ঢাকা ০৬:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বগুড়া গাজাসহ আটক ২ নোয়াখালী সেনবাগে এমপি মোরশেদ আলমসহ আওয়ামী লীগের ২৫ জন কে আসামি করে অজ্ঞাত ৬০ জনসহ মোট ৮৫ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা রাঙ্গাবালীতে ছাত্রদলের উদ্যোগে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের মাঝে খাবার পানি ও কলম বিতরণ চৌমুহনীতে হাজী কাচ্চি বিরিয়ানি হাউজের বিরুদ্ধে মিথ্যা খবরের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন ধামরাইয়ে কৃষি জমির মাটি কাটায় ৬টি ভেকু জব্দ করেছে প্রশাসন বিদায় সুন্দর পৃথিবী পোস্টের পর পাওয়া গেল জেরিনের ঝুলন্ত মরদেহ আত্রাইয়ে সুষ্ঠু ও নকল মুক্ত পরিবেশে এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্টিত লালমনিরহাটে বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে হাট বসানোর চেষ্টা বিএনপি নেতার, ইউএনও বরাবর অভিযোগ মিঠাপুকুর এসএসসি ও সমমানের পরিক্ষা শান্তিপুন্য ভাবে অনুষ্ঠিত পায়রাকুঞ্জে ব্রিজ নির্মানের টাকা আত্মসাতকারীদের বিচার দাবীতে মানববন্ধন

ডাক্তার সংকটে বীরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে

গতকাল ৫ এপ্রিল’২০২৫ দুপুরে সরজমিন সাক্ষাৎকারে জানা যায়, দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালটি চিকিৎসক সংকটে জর্জরিত।

২১ জন ডাক্তারের বিপরীতে আবাসিক মেডিকেল অফিসারসহ ৩ জন চিকিৎসক দিয়ে চলছে উপজেলায় বসবাসরত ৪ লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসা সেবা, চরম বিঘ্নিত হচ্ছে স্বাস্থ্য সেবা, মারাত্মকভাবে ভেঙে পড়েছে চিকিৎসা ব্যবস্থা।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় গত ২০১৮-১৯ সালে বিশেষ পুরস্কার ভূষিত করেছে এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বীরগঞ্জ হাসপাতাল কে।

প্রসূতি মহিলাদের নরমাল ডেলিভারী তথা স্বাভাবিক প্রসবে অনন্য ভুমিকাসহ সফল দৃষ্টান্ত রাখলেও যন্ত্রপাতি ও জনবল সংকটের কারনে এখনো সিজার করার মত পরিবেশ তৈরী হয় নাই।

বিভিন্ন রোগের ঔষধপত্র রয়েছে অস্বাভাবিক ঘাটতি।

আধুনিক যন্ত্রপাতির অভাবসহ দেড় বছর থেকে নষ্ট রয়েছে আলট্রা সনোগ্রাম মেশিন।

ফলে উপজেলাবাসী কাঙ্ক্ষিত স্বাস্থ্যসেবা থেকে অনেকটাই বঞ্চিত, পোহাতে হচ্ছে অসহনীয় দুর্ভোগ।

উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে নানা রোগে আক্রান্ত রেকর্ড পরিমান রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন।

রেকর্ড পত্র মতে গড়ে প্রতিদিন বহিঃ র্বিভাগে ৩৫০ থেকে ৪০০ জন রোগী সেবা নেওয়া সহ জরুরি বিভাগে ৪০ থেকে ৫০ জন রোগী আসেন, ভর্তি থাকেন ৮০ থেকে ১০০ জন রোগী।

উপজেলার সচেতন মহল মনে করেন, চিকিৎসক সংকটে এবং ঔষধ স্বল্পতায় রোগীদের ভোগান্তি সহ চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে।

বহিঃ র্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের লম্বা লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে চিকিৎসা নিতে হয়।

এভাবে একটি হাসপাতালের চিকিৎসা তথা স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম চলতে পারে না।

তাই অতি শীঘ্রই চিকিৎসক পদায়ন সহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিকে ১০০ শয্যায় উন্নীত করা খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আফরোজ সুলতানা লুনা ঘটনা স্বীকার করে হাসপাতালে মোট ৪ জন স্থায়ী চিকিৎসকের মধ্যে ১ জন ২ মাসের প্রশিক্ষণে রয়েছে।

