ঢাকা ০৪:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ এপ্রিল ২০২৫, ২৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শরীয়তপুর বিলাসপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ৮৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার-৮ কমলনগরের মেঘনায় তিন নেতার নেতৃত্বে মাছ শিকারর রক্ষক যখন রয়েছেন ভক্ষকের ভূমিকায়! দোয়ারাবাজারে জলাবদ্ধতা নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ অভিমানের কারণে আত্মহত্যা বাড়ছে গাজীপুরে নরসিংদীর মাধবদীতে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ আহত ১০ শেরপুর নকলায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়া দিবস উদযাপিত ডাক্তার সংকটে বীরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দিনাজপুর বীরগঞ্জে সেনাবাহিনী ও ট্রাফিক পুলিশের যৌথ অভিযান কুড়িগ্রাম উলিপুরে পুত্রবধূর আঘাতে আহত শশুর বিলুপ্তপ্রায় একটা সম্প্রদায় কীভাবে পুরো বিশ্ব চালাচ্ছে? 

সিলেটে ফ্যাসিস্টদের দোসর ডেভিল উস্তার এখনো ধঁরা ছোয়ার বাহিরে

  • সিলেট ব্যুরোঃ
  • আপডেট সময় ০৮:২২:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫
  • ৫০৭ বার পড়া হয়েছে

ডেভিলহান্ট অপারেশন চলমান থাকা অবস্থায় ওলিকুল শিরোমনি আধ্যাতিক নগরী সিলেটে পুলিশের সামনেই দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন আইজিপি খ্যাত ফ্যাসিস্টদের দোসর আওয়ামীলীগ নেতা ডেভিল উস্তার মিয়া।
এক সময় এই উস্তার মিয়া আওয়ামীলীগের বর্ষীয়ান নেতা ও প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুস সামাদ আজাদ এর ভাতিজার ব্যক্তিগত সহকারী ছিলেন। তখন থেকেই সামাদ আজাদ এর ভাতিজা ও ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে উস্তার মিয়া প্রশাসনের উপর মহলে সখ্যতা গড়ে তুলে অদ্যাবদিতা বজায় রেখেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উস্তার মিয়ার পৈত্রিক নিবাস সুনামগঞ্জ জেলার জগ্ননাথপুর উপজেলায়। তাহার পিতা মৃত জহুর উদ্দিন, তিনি থাকেন সিলেট নগরীর শাহপরান থানাধীন শিবগঞ্জ লামাপাড়া মোহিনী—৭৩ নম্বর বাসায়। যে বাসায় থাকেন পুলিশের বেশ কয়েকজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা। যাদের সাথে রয়েছে তার গভীর সখ্যতা। সেই পরিচয়ে তিনি প্রকাশ্যে দিবালোকে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন নগরীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।
পুলিশের পোস্টিং, পদোন্নতি কিংবা সাজা মওকুফ এর মতো কাজ করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে আওয়ামীলীগ নেতা উস্তার মিয়ার বিরুদ্ধে। মামলার চার্জ শীট কিংবা ফাইনাল পুলিশ রিপোর্ট প্রভাবিত করতে তাহার জুরি নেই। তিনি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে অনেক নীরিহ মানুষের জীবন ধ্বংস করেছেন বলে স্থানীয়রা এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।
সিলেট নগরীর লামাপাড়াস্থ উস্তার মিয়ার বাসায় এসএমপির দুইজন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার, ডিসি সদর দপ্তরসহ অন্তত ৮ জন পুলিশ কর্মকর্তা বসবাস করেন। সেই জন্য এই কর্তা ব্যাক্তিদের সাথে তাহার গভীর সখ্যতা রয়েছে। তাই অতীতের ন্যায় বর্তমানেও তিনি খুব প্রভাবশালী ভূমিকায় আছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়, উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তাদের মনোরঞ্জনের জন্য প্রায় রাতেই অবৈধ নাচ—গানের আসর বসতো উস্তার মিয়ার বাসায়, যাহা তিনি নিজেই আয়োজন করতেন। এছাড়াও উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের অর্জিত অবৈধ কোটি কোটি টাকা তাহার কাছে জমা রাখতেন। প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তারা উস্তার মিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগ করতেন। এক কথায় সকল অবৈধ লেনদেন তাহার মাধ্যমে হতো। তাই প্রশাসনের বড় কর্তাদের ক্যাশিয়ার হিসেবেও তার পরিচিতি রয়েছে।
বন্দরবাজার সিটিহার্ট মার্কেটে তাহার একটি আবাসিক হোটেল রয়েছে। সেই হোটেলে তাহার একটি অফিস রয়েছে। তাহার আবাসিক হোটেলে চলে পতিতা ব্যবসা। কয়েকদিন আগে খদ্দেরসহ এক পতিতাকে আটক করে পুলিশ। এছাড়াও স্কুলপড়ুয়া প্রেমিক— প্রেমিকা এই হোটেলে একান্ত সময় কাটায়। এই অফিসে পুলিশসহ বিভিন্ন ক্রিমিনালদের অবৈধ টাকার লেনদেন হয়।
সিলেট মহানগরীর শিবগঞ্জে এসএমপির ডিবি অফিস, যে ভবনে অবস্থিত সেই ভবনের মালিকানা উস্তার মিয়া দাবী করলেও প্রকৃত পক্ষে এই ভবনের মালিক ভায়রা অর্থ্যাৎ (স্ত্রীর বোনের স্বামী)। তিনি পুলিশের প্রভাব খাটিয়ে বাড়ীটি দখল করে নিজের বলে চালিয়ে যাচ্ছেন। এমতাবস্থার প্রেক্ষিতে নগরীতে উস্তার মিয়ার প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা নিয়ে জনমনে সন্দিহান। কারণ পুলিশের ছত্রছায়ায় উস্তার আলী কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এ ব্যাপারে উস্তার মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আওয়ামীলীগ ট্যাগ লাগিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার করা হচ্ছে, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।’

