লালমনিরহাট ও রংপুর বাস মালিক সমিতির দ্বন্দের জের ধরে লালমনিরহাট-রংপুর সড়কে আন্তঃজেলা বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে লালমনিরহাট থেকে রংপুর ও পাটগ্রামগামী সকল লোকাল বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এখানকার যাত্রীরা।
রংপুরের এক বাস মালিকের বিরুদ্ধে লালমনিরহাটের দুই মোটর শ্রমিককে হেনস্তার অভিযোগ তুলে কর্মবিরতি পালন করছে লালমনিরহাট মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন। এতে লালমনিরহাট থেকে রংপুর ও পাটগ্রামগামী সকল লোকাল বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে, ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
বুধবার (১৯ মার্চ) ভোর ৬টা থেকে পাটগ্রাম-লালামনিরহাট-রংপুর মহাসড়কে আন্তঃজেলা বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে লালমনিরহাট জেলা বাস মালিক সমিতি। তবে ঢাকাগামী সব বাস চলাচল স্বাভাবিক থাকছে।
এতে করে হঠাৎ বিপাকে পড়তে হচ্ছে রংপুরগামী যাত্রী সাধারণকে। যাতায়াতকারীদের বিকল্প ব্যবস্থা নিতে হচ্ছে। ফলে ঈদের আগে বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের।
ভুক্তভোগী ড্রাইভার আলম জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রংপুরের সাতমাথায় তাঁর চাচার গাড়িচালক সাফায়েতের সঙ্গে বিরোধ হলে তিনি এগিয়ে যান। তখন রংপুরের সাদমান বাসের মালিক সাইফুল তাঁদের সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেন এবং তাঁর স্টাফদের সঙ্গে মিলে মারধর করেন। আলম বলেন, “আমরা এর বিচার না পেলে কর্মবিরতি চালিয়ে যাব।”
সুপারভাইজার বিপ্লব হোসেন জানান, রংপুরের শ্রমিকরা লালমনিরহাটে এলে যথাযথ সম্মান পেলেও, লালমনিরহাটের শ্রমিকরা রংপুরে গেলে বৈষম্যের শিকার হন। তিনি বলেন, “রংপুরের মালিক-শ্রমিকদের কর্তৃক আমরা দীর্ঘদিন ধরে নিগ্রহের শিকার হচ্ছি। এবার আমরা সমাধান চাই।”
বাস শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা নুরনবী বকুল জানান, “আমাদের চালক আলম ও সাফায়েতের সঙ্গে রংপুরের মালিক ও স্টাফদের গণ্ডগোল হয়েছে। ধাক্কাধাক্কি ও চড়-থাপ্পড়ের ঘটনাও ঘটেছে। শুধু তাই নয়, আমাদের বাস রাত সাড়ে ৮টার পর ছাড়তে দেয় না, অথচ রংপুরের বাস ১০-১১টা পর্যন্ত চলে। আমরা চাই, তারা এসে ক্ষমা চাইবে এবং সমস্যার সমাধান করবে, নাহলে আমরা বাস চালাব না।”
লালমনিরহাট জেলা মোটর মালিক সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন মিঠু জানান, শ্রমিকদের কর্মবিরতির বিষয়ে মালিক সমিতি অবগত আছে। তবে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। দ্রুত এ বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ করা হবে বলে তিনি জানান।
এদিকে, বুধবার রাত পর্যন্ত বাস চালুর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না হলেও সমাধানের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন বাস মালিক সমিতির নেতারা।