প্রেষণে সপ্তাহে ২ দিন ২জন চিকিৎসক বহিঃ র্বিভাগে রোগিদের সেবা দিচ্ছেন।

৩১টি পদে ৩১ জন নার্স কর্মরত, তম্মধ্যে ২ জন প্রশিক্ষণে রয়েছে।

চিকিৎসক সংকটের কারণে রোগীদের সামলাতে খুবই সমস্যা সহ হিমশিম খেতে হচ্ছে।
তার পরেও রোগিদের ভোগান্তি লাঘবে আমি সহ চিকিৎসকরা সেবা চালিয়ে যাচ্ছি।
ওষুধের সরবরাহ বিষয়ে জটিলতা রয়েছে, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ অনেক কম।
এই জনবহুল অঞ্চলে যে পরিমাণ ওষুধ প্রয়োজন সে তুলনায় সরবরাহ না থাকায় মানুষের চাহিদা মেটানো কষ্টকর হয়ে পড়েছে।

Tag :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বগুড়া গাজাসহ আটক ২

ডাক্তার সংকটে বীরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে

আপডেট সময় ০৩:১৬:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫

গতকাল ৫ এপ্রিল’২০২৫ দুপুরে সরজমিন সাক্ষাৎকারে জানা যায়, দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালটি চিকিৎসক সংকটে জর্জরিত।

২১ জন ডাক্তারের বিপরীতে আবাসিক মেডিকেল অফিসারসহ ৩ জন চিকিৎসক দিয়ে চলছে উপজেলায় বসবাসরত ৪ লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসা সেবা, চরম বিঘ্নিত হচ্ছে স্বাস্থ্য সেবা, মারাত্মকভাবে ভেঙে পড়েছে চিকিৎসা ব্যবস্থা।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় গত ২০১৮-১৯ সালে বিশেষ পুরস্কার ভূষিত করেছে এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বীরগঞ্জ হাসপাতাল কে।

প্রসূতি মহিলাদের নরমাল ডেলিভারী তথা স্বাভাবিক প্রসবে অনন্য ভুমিকাসহ সফল দৃষ্টান্ত রাখলেও যন্ত্রপাতি ও জনবল সংকটের কারনে এখনো সিজার করার মত পরিবেশ তৈরী হয় নাই।

বিভিন্ন রোগের ঔষধপত্র রয়েছে অস্বাভাবিক ঘাটতি।

আধুনিক যন্ত্রপাতির অভাবসহ দেড় বছর থেকে নষ্ট রয়েছে আলট্রা সনোগ্রাম মেশিন।

ফলে উপজেলাবাসী কাঙ্ক্ষিত স্বাস্থ্যসেবা থেকে অনেকটাই বঞ্চিত, পোহাতে হচ্ছে অসহনীয় দুর্ভোগ।

উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে নানা রোগে আক্রান্ত রেকর্ড পরিমান রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন।

রেকর্ড পত্র মতে গড়ে প্রতিদিন বহিঃ র্বিভাগে ৩৫০ থেকে ৪০০ জন রোগী সেবা নেওয়া সহ জরুরি বিভাগে ৪০ থেকে ৫০ জন রোগী আসেন, ভর্তি থাকেন ৮০ থেকে ১০০ জন রোগী।

উপজেলার সচেতন মহল মনে করেন, চিকিৎসক সংকটে এবং ঔষধ স্বল্পতায় রোগীদের ভোগান্তি সহ চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে।

বহিঃ র্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের লম্বা লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে চিকিৎসা নিতে হয়।

এভাবে একটি হাসপাতালের চিকিৎসা তথা স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম চলতে পারে না।

তাই অতি শীঘ্রই চিকিৎসক পদায়ন সহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিকে ১০০ শয্যায় উন্নীত করা খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আফরোজ সুলতানা লুনা ঘটনা স্বীকার করে হাসপাতালে মোট ৪ জন স্থায়ী চিকিৎসকের মধ্যে ১ জন ২ মাসের প্রশিক্ষণে রয়েছে।

প্রেষণে সপ্তাহে ২ দিন ২জন চিকিৎসক বহিঃ র্বিভাগে রোগিদের সেবা দিচ্ছেন।

৩১টি পদে ৩১ জন নার্স কর্মরত, তম্মধ্যে ২ জন প্রশিক্ষণে রয়েছে।

চিকিৎসক সংকটের কারণে রোগীদের সামলাতে খুবই সমস্যা সহ হিমশিম খেতে হচ্ছে।
তার পরেও রোগিদের ভোগান্তি লাঘবে আমি সহ চিকিৎসকরা সেবা চালিয়ে যাচ্ছি।
ওষুধের সরবরাহ বিষয়ে জটিলতা রয়েছে, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ অনেক কম।
এই জনবহুল অঞ্চলে যে পরিমাণ ওষুধ প্রয়োজন সে তুলনায় সরবরাহ না থাকায় মানুষের চাহিদা মেটানো কষ্টকর হয়ে পড়েছে।