ঢাকা ১০:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফাইভজি চালু হতে দেরির কারণ জানালেন মন্ত্রী

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা আজ এক অনন্য উচ্চতায় উপনীত হয়েছে। ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ দেশের প্রতিটি মানুষের জন্য শ্বাস-প্রশ্বাসের মতো। দেশের ৯৮ ভাগ এলাকা ইতোধ্যে ফোরজি নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছে। আমরা ফাইভ-জি যুগে প্রবেশ করেছি। ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধসহ বৈশ্বিক নানা পরিস্থিতির কারণে বাণিজ্যিকভাবে ফাইভজি চালু করতে মোবাইল অপারেটররা কারিগরি প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারছে না। 

সোমবার (৫ ডিসেম্বর) ঢাকায় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি মিলনায়তনে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ আয়োজিত ন্যাশনাল ইমারজেন্সি টেলিকমিউনিকেশন্স সিস্টেম শীর্ষক পরামর্শক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন মন্ত্রী। ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মো. খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আবদুল ওয়াদুদ এবং আর্মড ফোর্সেস ডিভিশনের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হোসাইন মোহাম্মদ মশিহুর রহমান বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে বিটিআরসি‘র মহাপরিচালক (এসএস বিভাগ) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

মন্ত্রী অংশীজনদের সুচিন্তিত মতামতের ভিত্তিতে দুর্যোগের সময়ে জরুরি টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিত করতে দেশে একটি দুর্যোগকালীন টেলিযোগাযোগ সিস্টেম চালু করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।  তিনি বলেন, দুর্যোগ আমারদের জন্য আকস্মিক নয়। তিনি চলতি বছর হাওরে বিশেষ করে সিলেট অঞ্চলে আকস্মিক বন্যার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বলেন, বন্যায় টেলিফোন ব্যবস্থা বিধ্বস্ত হওয়ায় স্থানীয় প্রশাসনসহ বন্যাকবলিত এলাকার মানুষ সম্পূর্ণভাবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।  আমরা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট -১ ও অন্যান্য ব্যবস্থায় টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা সচল করতে সক্ষম হয়েছি।

তিনি বলেন, কোনও কোনও বন্যাকবলিত এলাকায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্যাটেলাইটের হাব বসিয়েছি। মন্ত্রী দুর্গত এলাকায় টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিত করতে জাতীয় জরুরি টেলিকমিউনিকশন সিস্টেম স্থাপনের জন্য একটি আধুনিক ও নির্ভরযোগ্য টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায় খুঁজে বের করে তা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করেন।

সভাপতির বক্তৃতায় টেলিযোগাযোগ সচিব দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি প্রশমনে দুর্যোগ পূর্বাভাস অত্যন্ত জরুরি বলে উল্লেখ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ -এর মাধ্যমে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ একটি কার্যকর যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ফাইভজি চালু হতে দেরির কারণ জানালেন মন্ত্রী

আপডেট সময় ১১:৫৩:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২২

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা আজ এক অনন্য উচ্চতায় উপনীত হয়েছে। ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ দেশের প্রতিটি মানুষের জন্য শ্বাস-প্রশ্বাসের মতো। দেশের ৯৮ ভাগ এলাকা ইতোধ্যে ফোরজি নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছে। আমরা ফাইভ-জি যুগে প্রবেশ করেছি। ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধসহ বৈশ্বিক নানা পরিস্থিতির কারণে বাণিজ্যিকভাবে ফাইভজি চালু করতে মোবাইল অপারেটররা কারিগরি প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারছে না। 

সোমবার (৫ ডিসেম্বর) ঢাকায় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি মিলনায়তনে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ আয়োজিত ন্যাশনাল ইমারজেন্সি টেলিকমিউনিকেশন্স সিস্টেম শীর্ষক পরামর্শক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন মন্ত্রী। ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মো. খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আবদুল ওয়াদুদ এবং আর্মড ফোর্সেস ডিভিশনের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হোসাইন মোহাম্মদ মশিহুর রহমান বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে বিটিআরসি‘র মহাপরিচালক (এসএস বিভাগ) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

মন্ত্রী অংশীজনদের সুচিন্তিত মতামতের ভিত্তিতে দুর্যোগের সময়ে জরুরি টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিত করতে দেশে একটি দুর্যোগকালীন টেলিযোগাযোগ সিস্টেম চালু করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।  তিনি বলেন, দুর্যোগ আমারদের জন্য আকস্মিক নয়। তিনি চলতি বছর হাওরে বিশেষ করে সিলেট অঞ্চলে আকস্মিক বন্যার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বলেন, বন্যায় টেলিফোন ব্যবস্থা বিধ্বস্ত হওয়ায় স্থানীয় প্রশাসনসহ বন্যাকবলিত এলাকার মানুষ সম্পূর্ণভাবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ফলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।  আমরা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট -১ ও অন্যান্য ব্যবস্থায় টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা সচল করতে সক্ষম হয়েছি।

তিনি বলেন, কোনও কোনও বন্যাকবলিত এলাকায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্যাটেলাইটের হাব বসিয়েছি। মন্ত্রী দুর্গত এলাকায় টেলিযোগাযোগ সেবা নিশ্চিত করতে জাতীয় জরুরি টেলিকমিউনিকশন সিস্টেম স্থাপনের জন্য একটি আধুনিক ও নির্ভরযোগ্য টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায় খুঁজে বের করে তা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করেন।

সভাপতির বক্তৃতায় টেলিযোগাযোগ সচিব দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি প্রশমনে দুর্যোগ পূর্বাভাস অত্যন্ত জরুরি বলে উল্লেখ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ -এর মাধ্যমে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ একটি কার্যকর যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে।