বিদায়ী সপ্তাহে সূচক এবং অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দর বেড়েছে। এতে বিনিয়োগকারীদের বাজার মূলধন অর্থাৎ পুঁজি বেড়েছে ১২১ কোটি ৫৯ লাখ ৭৩ হাজার ৯২৯ টাকা।
সাপ্তাহিক বাজার বিশ্লেষণে এ চিত্র দেখা গেছে। গত সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে লেনদেনের শুরুতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মূলধন ছিল ৭ লাখ ৬৩ হাজার ৬২৫ কোটি টাকা। আর শেষ দিন বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে মূলধন দাঁড়ায় ৭ লাখ ৬৩ হাজার ৭৪৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ টাকার অংকে পুঁজি বেড়েছে ১২১ কোটি টাকা। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) একই ধারা দেখা গেছে।
২৭ নভেম্বর-১ ডিসেম্বরের সপ্তাহে মোট পাঁচ কর্মদিবস লেনদেন হয়েছে পুঁজিবাজারে। এর মধ্যে সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস সূচকের উত্থানের মধ্যে লেনদেন হয়। এরপর সোমবার সূচক পতন হয়। তবে তারপরের তিন দিন সূচক বাড়ে।
এ সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৬৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৫৬টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ৪০টির, আর অপরিবর্তিত ছিল ২৭১টির।
লেনদেন হওয়া অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ায় বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ৩০ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ২৪৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইর অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস সূচক ১৬ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৩৭০ পয়েন্টে এবং ডিএস-৩০ সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ২৬ পয়েন্ট বেড়ে দুই হাজার ২১৬ পয়েন্টে দাঁড়ায়।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয় ২ হাজার ২৪ কোটি ৬৪ লাখ ৫১ হাজার ৫০৬ টাকা; আগের সপ্তাহে যা ছিল ২ হাজার ৬৭ কোটি ৯৫ লাখ ৮২ হাজার ৪৮২ টাকা। অর্থাৎ ৪৩ কোটি ৩১ লাখ ৩০ হাজার ৯৭৬ টাকা কম লেনদেন হয়েছে।
বিদায়ী সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে জেনেক্স ইনফোসিস, বসুন্ধরা পেপার মিলস, আমরা নেটওয়ার্কস, চাটার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ওরিয়ন ফার্মা, নাভানা ফার্মা, রয়েল টিউলিপ সি পার্ল, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, ইস্টার্ন হাউজিং এবং ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন লিমিটেডের শেয়ার।
একই অবস্থায় লেনদেন হয়েছে দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক ৮০ পয়েন্ট বেড়ে ১৮ হাজার ৪১৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এসময়ে লেনদেন হয়েছে ৪৮ কোটি ৮৭ লাখ ১৪ হাজার ৯৪৩ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৫৩ কোটি ৯৫ লাখ ৫৩ হাজার ১৪২ টাকা।