ার ঐতিহাসিক প্রকল্পের প্রস্তুতি হিসেবে গত ১৬ নভেম্বর ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে যাত্রা করেছিল ওরিয়ন। এ পর্যন্ত নির্মিত সবচেয়ে শক্তিশালী রকেটে চড়ে আকাশে ওঠে যানটি।

মহড়ার অংশ হিসেবে চাঁদের খুব কাছে থেকে বেশ দূরে বিভিন্ন দূরত্বে ভ্রমণ করে নতুন ধরনের মহাকাশযান ওরিয়ন। এটি পৃথিবী থেকে চার লাখ ৩০ হাজার কিলোমিটার দূরত্বে যায়। মানুষ বহনে সক্ষম কোনো মহাকাশযানের এত বেশি দূরত্বে ভ্রমণ এটিই প্রথম। যদিও এ সফরে যানটিতে কোনো মানুষ ছিল না।

ওরিয়ন দিয়ে নাসার এবারের মিশনের নাম আর্টেমিস-১। ওরিয়ন যান এ অভিযানে এখন পর্যন্ত বেশ সফলতা দেখিয়েছে। পুরো সফল প্রত্যাবর্তন হলে ২০২৪ সালেই ওরিয়নে চড়ে পরবর্তী মিশনে যাবেন নভোচারীরা। তবে তাঁরা সে সময় চন্দ্রপৃষ্ঠে নামবেন না।

আর্টেমিস-৩-এর মাধ্যমে ৫০ বছরেরও বেশি সময় পরে আবার চন্দ্রপৃষ্ঠে মানুষের পা পড়বে। এই মিশন ২০২৫ বা ২০২৬ সালে বাস্তবায়ন হতে পারে। তবে সব কিছুই নির্ভর করছে কোনো দুর্ঘটনা ছাড়া এবার ওরিয়নের ফিরে আসার ওপর।

প্রকৌশলীরা যাচাই করে দেখতে চান, ফেরার পথে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে পুনঃ প্রবেশের সময় যানটির বাইরের কাঠামো প্রচণ্ড তাপের মধ্যে টিকে থাকতে পারে কি না। ঘণ্টায় প্রায় ৩৯ হাজার ৫০০ কিমি বেগে ফিরে আসার সময় বাতাসের সঙ্গে ঘর্ষণ ও চাপে ওরিয়নের কাঠামোর তাপ তিন হাজার ডিগ্রির কাছাকাছি উঠবে।

নাসা ও মহাকাশযানটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান লকহিড মার্টিনকে আগামীতে নভোচারীদের চড়ানোর আগে নিশ্চিত হতে হবে, ক্যাপসুলটির নিচের অংশের ঢাল ওই ভয়ানক তাপ সহ্য করার মতো উপযুক্ত কি না।

ফেরার সময় গতি কমাতে স্থাপন করা ১১টি প্যারাশুট ঠিকমতো কাজ করলে আগামী রবিবার ক্যালিফোর্নিয়ার স্থানীয় সময় সকালে ওরিয়ন পৃথিবীতে অবতরণ করবে। যানটির প্রশান্ত মহাসাগরে এসে পড়ার কথা।