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

শরীয়তপুর বিলাসপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ৮৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার-৮

সিলেটে ফ্যাসিস্টদের দোসর ডেভিল উস্তার এখনো ধঁরা ছোয়ার বাহিরে

আপডেট সময় ০৮:২২:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫

ডেভিলহান্ট অপারেশন চলমান থাকা অবস্থায় ওলিকুল শিরোমনি আধ্যাতিক নগরী সিলেটে পুলিশের সামনেই দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন আইজিপি খ্যাত ফ্যাসিস্টদের দোসর আওয়ামীলীগ নেতা ডেভিল উস্তার মিয়া।
এক সময় এই উস্তার মিয়া আওয়ামীলীগের বর্ষীয়ান নেতা ও প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুস সামাদ আজাদ এর ভাতিজার ব্যক্তিগত সহকারী ছিলেন। তখন থেকেই সামাদ আজাদ এর ভাতিজা ও ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে উস্তার মিয়া প্রশাসনের উপর মহলে সখ্যতা গড়ে তুলে অদ্যাবদিতা বজায় রেখেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উস্তার মিয়ার পৈত্রিক নিবাস সুনামগঞ্জ জেলার জগ্ননাথপুর উপজেলায়। তাহার পিতা মৃত জহুর উদ্দিন, তিনি থাকেন সিলেট নগরীর শাহপরান থানাধীন শিবগঞ্জ লামাপাড়া মোহিনী—৭৩ নম্বর বাসায়। যে বাসায় থাকেন পুলিশের বেশ কয়েকজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা। যাদের সাথে রয়েছে তার গভীর সখ্যতা। সেই পরিচয়ে তিনি প্রকাশ্যে দিবালোকে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন নগরীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।
পুলিশের পোস্টিং, পদোন্নতি কিংবা সাজা মওকুফ এর মতো কাজ করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে আওয়ামীলীগ নেতা উস্তার মিয়ার বিরুদ্ধে। মামলার চার্জ শীট কিংবা ফাইনাল পুলিশ রিপোর্ট প্রভাবিত করতে তাহার জুরি নেই। তিনি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে অনেক নীরিহ মানুষের জীবন ধ্বংস করেছেন বলে স্থানীয়রা এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।
সিলেট নগরীর লামাপাড়াস্থ উস্তার মিয়ার বাসায় এসএমপির দুইজন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার, ডিসি সদর দপ্তরসহ অন্তত ৮ জন পুলিশ কর্মকর্তা বসবাস করেন। সেই জন্য এই কর্তা ব্যাক্তিদের সাথে তাহার গভীর সখ্যতা রয়েছে। তাই অতীতের ন্যায় বর্তমানেও তিনি খুব প্রভাবশালী ভূমিকায় আছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়, উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তাদের মনোরঞ্জনের জন্য প্রায় রাতেই অবৈধ নাচ—গানের আসর বসতো উস্তার মিয়ার বাসায়, যাহা তিনি নিজেই আয়োজন করতেন। এছাড়াও উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের অর্জিত অবৈধ কোটি কোটি টাকা তাহার কাছে জমা রাখতেন। প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তারা উস্তার মিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগ করতেন। এক কথায় সকল অবৈধ লেনদেন তাহার মাধ্যমে হতো। তাই প্রশাসনের বড় কর্তাদের ক্যাশিয়ার হিসেবেও তার পরিচিতি রয়েছে।
বন্দরবাজার সিটিহার্ট মার্কেটে তাহার একটি আবাসিক হোটেল রয়েছে। সেই হোটেলে তাহার একটি অফিস রয়েছে। তাহার আবাসিক হোটেলে চলে পতিতা ব্যবসা। কয়েকদিন আগে খদ্দেরসহ এক পতিতাকে আটক করে পুলিশ। এছাড়াও স্কুলপড়ুয়া প্রেমিক— প্রেমিকা এই হোটেলে একান্ত সময় কাটায়। এই অফিসে পুলিশসহ বিভিন্ন ক্রিমিনালদের অবৈধ টাকার লেনদেন হয়।
সিলেট মহানগরীর শিবগঞ্জে এসএমপির ডিবি অফিস, যে ভবনে অবস্থিত সেই ভবনের মালিকানা উস্তার মিয়া দাবী করলেও প্রকৃত পক্ষে এই ভবনের মালিক ভায়রা অর্থ্যাৎ (স্ত্রীর বোনের স্বামী)। তিনি পুলিশের প্রভাব খাটিয়ে বাড়ীটি দখল করে নিজের বলে চালিয়ে যাচ্ছেন। এমতাবস্থার প্রেক্ষিতে নগরীতে উস্তার মিয়ার প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা নিয়ে জনমনে সন্দিহান। কারণ পুলিশের ছত্রছায়ায় উস্তার আলী কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এ ব্যাপারে উস্তার মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আওয়ামীলীগ ট্যাগ লাগিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার করা হচ্ছে, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।’